শিক্ষার প্রকারভেদের আলোচনায় ব্যবহৃত চিন্তার উচ্চতাজনিত উচ্চ বিচ্যুতি
Posted By:
Mostafa Kamal
Researcher of DCPL
& BDTP / Ph.D (Study)
Affiliated Ph.D
Researcher of IOUT & Academic Associate of
Shikshakendra, Hati
More, Subash Pally, Siliguri, W.B. INDIA
Chairman of Dynamic
Youth Society, Public Library & Study Center.
Address: Samsabad,
P.S.- Panchbibi, Dist. Joypurhat, N.B. BANGLADESH.
Contact : +88-01911
450 131; E-mail:aboutdynamic@gmail.com
রাষ্ট্রীয় শিক্ষা আয়োজনে
শিক্ষা নিয়ে চিন্তা করার জন্য এবং পুনসন্ধানের জন্য উন্নত বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার সুযোগ
নিয়ে আইইআর অনার্স এবং মাস্টার্সের মর্যাদা নিয়ে বি-এড শুরু করেছিল।
প্রাথমিক শিক্ষা পেশায় জড়িত হবার পর দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আইইআর এর শিক্ষা আলোচনায় ব্যবহৃত ধারনা এবং তথ্যগুলো কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
উচ্চতর শিক্ষায় শিক্ষার প্রকারভেদ নিয়ে যে আলোচনাকে স্থায়ী করে তোলা হয়েছে সেই আলোচনায় ব্যবহৃত তথ্য ইতিমধ্যে এ জাতির মানসিকতাকে প্রভাবিত করেছে। প্রতিটি তথ্য প্রকৃতপক্ষে জাতি মানসিকতায় পরিবর্তন সূচিত করে থাকে।
উচ্চ শিক্ষা এখন পর্যন্ত তথ্য উৎপাদনের পরিবর্তে অন্য জাতির ব্যবহৃত তথ্য সংগ্রহ করে পুনউপস্থাপন করে চলেছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উন্নত ঘোষিত জাতিগুলো ক্রমাগত তথ্য সরবরাহ করে চলেছে।
এ জাতির শিক্ষা নিয়ন্ত্রিত হয়ে চলেছে অন্য জাতির হাতে।
বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত ব্যক্তির প্রকৃত চিন্তায় -শিক্ষা কত প্রকার? - এই প্রশ্নটি এখন পর্যন্ত জেগে ওঠেনি বা প্রয়োজন হতে পারেনি এবং নিশ্চিতভাবে এ জাতির অন্তর্গত কোন ব্যক্তি এই প্রশ্নের উত্তর এখনো খুজতে শুরু করেনি। সুযোগ রয়ে গেছে উত্তরটি খুজে আনার।
অনেকের কাছে অগ্রহনীয় এই নিশ্চয়তা প্রদত্ত সিদ্ধান্ত অতিক্রম করে সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের দিকে এগোনো প্রয়োজন যেখানে আরো একটি দৃষ্টিভঙ্গি ভয়াবহ সম্ভাবনাকে হয়ে ওঠে যোগ্য এই নিশ্চিত সিদ্ধান্ত অতিক্রম করে আরো একটি দৃষ্টিভংগী থাকতে পারে যেখান থেকে অনুমান করা প্রয়োজন হবে –শিক্ষা কত প্রকার – প্রশ্নটি বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী মানুষের চিন্তায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি এবং যথার্তই বিভিন্ন প্রকারের শিক্ষার দিকে তাকাবার সুযোগ দেয়নি। ব্যক্তির প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গী এবং চিন্তা করার যে প্রক্রিয়াকে এ জাতি ধারাবাহিক প্রবাহে পেয়েছে সেখান থেকে উপরের সিদ্ধান্তে পৌছুনোর সুযোগ থাকবে না - কেননা ইতিমধ্যে এ জাতির মানসিকতাকে এবং চিন্তার প্রক্রিয়াকে ভিন্নপথে পরিকল্পিত পরিচালনায় নিয়ে তিন প্রকার শিক্ষার ভ্রান্তিকে নিশ্চিত সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হয়েছে।
উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করছে যে এই প্রশ্নকে তারা অনেক আগেই উত্থাপনে উত্তর খুজে নিয়েছে। যে কারনে আমাদের অনেকের জানা হয়ে গেছে যে শিক্ষা তিন প্রকারের। এ আলোচনাকে এগিয়ে নেবার তাড়নাটি ব্যক্তিগত নয়।
আইইআআর উচ্চ শিক্ষার মর্যাদায় শিক্ষা নিয়ে যে আলোচনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চলেছে এবং ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত করেছে সেই আলোচনায় শিক্ষা কত প্রকার প্রশ্নটি করা হয় এবং সেই প্রশ্নটির মাধ্যমে জানানো হয় যে তিন প্রকার শিক্ষাকে খুজে পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রফেসরেরা বর্তমানে যে আলোচনা করে চলেছে সেটি আমার জানা নয়। এখানে সংরক্ষিত তথ্য গ্রন্থকে ভিত্তি করে দেখা যাচ্ছে এখনো সেই তিন প্রকার শিক্ষাই টিকে আছে।
১. আনুষ্ঠানিক শিক্ষা (Formal education)
২. অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা (Non Formal Education)
৩. উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা (Informal Educationl)
এই তিন প্রকার শিক্ষাকে নিয়ে আই ই আর অনার্স এবং মাস্টার্স কোর্সের জন্য শিক্ষা আলোচনার সূচনা করেছিল। এই সূচনালগ্নের তথ্যগুলো যাদের মাধ্যমে গড়ে উঠেছিল তারা কিন্তু শিক্ষা বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায়নি কখনো। স্টার্টার প্রফেসরদের মধ্যে অধিকাংশের ব্যাকগ্রাউন্ড শিক্ষা ভিন্ন অন্য ডিসিপ্লিন।
অনুতপ্ত হতে হয়, লজ্জিত হতে হয় এবং অব্যক্ত থেকেই এগিয়ে যেতে হয়। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষা নিয়ে উন্নত বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার জন্য রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে এ জাতির মানসিকতাকে এভাবে বিভ্রান্ত চিন্তার সক্ষমতায় উত্তীর্ন করতেই কি আই ই আর তার অনার্স এবং মাস্টার্সের মর্যাদাকে ব্যবহার করবে। উচ্চ শিক্ষায় উত্তির্ন উচ্চ শিক্ষিত প্রফেসরদের চিন্তার এই সরল মাত্রার সম্ভাব্য প্রভাব কি এ জাতির বংশধারাকে নির্বোধ জাতির পরিচয় এনে দিতে পারে। সমসাময়িক জাতি মানসিকতাকে সামগ্রিকতায় যেভাবে দেখা যাচ্ছে সেখানে কি চিন্তা সক্রিয় আছে? আমাদের চলমান চিন্তার সাথে মিশ্রিত থাকে কি ব্যক্তির আত্মোপলব্ধি? ভবিষ্যৎ বংশধারার সম্ভাব্য পরিনতির জন্য কি আমরা দায়বদ্ধ হতে পারার উপলব্ধি কি চিন্তায় নিতে পারি?
আত্মো উপলব্ধিতে প্রশ্নটি জাগ্রত হবার জন্য চিন্তাকে যে পথে নিতে হয় সেই প্রক্রিয়া থেকে আমরা বিচ্যুত হয়ে আছি। আত্মোপলুব্ধ প্রশ্নের উত্তর কখনো ব্যক্ত নয় ব্যক্তিতে। আর এই আত্মোপ্লব্ধির বাইরে জাতি কি ভবিষ্যৎ পরিনতিকে নিয়ে ভাবতে চাইবে। কোন তাড়না কি সে পেতে পারে অনাগত বংশধারার অস্তিত্বের নিরাপত্তা, টিকে থাকা কিংবা মর্যাদাকে নিয়ে। উপলব্ধি চিন্তা এবং ব্যক্তের মধ্যবর্তী যে দূরত্ব সেখানে ব্যক্ত ভাষার কি কোন ক্ষমতা আছে অনাগতকে পরিকল্পনা করে হতাশ কিংবা তাড়িত হবার যৌক্তিকতাকে আনবার। যে জাতীয় শিক্ষানীতি এখানে তৈরী হয়ে থাকে, যে কারিকুলাম এখানে অন্তর্ভুক্ত হতে থাকে আর প্রকারভেদের যে আলোচনা এখানে ছড়িয়ে যেতে থাকে সেখানে আত্মোপলব্ধিকে তুলে আনবার চেষ্টা কাউকে নিতে হতে পারে। জাতির অতীত ধারাবাহিকতায় সজ্জিত বংশানুগুলো সজ্জিত হয়ে দায়ি করে থাকে কাউকে। মেধা কিংবা বুদ্ধিমত্তা নয়। নয় কোন সাফল্যকামী যাত্রা নয়। আএ শুধু বংশানুর ভবিষ্যৎ সজ্জার কাছে কিছু সংকেত রেখে যাওয়া। যা এখনো আছে এ পরিবেশে। আমরা অতীতের যে সজ্জাকে বহন করে চলেছি সেই দায়ভার কে নিতে পারে। ব্যক্তি কি উল্লসিত হতে পারে। এটা নিদারুন হতাশাময় নয় হয়ত আমরা প্রজননে অংশ নিয়েছি সেই সজ্জার সম্ভাবনা সাজাতে। এনে থাকি যাকে সেও একক ব্যক্তি রুপে টিকে থাকে সংগ্রামে। সাফল্য ব্যার্থতার সামান্যের কাছে অসামান্য যা তা অন্তর্গত উপলব্ধিতে আর বোধে। শুধুমাত্র উপযুক্ত সজ্জার অপেক্ষায় সময় টিকে থাকে। সময় চলে যাবার কোন সম্ভাবনা নেই সবাই জানে। তবু সময়ের পেছনে ছুটে চলে। যা প্রকাশিত হতে পারে, তার পেছনে সামগ্রীকতা তৈরী হয় যেখানে শব্দ বা বাক্য নয় একক বোধ সক্রিয় হয়ে থাকে অখন্ডে। যা অতীত পুরুষের ধারাবাহিকতায় মিশ্রিত আছে। পুরুষ এখানে লিংজ্ঞ নয়। নর নারীর লিংজ্ঞভেদের বাহ্যিকতা অতিক্রমে এই পুরুষ এ জাতির ভাষা তৈরী করেছে অন্য কারনে। সেখানে সমতার বা অসমতার প্রশ্ন উত্থাপিত হতে শুরু করেছে ভিন্ন কারনে।
আহিসেবেআ দৃষ্টিভংগী থেকে উপরের দুটো সিদ্ধান্তকে পেতে হবে সমসাময়িক জাতি মানসিকতা যে ভাবে সক্রিয়তা পেয়েছে এবং মানসিক প্রক্রিয়া রুপে চিন্তা করার সময় এবং ভাবনা করার সময় যে প্রয়োজনীয় তথ্য ব্যবহার করা সম্ভব হয়ে থাকে সেই সব তথ্য ব্যবহার করে চিন্তা করা হলে সিদ্ধান্ত দুটো পাওয়া সম্ভব নয়। শিক্ষা নিয়ে চিন্তা করতে হলে স্পষ্টতই দুটো বাক্য কোন সম্ভাবনা হিসেবে এখানে উপস্থাপন করা হয়নি। গ্রন্থে সংরক্ষিত কোন তথ্য আশ্রয় করে নয়, পারিপার্শ্বের প্রত্যক্ষনে প্রাপ্ত প্রকৃত তথ্য সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এখানে। কিন্তু বাংলাদেশের উচ্চতর শিক্ষায় যে তথ্য ব্যবহার করা হয় সেই সব তথ্য সমন্বয়ে এই সিদ্ধান্তগুলো উৎপন্ন হতে পারেনা।
শিক্ষা কত প্রকার?- বাক্য শেষের প্রশ্নবোধক চিহ্নটি জানায় যে বাক্যটি একটি প্রশ্ন এবং কথোপকথনে প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত স্বরভঙ্গিকে ব্যবহার করে প্রশ্নবোধক করে নিতে হবে। ব্যক্তি প্রশ্নের মুখে যে সহজাত প্রতিক্রিয়া করে থাকে এখানে জাতি মানসিকতায় সেই সহজাত প্রতিক্রিয়া কার্যকর হতে পারেনা। কেননা বাংলাদেশের শিক্ষা প্রশ্ন প্রয়োগে ব্যক্তির সহজাত আচরণের সাথে ভিন্ন একটি আচরণকে সাপেক্ষীকরনের মাধ্যমে স্থায়ী করে তুলেছে। বাক্যে ব্যবহৃত প্রশ্নবোধক (?) চিহ্নটি আমাদেরকে জানায় যে বাক্যটি পাঠ করার সময় প্রশ্নের মত করে পাঠ করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন করা হয়েছে মনে করে উত্তর খুঁজবার জন্য পারিপার্শ্বে শিক্ষাকে খোজা যাবে না। কেননা উত্তরটি খুঁজে পাওয়ার পরই কেবল প্রশ্নটি করা হয়েছে এবং প্রাপ্ত উত্তরটি জানাবার প্রয়োজনে এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিংবা ব্যক্তির উত্তরটি জানা আছে কিনা সেটা মুল্যায়নের জন্য
শিক্ষা প্রসংজ্ঞে তত্ত্বীয় আলোচনার সুযোগ এখানে শিক্ষা প্রাপ্তদের (শিক্ষিতদের) জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষা প্রাপ্ত ব্যক্তি শিক্ষা বিষয়ে উচ্চতর ভাবনার অধিকার পেয়ে থাকেন। চারস্তরীয় শিক্ষার সর্বত্র যে বিপদজনক কারিকুলাম( মানসিকতা তৈরী করার একটি সামগ্রিকতায় থাকা উপলব্ধি)সক্রিয় হয়ে আছে সেই কারিকুলাম গঠিত মানসিকতায় অবচেতনে এইসব নির্দেশনা এবং অধিকারকে শর্ত করা হয়েছে। উচ্চ এবং উচ্চতর শিক্ষা প্রাপ্তদের এবং রাষ্ট্র যন্ত্র পরিচালনার উচ্চতর অবস্থান সুযোগ নিয়ে অল্প শিক্ষাপ্রাপ্ত এবং শিক্ষা অপ্রাপ্তদেরকে এই অধিকারকে মেনে নেবার উপযোগী মানসিক গঠন দিতে প্রয়োজনীয় সামাজিক কারিকুলামকে পরিকল্পনা অনুসারে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জাতি মানসিকতা এইসব অধিকারকে অবচেতনে মেনে নির্দেশনাটি প্রদান করে চলেছে এবং অবচেতনে এই নির্দেশনা পালনে অভ্যস্থ হয়েছি আমরা।
এটা বিস্ময়কর যে, শিক্ষা কত প্রকারের হতে পারে সেটা ভেবে দেখার, খুঁজে নেবার বা সন্ধান করার কোন সুযোগ বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর কেউ এ পর্যন্ত পায়নি এবং সমসাময়িক ধারাবাহিকতায় আগত ভবিষ্যতে কেউ যেন শিক্ষার প্রকার খুঁজবার উদ্যোগ নিতে না পারে, পারে সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে। আর রাষ্ট্রীয় শক্তিকে ব্যবহার করে আই ই আর শিক্ষার্থীদেরকে সেই সক্ষমতা দিতে চলেছে যেখানে শিক্ষাকে খুজবার জন্য প্রত্যক্ষনীয় ইন্দ্রিয় যে ব্যবহার হতে পারে সেটা যেন অব্যবহৃত হতে পারে। কেননা একাডেমীক লেভেল প্রফেসরেরা ইতিমধ্যে শিক্ষার প্রকার খুঁজে পেয়েছে এবং প্রাপ্ত প্রকারভেদের তথ্যকে কোনরকম সন্দেহের সুযোগ ছাড়াই প্রচার করা হয়েছে এবং বংশধারায় সরবরাহের জন্য বই বা গ্রন্থাকারে সংরক্ষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চতর শিক্ষার সন্ধানে প্রাপ্ত প্রকারভেদের এই তথ্য প্রচলিত প্রক্রিয়া অনুসারে শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় এডমিনিস্ট্রেটিভ পারপাসে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রশ্নটি যে উত্তরকে এনে দিয়েছে সেই তথ্যকে বিভিন্ন কার্যক্রমের পদ্ধতি মূল্যায়নে এবং পরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যবহার করা হয়েছে। এরকম স্থিরকৃত বিষয়ে – ব্যক্তি নতুন করে চারপাশে তাকিয়ে শিক্ষার প্রকার খুজতে চাইলে বিপদে পড়বে।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি পরিভাষায় ওয়ার্ল্ডস্কুল বা ইউনিভার্সস্কুল কিছুতেই ইউনিভার্সিটি নয়) শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট এর উচ্চতর মর্যাদা প্রকাশক শব্দ অনার্স এবং মাস্টার্সের উচ্চতর নিরর্থকতায় কিংবা দূর্বোধ্যতায় শিক্ষাকে তিনটি প্রকার হিসেবে খুঁজে পেয়েছে ।
অতএব শিক্ষা কত প্রকার প্রশ্নটির সাথে এর প্রকারভেদকে জাতিজ্ঞানে স্থায়ী করে তুলবার জন্য সংরক্ষন করা হয়েছে। তিন প্রকার শিক্ষা গ্রন্থবদ্ধ হয়ে ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন অঞ্চলে অনাগত বংশধারার কাছে পূর্বপুরুষের তথ্য হয়ে উঠবার জন্য। এভাবেই জাতিজ্ঞানে অন্তর্ভূক্ত হয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিভিন্ন নতুন পরিস্থিতির সাথে অভিযোজনের প্রয়োজনেত চিন্তায় ব্যবহার করা হবে এই তথ্যগুলো। তথ্যের অযৌন শংকরায়নের সম্ভাবনাটি এখানে এসে ধরা দিতে শুরু করে। যদিও প্রকাশে ভাষার সীমাবদ্ধতা থেকে এই আলোচনাটি পৃথক হয়ে পরিসর পাবে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে চিন্তার জন্য ভাষাকে যেভাবে ব্যবহার হতে দেখি আমরা এর বাইরেও চিন্তার একটি উৎস সক্রিয় থাকে যেখানে ভাষা ভিন্ন কোন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে।
বর্তমানে উচ্চতর শিক্ষার অধ্যাপকেরা অসীম সময়কালের জন্য এই দায়ভার নেবার জন্য টিকে থাকবেন না। কিন্তু জাতি ধারনায় সে সময়ের বর্তমানের ব্যক্তি আর আজকের অধ্যপক হয়ে থাকা ব্যক্তি অভিন্ন । সে সময় পর্যন্ত।
১. আনুষ্ঠানিক শিক্ষা (Formal Education)
২. উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা (Nonformal Education ) এবং
প্রাথমিক শিক্ষা পেশায় জড়িত হবার পর দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আইইআর এর শিক্ষা আলোচনায় ব্যবহৃত ধারনা এবং তথ্যগুলো কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
উচ্চতর শিক্ষায় শিক্ষার প্রকারভেদ নিয়ে যে আলোচনাকে স্থায়ী করে তোলা হয়েছে সেই আলোচনায় ব্যবহৃত তথ্য ইতিমধ্যে এ জাতির মানসিকতাকে প্রভাবিত করেছে। প্রতিটি তথ্য প্রকৃতপক্ষে জাতি মানসিকতায় পরিবর্তন সূচিত করে থাকে।
উচ্চ শিক্ষা এখন পর্যন্ত তথ্য উৎপাদনের পরিবর্তে অন্য জাতির ব্যবহৃত তথ্য সংগ্রহ করে পুনউপস্থাপন করে চলেছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উন্নত ঘোষিত জাতিগুলো ক্রমাগত তথ্য সরবরাহ করে চলেছে।
এ জাতির শিক্ষা নিয়ন্ত্রিত হয়ে চলেছে অন্য জাতির হাতে।
বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত ব্যক্তির প্রকৃত চিন্তায় -শিক্ষা কত প্রকার? - এই প্রশ্নটি এখন পর্যন্ত জেগে ওঠেনি বা প্রয়োজন হতে পারেনি এবং নিশ্চিতভাবে এ জাতির অন্তর্গত কোন ব্যক্তি এই প্রশ্নের উত্তর এখনো খুজতে শুরু করেনি। সুযোগ রয়ে গেছে উত্তরটি খুজে আনার।
অনেকের কাছে অগ্রহনীয় এই নিশ্চয়তা প্রদত্ত সিদ্ধান্ত অতিক্রম করে সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের দিকে এগোনো প্রয়োজন যেখানে আরো একটি দৃষ্টিভঙ্গি ভয়াবহ সম্ভাবনাকে হয়ে ওঠে যোগ্য এই নিশ্চিত সিদ্ধান্ত অতিক্রম করে আরো একটি দৃষ্টিভংগী থাকতে পারে যেখান থেকে অনুমান করা প্রয়োজন হবে –শিক্ষা কত প্রকার – প্রশ্নটি বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী মানুষের চিন্তায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি এবং যথার্তই বিভিন্ন প্রকারের শিক্ষার দিকে তাকাবার সুযোগ দেয়নি। ব্যক্তির প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গী এবং চিন্তা করার যে প্রক্রিয়াকে এ জাতি ধারাবাহিক প্রবাহে পেয়েছে সেখান থেকে উপরের সিদ্ধান্তে পৌছুনোর সুযোগ থাকবে না - কেননা ইতিমধ্যে এ জাতির মানসিকতাকে এবং চিন্তার প্রক্রিয়াকে ভিন্নপথে পরিকল্পিত পরিচালনায় নিয়ে তিন প্রকার শিক্ষার ভ্রান্তিকে নিশ্চিত সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হয়েছে।
উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করছে যে এই প্রশ্নকে তারা অনেক আগেই উত্থাপনে উত্তর খুজে নিয়েছে। যে কারনে আমাদের অনেকের জানা হয়ে গেছে যে শিক্ষা তিন প্রকারের। এ আলোচনাকে এগিয়ে নেবার তাড়নাটি ব্যক্তিগত নয়।
আইইআআর উচ্চ শিক্ষার মর্যাদায় শিক্ষা নিয়ে যে আলোচনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চলেছে এবং ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত করেছে সেই আলোচনায় শিক্ষা কত প্রকার প্রশ্নটি করা হয় এবং সেই প্রশ্নটির মাধ্যমে জানানো হয় যে তিন প্রকার শিক্ষাকে খুজে পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রফেসরেরা বর্তমানে যে আলোচনা করে চলেছে সেটি আমার জানা নয়। এখানে সংরক্ষিত তথ্য গ্রন্থকে ভিত্তি করে দেখা যাচ্ছে এখনো সেই তিন প্রকার শিক্ষাই টিকে আছে।
১. আনুষ্ঠানিক শিক্ষা (Formal education)
২. অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা (Non Formal Education)
৩. উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা (Informal Educationl)
এই তিন প্রকার শিক্ষাকে নিয়ে আই ই আর অনার্স এবং মাস্টার্স কোর্সের জন্য শিক্ষা আলোচনার সূচনা করেছিল। এই সূচনালগ্নের তথ্যগুলো যাদের মাধ্যমে গড়ে উঠেছিল তারা কিন্তু শিক্ষা বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায়নি কখনো। স্টার্টার প্রফেসরদের মধ্যে অধিকাংশের ব্যাকগ্রাউন্ড শিক্ষা ভিন্ন অন্য ডিসিপ্লিন।
অনুতপ্ত হতে হয়, লজ্জিত হতে হয় এবং অব্যক্ত থেকেই এগিয়ে যেতে হয়। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষা নিয়ে উন্নত বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার জন্য রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে এ জাতির মানসিকতাকে এভাবে বিভ্রান্ত চিন্তার সক্ষমতায় উত্তীর্ন করতেই কি আই ই আর তার অনার্স এবং মাস্টার্সের মর্যাদাকে ব্যবহার করবে। উচ্চ শিক্ষায় উত্তির্ন উচ্চ শিক্ষিত প্রফেসরদের চিন্তার এই সরল মাত্রার সম্ভাব্য প্রভাব কি এ জাতির বংশধারাকে নির্বোধ জাতির পরিচয় এনে দিতে পারে। সমসাময়িক জাতি মানসিকতাকে সামগ্রিকতায় যেভাবে দেখা যাচ্ছে সেখানে কি চিন্তা সক্রিয় আছে? আমাদের চলমান চিন্তার সাথে মিশ্রিত থাকে কি ব্যক্তির আত্মোপলব্ধি? ভবিষ্যৎ বংশধারার সম্ভাব্য পরিনতির জন্য কি আমরা দায়বদ্ধ হতে পারার উপলব্ধি কি চিন্তায় নিতে পারি?
আত্মো উপলব্ধিতে প্রশ্নটি জাগ্রত হবার জন্য চিন্তাকে যে পথে নিতে হয় সেই প্রক্রিয়া থেকে আমরা বিচ্যুত হয়ে আছি। আত্মোপলুব্ধ প্রশ্নের উত্তর কখনো ব্যক্ত নয় ব্যক্তিতে। আর এই আত্মোপ্লব্ধির বাইরে জাতি কি ভবিষ্যৎ পরিনতিকে নিয়ে ভাবতে চাইবে। কোন তাড়না কি সে পেতে পারে অনাগত বংশধারার অস্তিত্বের নিরাপত্তা, টিকে থাকা কিংবা মর্যাদাকে নিয়ে। উপলব্ধি চিন্তা এবং ব্যক্তের মধ্যবর্তী যে দূরত্ব সেখানে ব্যক্ত ভাষার কি কোন ক্ষমতা আছে অনাগতকে পরিকল্পনা করে হতাশ কিংবা তাড়িত হবার যৌক্তিকতাকে আনবার। যে জাতীয় শিক্ষানীতি এখানে তৈরী হয়ে থাকে, যে কারিকুলাম এখানে অন্তর্ভুক্ত হতে থাকে আর প্রকারভেদের যে আলোচনা এখানে ছড়িয়ে যেতে থাকে সেখানে আত্মোপলব্ধিকে তুলে আনবার চেষ্টা কাউকে নিতে হতে পারে। জাতির অতীত ধারাবাহিকতায় সজ্জিত বংশানুগুলো সজ্জিত হয়ে দায়ি করে থাকে কাউকে। মেধা কিংবা বুদ্ধিমত্তা নয়। নয় কোন সাফল্যকামী যাত্রা নয়। আএ শুধু বংশানুর ভবিষ্যৎ সজ্জার কাছে কিছু সংকেত রেখে যাওয়া। যা এখনো আছে এ পরিবেশে। আমরা অতীতের যে সজ্জাকে বহন করে চলেছি সেই দায়ভার কে নিতে পারে। ব্যক্তি কি উল্লসিত হতে পারে। এটা নিদারুন হতাশাময় নয় হয়ত আমরা প্রজননে অংশ নিয়েছি সেই সজ্জার সম্ভাবনা সাজাতে। এনে থাকি যাকে সেও একক ব্যক্তি রুপে টিকে থাকে সংগ্রামে। সাফল্য ব্যার্থতার সামান্যের কাছে অসামান্য যা তা অন্তর্গত উপলব্ধিতে আর বোধে। শুধুমাত্র উপযুক্ত সজ্জার অপেক্ষায় সময় টিকে থাকে। সময় চলে যাবার কোন সম্ভাবনা নেই সবাই জানে। তবু সময়ের পেছনে ছুটে চলে। যা প্রকাশিত হতে পারে, তার পেছনে সামগ্রীকতা তৈরী হয় যেখানে শব্দ বা বাক্য নয় একক বোধ সক্রিয় হয়ে থাকে অখন্ডে। যা অতীত পুরুষের ধারাবাহিকতায় মিশ্রিত আছে। পুরুষ এখানে লিংজ্ঞ নয়। নর নারীর লিংজ্ঞভেদের বাহ্যিকতা অতিক্রমে এই পুরুষ এ জাতির ভাষা তৈরী করেছে অন্য কারনে। সেখানে সমতার বা অসমতার প্রশ্ন উত্থাপিত হতে শুরু করেছে ভিন্ন কারনে।
আহিসেবেআ দৃষ্টিভংগী থেকে উপরের দুটো সিদ্ধান্তকে পেতে হবে সমসাময়িক জাতি মানসিকতা যে ভাবে সক্রিয়তা পেয়েছে এবং মানসিক প্রক্রিয়া রুপে চিন্তা করার সময় এবং ভাবনা করার সময় যে প্রয়োজনীয় তথ্য ব্যবহার করা সম্ভব হয়ে থাকে সেই সব তথ্য ব্যবহার করে চিন্তা করা হলে সিদ্ধান্ত দুটো পাওয়া সম্ভব নয়। শিক্ষা নিয়ে চিন্তা করতে হলে স্পষ্টতই দুটো বাক্য কোন সম্ভাবনা হিসেবে এখানে উপস্থাপন করা হয়নি। গ্রন্থে সংরক্ষিত কোন তথ্য আশ্রয় করে নয়, পারিপার্শ্বের প্রত্যক্ষনে প্রাপ্ত প্রকৃত তথ্য সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এখানে। কিন্তু বাংলাদেশের উচ্চতর শিক্ষায় যে তথ্য ব্যবহার করা হয় সেই সব তথ্য সমন্বয়ে এই সিদ্ধান্তগুলো উৎপন্ন হতে পারেনা।
শিক্ষা কত প্রকার?- বাক্য শেষের প্রশ্নবোধক চিহ্নটি জানায় যে বাক্যটি একটি প্রশ্ন এবং কথোপকথনে প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত স্বরভঙ্গিকে ব্যবহার করে প্রশ্নবোধক করে নিতে হবে। ব্যক্তি প্রশ্নের মুখে যে সহজাত প্রতিক্রিয়া করে থাকে এখানে জাতি মানসিকতায় সেই সহজাত প্রতিক্রিয়া কার্যকর হতে পারেনা। কেননা বাংলাদেশের শিক্ষা প্রশ্ন প্রয়োগে ব্যক্তির সহজাত আচরণের সাথে ভিন্ন একটি আচরণকে সাপেক্ষীকরনের মাধ্যমে স্থায়ী করে তুলেছে। বাক্যে ব্যবহৃত প্রশ্নবোধক (?) চিহ্নটি আমাদেরকে জানায় যে বাক্যটি পাঠ করার সময় প্রশ্নের মত করে পাঠ করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন করা হয়েছে মনে করে উত্তর খুঁজবার জন্য পারিপার্শ্বে শিক্ষাকে খোজা যাবে না। কেননা উত্তরটি খুঁজে পাওয়ার পরই কেবল প্রশ্নটি করা হয়েছে এবং প্রাপ্ত উত্তরটি জানাবার প্রয়োজনে এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিংবা ব্যক্তির উত্তরটি জানা আছে কিনা সেটা মুল্যায়নের জন্য
শিক্ষা প্রসংজ্ঞে তত্ত্বীয় আলোচনার সুযোগ এখানে শিক্ষা প্রাপ্তদের (শিক্ষিতদের) জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষা প্রাপ্ত ব্যক্তি শিক্ষা বিষয়ে উচ্চতর ভাবনার অধিকার পেয়ে থাকেন। চারস্তরীয় শিক্ষার সর্বত্র যে বিপদজনক কারিকুলাম( মানসিকতা তৈরী করার একটি সামগ্রিকতায় থাকা উপলব্ধি)সক্রিয় হয়ে আছে সেই কারিকুলাম গঠিত মানসিকতায় অবচেতনে এইসব নির্দেশনা এবং অধিকারকে শর্ত করা হয়েছে। উচ্চ এবং উচ্চতর শিক্ষা প্রাপ্তদের এবং রাষ্ট্র যন্ত্র পরিচালনার উচ্চতর অবস্থান সুযোগ নিয়ে অল্প শিক্ষাপ্রাপ্ত এবং শিক্ষা অপ্রাপ্তদেরকে এই অধিকারকে মেনে নেবার উপযোগী মানসিক গঠন দিতে প্রয়োজনীয় সামাজিক কারিকুলামকে পরিকল্পনা অনুসারে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জাতি মানসিকতা এইসব অধিকারকে অবচেতনে মেনে নির্দেশনাটি প্রদান করে চলেছে এবং অবচেতনে এই নির্দেশনা পালনে অভ্যস্থ হয়েছি আমরা।
এটা বিস্ময়কর যে, শিক্ষা কত প্রকারের হতে পারে সেটা ভেবে দেখার, খুঁজে নেবার বা সন্ধান করার কোন সুযোগ বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর কেউ এ পর্যন্ত পায়নি এবং সমসাময়িক ধারাবাহিকতায় আগত ভবিষ্যতে কেউ যেন শিক্ষার প্রকার খুঁজবার উদ্যোগ নিতে না পারে, পারে সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে। আর রাষ্ট্রীয় শক্তিকে ব্যবহার করে আই ই আর শিক্ষার্থীদেরকে সেই সক্ষমতা দিতে চলেছে যেখানে শিক্ষাকে খুজবার জন্য প্রত্যক্ষনীয় ইন্দ্রিয় যে ব্যবহার হতে পারে সেটা যেন অব্যবহৃত হতে পারে। কেননা একাডেমীক লেভেল প্রফেসরেরা ইতিমধ্যে শিক্ষার প্রকার খুঁজে পেয়েছে এবং প্রাপ্ত প্রকারভেদের তথ্যকে কোনরকম সন্দেহের সুযোগ ছাড়াই প্রচার করা হয়েছে এবং বংশধারায় সরবরাহের জন্য বই বা গ্রন্থাকারে সংরক্ষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চতর শিক্ষার সন্ধানে প্রাপ্ত প্রকারভেদের এই তথ্য প্রচলিত প্রক্রিয়া অনুসারে শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় এডমিনিস্ট্রেটিভ পারপাসে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রশ্নটি যে উত্তরকে এনে দিয়েছে সেই তথ্যকে বিভিন্ন কার্যক্রমের পদ্ধতি মূল্যায়নে এবং পরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যবহার করা হয়েছে। এরকম স্থিরকৃত বিষয়ে – ব্যক্তি নতুন করে চারপাশে তাকিয়ে শিক্ষার প্রকার খুজতে চাইলে বিপদে পড়বে।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি পরিভাষায় ওয়ার্ল্ডস্কুল বা ইউনিভার্সস্কুল কিছুতেই ইউনিভার্সিটি নয়) শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট এর উচ্চতর মর্যাদা প্রকাশক শব্দ অনার্স এবং মাস্টার্সের উচ্চতর নিরর্থকতায় কিংবা দূর্বোধ্যতায় শিক্ষাকে তিনটি প্রকার হিসেবে খুঁজে পেয়েছে ।
অতএব শিক্ষা কত প্রকার প্রশ্নটির সাথে এর প্রকারভেদকে জাতিজ্ঞানে স্থায়ী করে তুলবার জন্য সংরক্ষন করা হয়েছে। তিন প্রকার শিক্ষা গ্রন্থবদ্ধ হয়ে ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন অঞ্চলে অনাগত বংশধারার কাছে পূর্বপুরুষের তথ্য হয়ে উঠবার জন্য। এভাবেই জাতিজ্ঞানে অন্তর্ভূক্ত হয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিভিন্ন নতুন পরিস্থিতির সাথে অভিযোজনের প্রয়োজনেত চিন্তায় ব্যবহার করা হবে এই তথ্যগুলো। তথ্যের অযৌন শংকরায়নের সম্ভাবনাটি এখানে এসে ধরা দিতে শুরু করে। যদিও প্রকাশে ভাষার সীমাবদ্ধতা থেকে এই আলোচনাটি পৃথক হয়ে পরিসর পাবে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে চিন্তার জন্য ভাষাকে যেভাবে ব্যবহার হতে দেখি আমরা এর বাইরেও চিন্তার একটি উৎস সক্রিয় থাকে যেখানে ভাষা ভিন্ন কোন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে।
বর্তমানে উচ্চতর শিক্ষার অধ্যাপকেরা অসীম সময়কালের জন্য এই দায়ভার নেবার জন্য টিকে থাকবেন না। কিন্তু জাতি ধারনায় সে সময়ের বর্তমানের ব্যক্তি আর আজকের অধ্যপক হয়ে থাকা ব্যক্তি অভিন্ন । সে সময় পর্যন্ত।
১. আনুষ্ঠানিক শিক্ষা (Formal Education)
২. উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা (Nonformal Education ) এবং
৩. অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা
(Non-formal Education)
এটা নিশ্চিত যে কয়েক রকমের শিক্ষা বা তিন প্রকারের শিক্ষাকে এ অঞ্চলের বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর কেউ প্রত্যক্ষনে নিতে পারেনি। শিক্ষার বিমূর্তয়ায় স্বয়ং শিক্ষা যেখানে অপ্রত্যক্ষনীয় একটি ধারনা হয়ে জাতি মানসিকতায় টিকে আছে সেখানে শিক্ষার প্রকার খুঁজবার কোন প্রশ্ন গড়ে উঠবার কথা ছিল না। যদি জোড় করে মেনে নিতে হয় যে শিক্ষা শব্দটি পাশ্চাত্যে বসবাসকারী ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা ব্যাক্তির অন্তে এডুকেশন যে ধারনাটি তৈরী করবে , এ অঞ্চলের বাংলা ব্যাবহারকারীর মনে শিক্ষা ঠিক সেই এডুকেশনের ধারনাকে তৈরী করে থাকে সে ক্ষেত্রেও (যদিও তা অসম্ভব হবে) এ অঞ্চলে দাঁড়িয়ে শিক্ষা বা এডুকেশনকে উল্লেখিত তিন প্রকার হিসেবে কেউ কাল্পনিক প্রত্যক্ষনে পৌছুতে পারবে না। এখানে অনুমান করা যাচ্ছে যে পরবর্তী অংশে যা প্রকাশ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, পড়ার মাধ্যমে সেই প্রকাশিত তথ্যকে পেতে হলে প্রাথমিক দূর্বোধ্যতাকে কিছুক্ষণ এড়িয়ে যেতে হবে। কেননা জাতি মানসিকতা বর্তমানে যে চিন্তনে সক্ষম হয়ে আছে সেখানে কতগুলো শব্দ অব্যবহৃত থাকায় দূর্বোধ্যতাকে এনে দিতে পারে।
সমসাময়িক জাতি মানসিকতা শিক্ষা এবং এডুকেশন এর মধ্যে কোন পার্থক্যের সম্ভাবনাকে চিন্তায় নিতে পারেনা। অর্থাৎ শিক্ষা অর্থ এডুকেশন বা উভয়কে একই অর্থে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যদিও শিক্ষা এবং এডুকেশন এর একই অর্থবোধকতাকে কেউ যাচাই করেনি। এরকম ভাবে শিক্ষা আলোচনায় ব্যবহৃত আর কিছু মৌলিক শব্দের ক্ষেত্রে এই সমার্থকতাকে নিয়ে সামান্য সন্দেহ প্রকাশ করা হয়না।
প্রকৃতপক্ষে, বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠী বর্তমানে যে শিক্ষা কাঠামোকে অনুসরন করে শিক্ষার আয়োজন করেছে সেই কাঠামোটি এবং শিক্ষাকে পরিচালনার বা নিয়ন্ত্রণকারী রাষ্ট্র কাঠামো উভয়টি কলোনিয়াল শাসন আমলে গড়ে তোলা হয়েছিল। কলোনিয়াল শাসকদের চলে যাবার পর ক্ষমতার রদবদলের সময় প্রথম ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল আরো একটি ভিন্ন জাতির উচ্চ শিক্ষিত এলিট শ্রেণীর হাতে। তাদের হাত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর এ জাতির হাতে ক্ষমতা একইভাবে উচ্চ শিক্ষিত শ্রেণীর হাতে পুনরায় হস্তান্তরিত হয়।
সেক্ষেত্রে একটি সম্ভাবনা তৈরী হতে পারে যেখানে শিক্ষাকে কলোনিয়াল এলিয়েনেরা ব্যবহার করেছিলেন এই রাষ্ট্র ব্যবস্থাটি টিকিয়ে রাখার জন্য। শিক্ষার একটি প্রবনতা রয়েছে যেখানে উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় শাসন যন্ত্রের পরিচালনার উপযোগী মানসিকতা তৈরী হয়ে থাকে। ব্যক্তিকে প্রস্তুত করারা জন্য শিক্ষাকে ভিত্তি করে রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালিত হয়ে চলেছে। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত শব্দাবলীর উৎস এই শিক্ষার লক্ষ্যনীয় প্রোগ্রামকে এক বাক্যে সবাই অনুষ্ঠান বলতে চাইবে, আবার প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ফরম্যাল শব্দটিকে আনুষ্ঠানিক বলার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী শব্দ দ্বারা চিন্তন বাধাগ্রস্থ হতে পারবে না। এরকম ট্রেনকে রেলগাড়ি বলার প্রয়োজন শেষ হয়ে বিশেষ যানবাহন হিসেবে ট্রেন স্বয়ং আত্মনির্ভিরশীল শব্দ হয়ে থাকা স্বত্ত্বেও ট্রেইনিং কে কেন প্রশিক্ষণ বলার প্রয়োজন হয়েছিল সেটার কারন যিনি ট্রেইনিং কে প্রশিক্ষন শব্দে পরিচিত করেছিলেন তিনি ব্যাখ্যা করতে পারবেন। ইংরেজি ট্রেনিং এর প্রথম খন্ড ট্রেন শব্দটি পূর্ববর্তী ট্রেন এর দ্বারা বাধাগ্রস্থ হবে না। বিপরীত প্রক্রিয়া হিসেবে প্রশিক্ষণ শব্দটি অব্যয় প্র ব্যতীত শুধু শিক্ষণ এবং শিক্ষা – শব্দগত আকারে এবং শ্রবণে সাদৃশ্যজনিত ভ্রান্ত সমার্থকতায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শিক্ষা কার্যক্রমে রূপান্তরিত হলেও বাধা পড়েনা। শিক্ষণ এবং শিক্ষার বৈপরীত্য এ সাদৃশ্যে ধরা দেয়না। যদিও শিক্ষণের চলিত রুপ শিখন বা শেখা সহজেই শিক্ষা থেকে ভিন্ন হয়ে প্রশিখন হয়ে উঠবে না।
এটা নিশ্চিত যে কয়েক রকমের শিক্ষা বা তিন প্রকারের শিক্ষাকে এ অঞ্চলের বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর কেউ প্রত্যক্ষনে নিতে পারেনি। শিক্ষার বিমূর্তয়ায় স্বয়ং শিক্ষা যেখানে অপ্রত্যক্ষনীয় একটি ধারনা হয়ে জাতি মানসিকতায় টিকে আছে সেখানে শিক্ষার প্রকার খুঁজবার কোন প্রশ্ন গড়ে উঠবার কথা ছিল না। যদি জোড় করে মেনে নিতে হয় যে শিক্ষা শব্দটি পাশ্চাত্যে বসবাসকারী ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা ব্যাক্তির অন্তে এডুকেশন যে ধারনাটি তৈরী করবে , এ অঞ্চলের বাংলা ব্যাবহারকারীর মনে শিক্ষা ঠিক সেই এডুকেশনের ধারনাকে তৈরী করে থাকে সে ক্ষেত্রেও (যদিও তা অসম্ভব হবে) এ অঞ্চলে দাঁড়িয়ে শিক্ষা বা এডুকেশনকে উল্লেখিত তিন প্রকার হিসেবে কেউ কাল্পনিক প্রত্যক্ষনে পৌছুতে পারবে না। এখানে অনুমান করা যাচ্ছে যে পরবর্তী অংশে যা প্রকাশ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, পড়ার মাধ্যমে সেই প্রকাশিত তথ্যকে পেতে হলে প্রাথমিক দূর্বোধ্যতাকে কিছুক্ষণ এড়িয়ে যেতে হবে। কেননা জাতি মানসিকতা বর্তমানে যে চিন্তনে সক্ষম হয়ে আছে সেখানে কতগুলো শব্দ অব্যবহৃত থাকায় দূর্বোধ্যতাকে এনে দিতে পারে।
সমসাময়িক জাতি মানসিকতা শিক্ষা এবং এডুকেশন এর মধ্যে কোন পার্থক্যের সম্ভাবনাকে চিন্তায় নিতে পারেনা। অর্থাৎ শিক্ষা অর্থ এডুকেশন বা উভয়কে একই অর্থে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যদিও শিক্ষা এবং এডুকেশন এর একই অর্থবোধকতাকে কেউ যাচাই করেনি। এরকম ভাবে শিক্ষা আলোচনায় ব্যবহৃত আর কিছু মৌলিক শব্দের ক্ষেত্রে এই সমার্থকতাকে নিয়ে সামান্য সন্দেহ প্রকাশ করা হয়না।
প্রকৃতপক্ষে, বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠী বর্তমানে যে শিক্ষা কাঠামোকে অনুসরন করে শিক্ষার আয়োজন করেছে সেই কাঠামোটি এবং শিক্ষাকে পরিচালনার বা নিয়ন্ত্রণকারী রাষ্ট্র কাঠামো উভয়টি কলোনিয়াল শাসন আমলে গড়ে তোলা হয়েছিল। কলোনিয়াল শাসকদের চলে যাবার পর ক্ষমতার রদবদলের সময় প্রথম ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল আরো একটি ভিন্ন জাতির উচ্চ শিক্ষিত এলিট শ্রেণীর হাতে। তাদের হাত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর এ জাতির হাতে ক্ষমতা একইভাবে উচ্চ শিক্ষিত শ্রেণীর হাতে পুনরায় হস্তান্তরিত হয়।
সেক্ষেত্রে একটি সম্ভাবনা তৈরী হতে পারে যেখানে শিক্ষাকে কলোনিয়াল এলিয়েনেরা ব্যবহার করেছিলেন এই রাষ্ট্র ব্যবস্থাটি টিকিয়ে রাখার জন্য। শিক্ষার একটি প্রবনতা রয়েছে যেখানে উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় শাসন যন্ত্রের পরিচালনার উপযোগী মানসিকতা তৈরী হয়ে থাকে। ব্যক্তিকে প্রস্তুত করারা জন্য শিক্ষাকে ভিত্তি করে রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালিত হয়ে চলেছে। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত শব্দাবলীর উৎস এই শিক্ষার লক্ষ্যনীয় প্রোগ্রামকে এক বাক্যে সবাই অনুষ্ঠান বলতে চাইবে, আবার প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ফরম্যাল শব্দটিকে আনুষ্ঠানিক বলার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী শব্দ দ্বারা চিন্তন বাধাগ্রস্থ হতে পারবে না। এরকম ট্রেনকে রেলগাড়ি বলার প্রয়োজন শেষ হয়ে বিশেষ যানবাহন হিসেবে ট্রেন স্বয়ং আত্মনির্ভিরশীল শব্দ হয়ে থাকা স্বত্ত্বেও ট্রেইনিং কে কেন প্রশিক্ষণ বলার প্রয়োজন হয়েছিল সেটার কারন যিনি ট্রেইনিং কে প্রশিক্ষন শব্দে পরিচিত করেছিলেন তিনি ব্যাখ্যা করতে পারবেন। ইংরেজি ট্রেনিং এর প্রথম খন্ড ট্রেন শব্দটি পূর্ববর্তী ট্রেন এর দ্বারা বাধাগ্রস্থ হবে না। বিপরীত প্রক্রিয়া হিসেবে প্রশিক্ষণ শব্দটি অব্যয় প্র ব্যতীত শুধু শিক্ষণ এবং শিক্ষা – শব্দগত আকারে এবং শ্রবণে সাদৃশ্যজনিত ভ্রান্ত সমার্থকতায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শিক্ষা কার্যক্রমে রূপান্তরিত হলেও বাধা পড়েনা। শিক্ষণ এবং শিক্ষার বৈপরীত্য এ সাদৃশ্যে ধরা দেয়না। যদিও শিক্ষণের চলিত রুপ শিখন বা শেখা সহজেই শিক্ষা থেকে ভিন্ন হয়ে প্রশিখন হয়ে উঠবে না।
শিক্ষার সাথে এডুকেশ শব্দটি চিন্তাকে বিপথগামীতায় কোন সন্দেহের কাছে নিতে পারে না। মানুষের
চিন্তা সংঘটনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া থেকে বাংলাভাষা ব্যবহারকারী ব্যক্তির
চিন্তা প্রক্রিয়াটি ভিন্নতায় সক্রিয়তা পেয়েছে। এই ভিন্নতাটি উপলব্ধি করতে হলে শিক্ষার
প্রকারভেদ নিয়ে উচ্চতর শিক্ষা যে তথ্যকে সংরক্ষণ করে সরবরাহ করেছে সেই তথ্য সাহায্য
করতে পারে। এখানে শিক্ষা কত প্রকার জানবার জন্য নয়, কিংবা বর্তমান প্রকারভেদের
ত্রুটিকে সনাক্ত করার জন্য নয়, বাংলাভাষী মানুষের চিন্তা যে জাতি জ্ঞানকে অস্বীকার
করে চলেছে এবং শিক্ষা যে প্রতিনিয়ত এ জাতির চিন্তা করার প্রক্রিয়াকে এক বিশেষ ভিন্নতা
দিয়ে চলেছে সেই প্রক্রিয়াকে দৃশ্যমান করার জন্য উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে গ্রন্থাকারে
সংরক্ষিত এই প্রকারভেদ সম্পর্কিত তথ্য এখানে বিশ্লেষন করা হবে। মাত্রা দেবার চেষ্টা
করা হয়েছে।
উচ্চ শিক্ষায় ব্যবহৃত গ্রন্থগুলো সাধারণত শুধুমাত্র বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের পাঠ উপযোগী করে তৈরী করা হয়ে থাকে। লেখক বা গ্রন্থাকার অধ্যাপকেরা শিক্ষার্থীর চাহিদাকে লক্ষ্য করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষন করে থাকে, যা মুখবন্ধ বা ভূমিকায় স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এই গ্রন্থ গুলো এভাবে একটি একাডেমিক স্টাইল তৈরী করেছে এবং নিশ্চিতভাবেই এই স্টাইলকে আমরা সাহিত্য সংস্কৃতির আলোচনায় অন্তর্ভূক্ত করে এখনো কোন শাখার অন্তর্গত করে তুলিনি। অন্তত আবহমান সাহিত্য সংস্কৃতির সাথে যে জাতি স্বত্ত্বা মিশ্রিত হয়ে আছে সবার অলক্ষ্যেই এই একাডেমীক স্টাইল এখনো জাতি স্বত্তার সাথে সম্পর্কিত নয় হিসেবে বিবেচিত হয়ে চলেছে। স্বিকৃত একাডেমিক স্টাইল হিসেবে আলোচনার মাঝে মাঝেই ব্রাকেটাবদ্ধ ইংরেজি শব্দগুলো যে উপস্থাপন করে থাকে সেই শব্দগুলো অন্তত এখনো আমাদেরকে বলতে চাইছে যে এই বক্তব্যের উৎস এ জাতির নিজস্ব চিন্তায় জাগ্রত হতে পারেনি। তথ্যটির উৎসকে প্রকাশ করছে। অতএব শুরুতে বুঝতে পারা যায়- শিক্ষার এই প্রকারভেদ স্বজাতির অন্তর্গত কোন একক ব্যক্তি বা একাধিক ব্যক্তির দলবদ্ধ মানসিকতার চিন্তা বা ভাবনার সক্রিয়তা থেকে জাগ্রত হয়নি। প্রকৃত পক্ষে এখানে উচ্চশিক্ষার জন্য নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান যা ইউনিভার্সিটি নামে প্রতিষ্ঠিত হবার পরো অযথাই মানুষের চিন্তায় বিভ্রম সৃষ্টিতে বাংলা ভাষার দুটো শব্দের মিশ্রণে বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে প্রচারিত হয়েছে, সেখানে উচ্চতর জ্ঞান চর্চায় তথ্য উৎপাদনে নিয়োজিত প্রফেসরদের মাধ্যমে পাশ্চাত্যের ইংরেজি ভাষী ব্যক্তি মানসিকতায় জাগ্রত জ্ঞানের যে প্রকাশ হয়ে থাকে, সেই প্রকাশিত তথ্য সে জাতির জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল এবং সে জাতির বংশধারার কাছে ধারাবাহিক ব্যবহার উপযোগী করার জন্য সংরক্ষন করা হয়েছিল, সেই তথ্যগুলো সরবরাহ করা হয়ে থাকে। চলমান তথ্য শক্তির তাড়নাকে এই সরবরাহ তথ্য ব্যবহারের প্রতি নিসন্দেহ থেকে আগ্রহী হয়ে উঠতে তাড়িত করতে পারছে। হবার পর সেই তথ্য সরবরাহ করা হয়। প্রকাশিত তথ্য সরবরাহে এসেছে। এর পেছনে একটি জাতি কর্তৃক অন্য একটি জাতির চিন্তাকে নিয়ন্ত্রন করার গোপন লক্ষ্যকে সন্দেহ করার সুযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে প্রযুক্তি শক্তি ব্যবহার করে যেভাবে তারা বিশ্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী হয়েছিল এখন হয়ত তথ্য প্রযুক্তি দ্বারা একইভাবে বিশ্ব কর্তৃত্ব সুগঠিত করছে। অতীত ইতিহাসের সাম্রাজ্যবাদি শাসকের ব্যবহৃত অস্ত্র প্রযুক্তির বিরুদ্ধে শাসিত জনগোষ্ঠী যেভাবে রুখে দাড়াতে পারেনি এখানে তথ্য প্রযুক্তিক্র রুখবার প্রয়োজন মনে করার মত বিপদজনক মনে করা যায়নি। অথচ সর্বাপেক্ষা ভয়ংকর অযৌন শংকরায়নের সক্ষমতায় এ অঞ্চলের মানুষের চিন্তা করার প্রক্রিয়াটিকে নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে অন্য জাতির মানুষেরা। জাতির চিন্তা সক্ষমতাকে এই নিয়ন্ত্রনে বন্দি করতে উদ্দিপিত হয়ে চলেছি আমরা।
এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন উচ্চতর শিক্ষা যে তিন প্রকার শিক্ষাকে তথ্য হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং সেই তথ্য ভবিষ্যত বংশধারার ব্যবহারের জন্য গ্রন্থাকারে সংরক্ষন করেছে সেই তথ্য আদৌ এ জাতির নিজস্ব প্রত্যক্ষনে প্রাপ্ত নয় এবং নিজস্ব চিন্তায় প্রকাশিত তথ্য নয়।
এই বক্তব্যকে সমর্থনের প্রাথমিক সু্যোগ আমাদের অধ্যাপকেরা হয়ত অবচেতনে কিংবা সচেতন পরিকল্পনায় সংকেত দ্বারা চিহ্নিত করে রেখেছেন। দেখা যাচ্ছে প্রতিটি প্রকারের উল্লেখের পর ব্রাকেটাবদ্ধ ইংরেজী শব্দযুক্ত করেছেন। শিক্ষার্থীকে লক্ষ্য করে উপস্থাপিত তথ্যের পাশাপাশি এই ব্রাকেটাবদ্ধ শব্দগুলো প্রকৃতপক্ষে এই তথ্যের প্রকৃত উৎসকে চিহ্নিত করছে। তা না হয়ে থাকলে অন্তত ব্রাকেটবদ্ধ শব্দগুলোর কোন প্রয়োজন পড়ত না।
এ পাশ্চাত্যের কেউ এ অঞ্চলের শিক্ষাকে এই তিনটি ভিন্নতায় চলমান দেখেছে।
জাতি মানসিকতায় মুদ্রিত তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং যথার্থতা সর্বোচ্চ বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। এমনকি এখান্র স্বপ্রত্যক্ষনে প্রাপ্ত তথ্য বা প্রকৃত তথ্যকে মুদ্রিত বা লিখিত তথ্য অস্বীকার করতে পারে। ব্যক্তি যখন অন্যতে কোন তথ্যকে উপস্থাপন করে থাকে তখন ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তায় প্রাপ্ত তথ্য হিসেবে উল্লেখ করলে সেই তথ্যের গ্রহনযোগ্যতা যতটা বিবেচিত হতে পারে তার চাইতে অনেক বেশী গ্রহনযোগ্য হয়ে ওঠে তথ্যের উৎস যদি পাশ্চাত্যের কোন নাম ব্যবহার করে আবার যেহেতু বাংলা ভাষায় পাশ্চাত্যের ইংরেজদের ব্যবহৃত রিসার্চের মত শক্তিশালী শব্দের ব্যবহার নেই , পরিবর্তে রিসার্চকে উচ্চতর অনুসন্ধানে গবেষণা শব্দের নিরর্থকতায় প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে শিক্ষার তিন প্রকারকে ভবিষ্যৎ বংশধারায় আগত কেউ যেন পুনরায় খুঁজতে বা আরেকবার সন্ধানের চেষ্টা নিতে না পারে সেটাও নিশ্চিত করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার এই প্রকারকে পাশ্চাত্যের বংশধারা রিসার্চে বা পুনঃ সন্ধানে নতুন করে খুঁজে পেয়ে ভিন্ন তথ্য সরবরাহ করবে ততদিনের জন্য শিক্ষার তিন প্রকার জাতি জ্ঞানের অংশ হয়ে ব্যবহার হতে থাকবে। উচ্চতর শিক্ষা গবেষণার মাধ্যমে সরবরাহকৃত তথ্যের বাংলা রূপ দিতে নতুন বাংলা শব্দ সৃষ্টির সাফল্যজনক সৃজনশীলতায় পরিতৃপ্ত অধ্যপক হয়ে উঠবে। পাশ্চাত্যের জ্ঞানের প্রকাশ হিসেবে তথ্য, যা সরবরাহ করা হয় নিয়মিত বিরতিতে , আমাদের উচ্চতর শিক্ষা সেই সরবরাহকৃত তথ্যের অনুদিত বক্তব্যকে স্বজ্ঞান ভেবে নিয়ে পুনঃ প্রকাশে সংরক্ষিত করে থাকে পুস্তক রূপে। উচ্চতর শিক্ষায় এই সরবরাহকৃত তথ্য দ্বারা ব্যক্তির অন্তজ্ঞান প্রতিনিয়ত প্রতিস্থাপনে উচ্চতর নির্জ্ঞানতায় বিকশিত ব্যক্তি নির্ধারন করে চলেছে পরবর্তী বংশানুর সজ্জাকে। শিক্ষায় প্রবাহিত ক্রম্পুঞ্জিভূত এই প্রতিষ্ঠাপিত জ্ঞানের প্রকৃত চরিত্রটি অপ্রত্যক্ষনীয় হয়ে উঠবে সময়ের ব্যবধানে।
উচ্চ বা উচ্চতর শিক্ষা হিসেবে বাংলাদেশে অনার্স এবং মাস্টার্স শব্দ চিহ্নিত হয়ে আইইআর স্বয়ং শিক্ষাকে পৃথক বিষয়ের মর্যাদায় সাবজেক্ট রুপে ১৯৯৭ সাল থেকে শিক্ষা আলোচনা শুরু করে, সে হিসেবে প্রায় দুই দশক ধরে শিক্ষা নিয়ে উচ্চতর পর্যায়ে চিন্তা ভাবনার সুযোগ পেয়েছি। অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিষয় বা বিভাগ শিক্ষার অন্তর্গত হয়ে ১৯২১ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে আরম্ভ করা হয়েছিল। তুলনামুলক বিচারে শিক্ষাকে একটি একক বিষয় বা বিভাগের মর্যাদা পেতে বেশি সময় লেগেছে। উচ্চতর শিক্ষায় আইইআর যেখানে এসে শিক্ষা ভাবনা শুরু করেছিল, সেখানে সুযোগ হয়েছিল শিক্ষা ধারনায় মিশ্রিত ভ্রান্তিগুলো সরিয়ে ফেলার। কেননা শিক্ষার সামগ্রিকতাকে অন্যান্য বিষয়ের জ্ঞান ব্যবহার করে বিশ্লেষণের সুযোগ রয়েছে। আইইআর উচ্চতর শিক্ষা আলোচনার যে স্টাইলকে প্রতিষ্ঠিত করতে চলেছে সেটা ভবিষ্যত প্রজন্মের মাধ্যমে অনুসৃত হয়ে শিক্ষাকে বিপথগামি করে জাতিকে বিভ্রান্ত করবে। জাতি মানসিকতায় মিশ্রিত শিক্ষা ভ্রান্তিকে আর শক্তিশালী স্থায়িত্ব দিতে উচ্চতর শিক্ষা আলোচনাকে আই ই এর উচ্চ মর্যাদা ব্যবহৃত হবে।
উচ্চ শিক্ষায় ব্যবহৃত গ্রন্থগুলো সাধারণত শুধুমাত্র বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের পাঠ উপযোগী করে তৈরী করা হয়ে থাকে। লেখক বা গ্রন্থাকার অধ্যাপকেরা শিক্ষার্থীর চাহিদাকে লক্ষ্য করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষন করে থাকে, যা মুখবন্ধ বা ভূমিকায় স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এই গ্রন্থ গুলো এভাবে একটি একাডেমিক স্টাইল তৈরী করেছে এবং নিশ্চিতভাবেই এই স্টাইলকে আমরা সাহিত্য সংস্কৃতির আলোচনায় অন্তর্ভূক্ত করে এখনো কোন শাখার অন্তর্গত করে তুলিনি। অন্তত আবহমান সাহিত্য সংস্কৃতির সাথে যে জাতি স্বত্ত্বা মিশ্রিত হয়ে আছে সবার অলক্ষ্যেই এই একাডেমীক স্টাইল এখনো জাতি স্বত্তার সাথে সম্পর্কিত নয় হিসেবে বিবেচিত হয়ে চলেছে। স্বিকৃত একাডেমিক স্টাইল হিসেবে আলোচনার মাঝে মাঝেই ব্রাকেটাবদ্ধ ইংরেজি শব্দগুলো যে উপস্থাপন করে থাকে সেই শব্দগুলো অন্তত এখনো আমাদেরকে বলতে চাইছে যে এই বক্তব্যের উৎস এ জাতির নিজস্ব চিন্তায় জাগ্রত হতে পারেনি। তথ্যটির উৎসকে প্রকাশ করছে। অতএব শুরুতে বুঝতে পারা যায়- শিক্ষার এই প্রকারভেদ স্বজাতির অন্তর্গত কোন একক ব্যক্তি বা একাধিক ব্যক্তির দলবদ্ধ মানসিকতার চিন্তা বা ভাবনার সক্রিয়তা থেকে জাগ্রত হয়নি। প্রকৃত পক্ষে এখানে উচ্চশিক্ষার জন্য নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান যা ইউনিভার্সিটি নামে প্রতিষ্ঠিত হবার পরো অযথাই মানুষের চিন্তায় বিভ্রম সৃষ্টিতে বাংলা ভাষার দুটো শব্দের মিশ্রণে বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে প্রচারিত হয়েছে, সেখানে উচ্চতর জ্ঞান চর্চায় তথ্য উৎপাদনে নিয়োজিত প্রফেসরদের মাধ্যমে পাশ্চাত্যের ইংরেজি ভাষী ব্যক্তি মানসিকতায় জাগ্রত জ্ঞানের যে প্রকাশ হয়ে থাকে, সেই প্রকাশিত তথ্য সে জাতির জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল এবং সে জাতির বংশধারার কাছে ধারাবাহিক ব্যবহার উপযোগী করার জন্য সংরক্ষন করা হয়েছিল, সেই তথ্যগুলো সরবরাহ করা হয়ে থাকে। চলমান তথ্য শক্তির তাড়নাকে এই সরবরাহ তথ্য ব্যবহারের প্রতি নিসন্দেহ থেকে আগ্রহী হয়ে উঠতে তাড়িত করতে পারছে। হবার পর সেই তথ্য সরবরাহ করা হয়। প্রকাশিত তথ্য সরবরাহে এসেছে। এর পেছনে একটি জাতি কর্তৃক অন্য একটি জাতির চিন্তাকে নিয়ন্ত্রন করার গোপন লক্ষ্যকে সন্দেহ করার সুযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে প্রযুক্তি শক্তি ব্যবহার করে যেভাবে তারা বিশ্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী হয়েছিল এখন হয়ত তথ্য প্রযুক্তি দ্বারা একইভাবে বিশ্ব কর্তৃত্ব সুগঠিত করছে। অতীত ইতিহাসের সাম্রাজ্যবাদি শাসকের ব্যবহৃত অস্ত্র প্রযুক্তির বিরুদ্ধে শাসিত জনগোষ্ঠী যেভাবে রুখে দাড়াতে পারেনি এখানে তথ্য প্রযুক্তিক্র রুখবার প্রয়োজন মনে করার মত বিপদজনক মনে করা যায়নি। অথচ সর্বাপেক্ষা ভয়ংকর অযৌন শংকরায়নের সক্ষমতায় এ অঞ্চলের মানুষের চিন্তা করার প্রক্রিয়াটিকে নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে অন্য জাতির মানুষেরা। জাতির চিন্তা সক্ষমতাকে এই নিয়ন্ত্রনে বন্দি করতে উদ্দিপিত হয়ে চলেছি আমরা।
এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন উচ্চতর শিক্ষা যে তিন প্রকার শিক্ষাকে তথ্য হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং সেই তথ্য ভবিষ্যত বংশধারার ব্যবহারের জন্য গ্রন্থাকারে সংরক্ষন করেছে সেই তথ্য আদৌ এ জাতির নিজস্ব প্রত্যক্ষনে প্রাপ্ত নয় এবং নিজস্ব চিন্তায় প্রকাশিত তথ্য নয়।
এই বক্তব্যকে সমর্থনের প্রাথমিক সু্যোগ আমাদের অধ্যাপকেরা হয়ত অবচেতনে কিংবা সচেতন পরিকল্পনায় সংকেত দ্বারা চিহ্নিত করে রেখেছেন। দেখা যাচ্ছে প্রতিটি প্রকারের উল্লেখের পর ব্রাকেটাবদ্ধ ইংরেজী শব্দযুক্ত করেছেন। শিক্ষার্থীকে লক্ষ্য করে উপস্থাপিত তথ্যের পাশাপাশি এই ব্রাকেটাবদ্ধ শব্দগুলো প্রকৃতপক্ষে এই তথ্যের প্রকৃত উৎসকে চিহ্নিত করছে। তা না হয়ে থাকলে অন্তত ব্রাকেটবদ্ধ শব্দগুলোর কোন প্রয়োজন পড়ত না।
এ পাশ্চাত্যের কেউ এ অঞ্চলের শিক্ষাকে এই তিনটি ভিন্নতায় চলমান দেখেছে।
জাতি মানসিকতায় মুদ্রিত তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং যথার্থতা সর্বোচ্চ বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। এমনকি এখান্র স্বপ্রত্যক্ষনে প্রাপ্ত তথ্য বা প্রকৃত তথ্যকে মুদ্রিত বা লিখিত তথ্য অস্বীকার করতে পারে। ব্যক্তি যখন অন্যতে কোন তথ্যকে উপস্থাপন করে থাকে তখন ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তায় প্রাপ্ত তথ্য হিসেবে উল্লেখ করলে সেই তথ্যের গ্রহনযোগ্যতা যতটা বিবেচিত হতে পারে তার চাইতে অনেক বেশী গ্রহনযোগ্য হয়ে ওঠে তথ্যের উৎস যদি পাশ্চাত্যের কোন নাম ব্যবহার করে আবার যেহেতু বাংলা ভাষায় পাশ্চাত্যের ইংরেজদের ব্যবহৃত রিসার্চের মত শক্তিশালী শব্দের ব্যবহার নেই , পরিবর্তে রিসার্চকে উচ্চতর অনুসন্ধানে গবেষণা শব্দের নিরর্থকতায় প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে শিক্ষার তিন প্রকারকে ভবিষ্যৎ বংশধারায় আগত কেউ যেন পুনরায় খুঁজতে বা আরেকবার সন্ধানের চেষ্টা নিতে না পারে সেটাও নিশ্চিত করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার এই প্রকারকে পাশ্চাত্যের বংশধারা রিসার্চে বা পুনঃ সন্ধানে নতুন করে খুঁজে পেয়ে ভিন্ন তথ্য সরবরাহ করবে ততদিনের জন্য শিক্ষার তিন প্রকার জাতি জ্ঞানের অংশ হয়ে ব্যবহার হতে থাকবে। উচ্চতর শিক্ষা গবেষণার মাধ্যমে সরবরাহকৃত তথ্যের বাংলা রূপ দিতে নতুন বাংলা শব্দ সৃষ্টির সাফল্যজনক সৃজনশীলতায় পরিতৃপ্ত অধ্যপক হয়ে উঠবে। পাশ্চাত্যের জ্ঞানের প্রকাশ হিসেবে তথ্য, যা সরবরাহ করা হয় নিয়মিত বিরতিতে , আমাদের উচ্চতর শিক্ষা সেই সরবরাহকৃত তথ্যের অনুদিত বক্তব্যকে স্বজ্ঞান ভেবে নিয়ে পুনঃ প্রকাশে সংরক্ষিত করে থাকে পুস্তক রূপে। উচ্চতর শিক্ষায় এই সরবরাহকৃত তথ্য দ্বারা ব্যক্তির অন্তজ্ঞান প্রতিনিয়ত প্রতিস্থাপনে উচ্চতর নির্জ্ঞানতায় বিকশিত ব্যক্তি নির্ধারন করে চলেছে পরবর্তী বংশানুর সজ্জাকে। শিক্ষায় প্রবাহিত ক্রম্পুঞ্জিভূত এই প্রতিষ্ঠাপিত জ্ঞানের প্রকৃত চরিত্রটি অপ্রত্যক্ষনীয় হয়ে উঠবে সময়ের ব্যবধানে।
উচ্চ বা উচ্চতর শিক্ষা হিসেবে বাংলাদেশে অনার্স এবং মাস্টার্স শব্দ চিহ্নিত হয়ে আইইআর স্বয়ং শিক্ষাকে পৃথক বিষয়ের মর্যাদায় সাবজেক্ট রুপে ১৯৯৭ সাল থেকে শিক্ষা আলোচনা শুরু করে, সে হিসেবে প্রায় দুই দশক ধরে শিক্ষা নিয়ে উচ্চতর পর্যায়ে চিন্তা ভাবনার সুযোগ পেয়েছি। অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিষয় বা বিভাগ শিক্ষার অন্তর্গত হয়ে ১৯২১ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে আরম্ভ করা হয়েছিল। তুলনামুলক বিচারে শিক্ষাকে একটি একক বিষয় বা বিভাগের মর্যাদা পেতে বেশি সময় লেগেছে। উচ্চতর শিক্ষায় আইইআর যেখানে এসে শিক্ষা ভাবনা শুরু করেছিল, সেখানে সুযোগ হয়েছিল শিক্ষা ধারনায় মিশ্রিত ভ্রান্তিগুলো সরিয়ে ফেলার। কেননা শিক্ষার সামগ্রিকতাকে অন্যান্য বিষয়ের জ্ঞান ব্যবহার করে বিশ্লেষণের সুযোগ রয়েছে। আইইআর উচ্চতর শিক্ষা আলোচনার যে স্টাইলকে প্রতিষ্ঠিত করতে চলেছে সেটা ভবিষ্যত প্রজন্মের মাধ্যমে অনুসৃত হয়ে শিক্ষাকে বিপথগামি করে জাতিকে বিভ্রান্ত করবে। জাতি মানসিকতায় মিশ্রিত শিক্ষা ভ্রান্তিকে আর শক্তিশালী স্থায়িত্ব দিতে উচ্চতর শিক্ষা আলোচনাকে আই ই এর উচ্চ মর্যাদা ব্যবহৃত হবে।
শিক্ষা কত প্রকার? এরকম ভাবতে পারা বা উপলব্ধি করা অসম্ভব হয়ে ওঠে - প্রশ্নটি এখানে কারো চিন্তায় সক্রিয় হয়নি এবং উত্তর সন্ধান করেনি কেউ। শিক্ষার প্রকারভেদ এ জাতির মানসিকতায় এখন পর্যন্ত জাগ্রত হয়নি। শিক্ষার প্রকারভেদের ভাবনা জাতি মানসিকতায় প্রয়োজন পরেনি এখনো। যতক্ষণ পর্যন্ত পারিপার্শ্বের বস্তু শক্তির সংঘটনে ব্যক্তি মানসিকতায় শিক্ষার ভিন্ন ভিন্ন রুপ নিয়ে কোন সমস্যা দেখা দেবে ততক্ষণ কি শিক্ষার ভিন্নতা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন হবে।
শিক্ষার এই প্রকারভেদের আলোচনাটি এ জাতির কাছে সরবরাহ করা হয়েছিল। আইইআর এর উচ্চতর শিক্ষা আলোচনা উপলক্ষে প্রথম প্রজন্মের প্রফেসরদের কাছে প্রশ্ন এবং উত্তর হয়ে এসেছিল টাইপস অফ এডুকেশন শিরোনামে একটি অধ্যায় হিসেবে মুদ্রিত গ্রন্থ হয়ে। যে গ্রন্থ অধ্যাবসায়ী অধ্যয়নের মাধ্যমে প্রফেসরকে অধ্যাপক করে তুলেছিল। প্রফেশনাল অধ্যাপকের এই প্রশ্নহীন অধ্যাপনা পেশাচার্য হতে দেয়নি প্রফেসরকে। সেইসাথে প্রশ্নের সাথে প্রাপ্ত উত্তরকে পেয়ে অনুবাদের বাইরে ইন্দ্রিয় ব্যবহারে পরিবেশে উত্তর সন্ধানের প্রয়োজন মনে করেনি সে। স্বজাতির মানসিকতায় আলোচিত হয়নি কখন। এখানে সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দিতে হবে - বাংলা ভাষায় কথা বলা জনগোষ্ঠী যে অনন্য জাতি স্বত্তাকে পেয়েছে, সেখানে যে জাতিগত অন্তজ্ঞান ধারাবাহিক তথ্যকে অন্তে ধারণ করে থাকে এবং পরিবাহিত করে চলে ভবিষ্যতের বংশধারায় সেখানে শিক্ষার প্রকারভেদের আলোচনা সংঘটনে কোন চিন্তন বা ভাবনার মস্তিষ্ক ক্রিয়ার প্রতিভাস নেই। অথচ উচ্চতর পর্যায়ে শিক্ষার এই তিন প্রকারকে দাবি করে। অনার্স বা মাস্টার্সের উচ্চতর মর্যাদায় যেমন অনার্স এবং মাস্টার্স শব্দ দ্বয় জাতি মানসিকতায় বোধহীন ব্যবহারিক উচ্চ মর্যাদা পেয়ে থাকে ঠিক একইভাবে আইইআর এর শিক্ষার্থীদের কাছে এই তিন প্রকারের শিক্ষার আলোচনাটি বোধহীন হয়ে ওঠে।
শিক্ষা দুইপ্রকার।
১. স্বজাতি আয়োজিত শিক্ষা
২. বিজাতি পরিচালিত শিক্ষা
একাডেমীক লেভেলে এবং এডুকেশনের প্রফেশনাল লেভেলের বাইরে থাকা মানুষদের মধ্যে শিক্ষা কত প্রকার হতে পারে? এরকম প্রশ্নকে অবান্তর মনে হতে পারে। এই প্রশ্নটির মুখোমুখি হতে হলে শিক্ষাকে বিষয় করে শিক্ষায় অংশ নিতে হয়। উচ্চ শিক্ষার পূর্বে এখানে আদৌ কেউ শিক্ষা কত প্রকার তা জানার চেষ্টা করবে না। একাডেমীক লেভেলে শিক্ষাকে বিষয় হিসেবে নিয়ে যে সকল শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষায় এসে থাকে, তাদের মনে এই শিক্ষা নিয়ে যতটুকু আলোচনার বা ভাবনার সুযোগ হতে পারত, অধ্যাবসায়ী ভ্রান্তির মাঝে সেখানে স্বয়ংক্রিয় মস্তিষ্কের ক্রিয়াজনিত চিন্তায় শিক্ষা কত প্রকার- এরকম কোন প্রশ্ন জাগ্রত হবার সুযোগ সম্ভবত নেই। মানুষের স্বাভাবিক মস্তিষ্কের গঠন অনুসারে সমস্যার মুখে প্রশ্ন জাগ্রত হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে শিক্ষাকে নিয়ে কোন একটি সমস্যার মুখে পড়ে সেই সমস্যাটি সমাধানের লক্ষ্যে প্রশ্ন জাগ্রত হয়ে ওঠে। অর্থাৎ কেন এই সমস্যাটি হচ্ছে? আর এই একটি কেন এর উত্তর দেবার প্রয়োজন থেকে ধারাবাহিক অসংখ্য কেন? এর উৎপত্তি হতে পারে। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য সংরক্ষন করে গ্রন্থরুপে প্রকাশ করে। সাধারনত অধ্যাপক শিক্ষার্থীদের সাথে সেই গ্রন্থের তথ্যগুলো আলোচনা করে থাকে। এখানে একজন শিক্ষার্থী সেই গ্রন্থে শিক্ষার প্রকারভেদকে যেভাবে পেয়েছে সেখানে শিক্ষার তিন প্রকার উল্লেখ পেয়েছে। উপস্থাপন করে থাকে। প্রাপ্ত তথ্য দেখায় যে,
শিক্ষা তিন প্রকার।
১. আনুষ্ঠানিক শিক্ষা (Formal Education)
২. উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা (Non formal Education) এবং
৩. অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা (Informal Education)
সাধারণত উচ্চতর শিক্ষায় গ্রন্থগুলো উপন্যাসের মত ধারাবাহিক কাহিনী নির্ভর নয়। যে কারনে শিক্ষা কি একটি অধ্যায় বা চাপ্টার শেষ করে দ্বিতীয় অধ্যায়ের Types of Education দিয়ে শুরু করার কারনে পূর্ববর্তী অংশের সাথে সম্পর্কযুক্ত করার প্রয়োজন হয় না। শিক্ষাকে বিমূর্ত ধারনা স্বীকার করার পর কিভাবে তা দৃশ্যমান হয়ে তিনটি ভিন্নতায় দেখা যেতে পারে প্রশ্নটি জাগতে পারে না। এডুকেশন এবং শিক্ষা শব্দের ব্যবহারিক ভিন্নতা ধরা পড়ে না। এডুকেশন ইচ্ছে করলেই রুপ পরিবর্তনে এডুকেটিং হতে পারলেও শিক্ষা একা ক্রিয়া সুচক হতে পারে না। শিক্ষায় ক্রিয়াকে দিতে হলে শিক্ষা আয়োজনের প্রয়োজন হয়। শিক্ষা বিমূর্ত হয় বলে দেখা যায়না। কিন্তু শিক্ষা মনে করে যে আয়োজন করা যায়, সেই শিক্ষা আয়োজনের দৃশ্যমান পার্থক্য থেকে ভাগ করা যায়। টাইপস অফ এডুকেশন তাই শিক্ষা আয়োজনের প্রকারভেদ হতে পারে মনে হয়। সংশয় উচ্চ জ্ঞানের বিনয় সূচক সংযোজন। ভিন্নমতের সুযোগ পুনসন্ধানের সুযোগ রেখে দেয়।
ফরম্যাল এডুকেশনকে এখানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বলা হয়। কিন্তু তা নয় বরং ফরমাল এডুকেশনকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নামকরণ করেছিমাত্র। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কি? এই প্রশ্নের উত্তরে আমাদেরকে ফরমাল এডুকেশনের ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন হয়। আপাতভাবে এই রকম প্রক্রিয়ায় শিক্ষাকে এবং শিক্ষা সম্পর্কিত ধারণার ব্যাখ্যাকে কোন সমস্যারুপে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না।
কিন্তু যখনই আমরা নন ফরম্যাল এডুকেশনকে ব্যাখ্যা করেছি এবং একই সাথে একটি বাংলা শব্দ দ্বারা চিহ্নিত করতে চেয়েছি তখন একটি সমস্যাকে খুজে পাচ্ছি। নন ফরমাল কে বাংলা করতে চাইলে নিশ্চিতভাবেই বলতে হবে যা ফরম্যাল নয়। যার অর্থ দাঁড়ায় অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা। কেননা ফরম্যাল এডুকেশন এর ক্ষেত্রে ফরম্যাল কে আনুষ্ঠানিক শব্দ দ্বারা চিহ্নিত করা হলে এ পর্যন্ত অর্জিত ভাষার জ্ঞান নন ফরমাল এডুকেশনকে সহজেই অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা বা আনুষ্ঠানিক নয় এমন শিক্ষা হিসেবে অনুবাদ করতে চাইবে নিশ্চিত করেছি। পূর্ব অভিজ্ঞতায় এরকমটাই জেনে এসেছি। গভর্মেন্টকে বাংলায় সরকারী বলা হলে নন গভর্মেন্টকে সরকারী নয় অর্থে বেসরকারি বলেছি। কিছুটা সরকারী অর্থে উপসরকারী দাবি করেনি কেউ। সেক্ষেত্রে নন ফরম্যালকে আমরা উপানুষ্ঠানিক বলছি কেন? উচ্চতর শিক্ষায় অধ্যাপক যখন এই প্রকারভেদের আলোচনা উপস্থাপন করে থাকে শিক্ষার্থীরা একটি ধাধার মধ্যে পড়ে যায়। এই ধাধাকে ভাংতে পারিনা আমরা। ভাংতে দেয়না এই উচ্চতর শিক্ষায় স্বয়ংক্রিয় সৃষ্টি হওয়া কারিকুলাম। আ
এই ধাধাটির সমাধান আকরা প্রয়োজন অধ্যাপকের কাছে মনে হতে পারে না। শিক্ষার্থী শিক্ষার প্রকরণকে একটি ধাধারুপে গ্রহণ করে এবং টিউটরিয়াল এ ভাল নম্বরের আশায় স্মৃতিতে চিত্রিত করে বই এর মুদ্রিত বাক্যমালার ধাধাকে। এই ধাধাটি ব্যবহার হতে থাকে বোধে নিতে পারে না কেউ। এমনকি বোধে নেবার প্রয়োজন পড়ে না। কেননা উচ্চ শিক্ষায় আমরা অংশগ্রহণ করে থাকি পাশ্চাত্য ধারণাকে স্মৃতিতে সংরক্ষণ এবং পরীক্ষাকালীন সময়ে তা পুন মুদ্রিতকরণের মত উত্তর পত্রে লিখবার লক্ষ্য নিয়ে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার মাধ্যমে এই নির্বোধ তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়ার সাথে কন্ডিশন শুরু করা হয়ে থাকে এবং উচ্চ শিক্ষায় তা পূর্নতায় ব্যবহার করতে থাকি। এখানে শিক্ষার মাধ্যমে যে তথ্যের চর্চা শুরু করা হয়েছিল সেখানে প্রাথমিক তথ্যগুলো সরবরাহ করা হয়েছিল। তখন থেকেই আমরা তথ্য সংগ্রহ করে থাকি সংরক্ষিত তথ্য থেকে এবং পুনরায় সেই তথ্যগুলো সংরক্ষন করে থাকি। অন্তত তা না হলে ১২০০ শতকে আগত আরবীয়দের সংরক্ষিত তথ্যকে আমরা কিভাবে অবিকৃতভাবে, অপরিবর্ততভাবে এখনো বলে চলেছি। এখনো এখানে হাজার মানুষকে জমায়েত করে সেই তথ্যগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কোন কিছু বোধে নেবার প্রয়োজন পড়েনি কখনো।
পথ চলার পথে আমি দলগত আলোচনায় মানুষদেরকে দেখতে পাই একজন বক্তা বর্ণনা করে চলেছে ৫০০ সালের ঘটনাবলী। এমনভাবে যেন তার জীবদ্দশাতেই ঘটে গেছে এই সব ঘটনাবলী। আমার জানা নেই আরবীয়দের কি এই অতীত পুরুষদের নাম জানা আছে কি একইভাবে।
ইউনিভার্সিটি একটি বিশেষ শব্দ হিসেবে উচ্চারিত হতে পারে এখানে সেই সাথে শ্রবনকালেও সেই বিশেষত্ত্বটি টিকে থাকে। উচ্চতর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যখন ইংরেজদের পরিকল্পনায় তৈরী করা শুরু করেছিল, নিশ্চিত কোন পরিকল্পনা ছিল। সেই পরিকল্পনায় সমজাতের কেউ কি অংশ নিতে পেরেছিল। আমাদের জন্য আমরাই গড়ে তুলবার পরিবর্তে অন্য জাতির কেউ এই প্রতিষ্ঠানটির স্বপ্ন দেখেছিল।
এখানে আমরা দেখতে চেষ্টা করবো শিক্ষার প্রকারভেদের এই আলোচনা উচ্চতর শিক্ষা চিন্তায় কিভাবে স্থান করে নিয়েছিল।
এআলোচনাকালে যখন উল্লেখ করতে দেখা যায় শিক্ষা তিন প্রকার তখন কি ত্রুটিটি সনাক্ত হতে পারে। কেননা কিছু পূর্বেই শিক্ষাকে নিমূর্ত ধারনা হিসেবে চিহ্নিত করে এসেছিল এই প্রকারভেদের তথ্য উপস্থাপনকারী স্বয়ং। বিমূর্তের প্রকরন কিভাবে সংগঠিত হতে পারে যেখানে এ জাতির প্রাচীন জ্ঞানে এই বিমূর্তের বহুরুপীর সম্ভাবনা জানা থাকে সেই বিমূর্ত কেনই বা তিনটি প্রকারে সীমাবদ্ধ হতে যাবে।ক
প্রফেসর অধ্যাপকে রুপান্তরিত হতে যেমন কোন যৌক্তিকতায় আটকা পড়ে না সেভাবে টাইপস এডুকেশনের শব্দার্থগত অনুবাদে শিক্ষার প্রকারভেদ হিসেবে তিন প্রকার তৈরী হতে আমাদের চিন্তার মাঝে কোন দ্বন্দ তৈরী হতে পারে না। এ অঞ্চলের শিক্ষায় অন্তির্ভূক্ত ইংরেজী ভাষা শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চা শুধু কি ভাষাকেআ শেখাতে থাকে। পাশ্চাত্যের চিকিৎসা বিজ্ঞান ভিন্ন কিছু জানাচ্ছে। প্লাস্টিসিটি অফ ব্রেইন। প্রতিটি তথ্য মানুষকে স্পর্শ করে আর পরিবর্তন দিতে থাকে মস্তিষ্ক গঠনের ক্ষুদ্র একক নিউরনের ডেনড্রাইটসের শাখা প্রশাখা গুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে। যা তথ্যকে সংরক্ষনের পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে তথ্যটির ব্যবহারিক প্রয়োগের সম্ভাবনাকেও সাজিয়ে থাকে। এই সজ্জাই কি পরবর্তী তথ্যাঘাতের প্রতিক্রিয়াগুলোকে একই আচরন রুপে প্রকাশ করে থাকে। সেক্ষেত্রে ভাষা শিখবার এই কৌশল কি শুধুমাত্র ভাষাকে শিখিয়েছে নাকি একইসাথে তৈরী করেছে নির্দিষ্ট কতগুলো কন্ডিশনাল বিহ্যাভিয়র। মানুষের বিহ্যাভিয়রকে প্রাথমিক ভাবনায় শুধু দেহগত বহিস্থ দৃশ্যমান ক্রিয়া হিসেবে সীমাবদ্ধ করে থাকি আমরা। যেখানে দেহস্থ চিন্তা করাকে দেখা যায়না দেখে আমরা চিন্তা করা বা কিছু ভাবতে পারার প্রক্রিয়াটিকে একটি আচরন হিসেবে মর্যাদা দিতে পারিনা। বিশেষ করে বর্তমানে সমসাময়িক মানসিকতার কাছে চিন্তাকে একটি আচরন হিসেবে দেখার কোন প্রমান দেখা যায়না। উচ্চতর শিক্ষার মধ্যে আচরনের আলোচনায় চিন্তাকে অন্তর্ভুক্ত করতে দেখা যায়না। বাংলাদেশের চলমান শিক্ষার সমস্যাটি হয়ত লুকিয়ে আছে আমাদের এই আচরনটির মাঝে। সুনির্দিষ্টভাবে শিক্ষাকে নিয়ে চিন্তা করার প্রক্রিয়াতে যদি কোন সমস্যা থেকে যায় সেক্ষেত্রে সেই সমস্যাকে সাথে নিয়েই শিক্ষার সমস্যাকে সনাক্ত করা হবে এবং সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব হলেও কোন কিছুর সমাধান হবে না। আমরা চিন্তার প্রক্রিয়াগত ত্রুটিকে নিয়েই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারব। শিক্ষার মাঝে এই সংকট অসনাক্ত রেখেই এগিয়ে যাবার সম্ভাব্য পরিনতি মা কুমিরের ভাগ্যের চাইতে অনেক বেশী ভয়াবহ হয়ে উঠলেও এখানে কেউ কাদবে না। আযায়না, চিন্তা করার প্রক্রিয়া ভাষা ভিন্ন সক্রিয় নয়। অর্থাৎ যাকে আমরা চিন্তা বলে থাকি সেই চিন্তা একক ব্যক্তিতে সংগঠিত হতে থাকে। ঠিক এই মুহুর্তে লিখতে থাকা বাক্যগুলো শুরুতে চিন্তায় অস্তিত্ব পেতে থাকে এবং তারপর লিখিত রুপ পেতে থাকে। চিন্তা করার প্রক্রিয়াটি মানুষের সহজাত আচরনের একটি। কিন্তু লিখতে পারার আচরনটি সহজাত না। বাংলাদেশে ব্যক্তিকে লিখবার আচরন প্রকাশে দক্ষ হবার জন্য শিক্ষা আয়োজনের জন্য নির্ধারিত একটি স্কুলে যেতে হয়। স্কুল ভিন্ন অন্য কোথাও এই আচরনটি শেখানো হয়না। এখন লিখতে পারার দক্ষতা একটি বিহ্যাভিয়র যা শুরুতে থাকে না, কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময় নেবার পর সে শিখতে পারে। আমাদের স্কুলগুলো এখনো শুধু লিখবার এবং পড়বার আচরন শিখিয়ে চলেছে। মূল আচরন নিয়ে আমরা কেউ ভাবতে পারছি না। ইচ্ছে করলেই আমরা ভাবতে পারবনা। ভাবতে পারার জন্য চিন্তাকে যেভাবে সক্রিয় কার্যকর করে তুলতে হবে সেভাবে কার্যকর করে তুলবার আচরনটি স্বয়ংক্রিয় না এবং অভ্যস্থ না। কোন বিশেষ জিনগত মিউটেশনের আকস্মিকতায় যদি কেউ স্বতস্ফূর্ত ভাবে সেইভাবে চিন্তার দক্ষতাটি পেয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সে টিকে থাকবার সংগ্রামে হেরে যাবে। একটি বিহ্যাভিয়র ভিন্ন অন্য কিছু না। পাভলভের কুকুর যখন ঘন্টার শব্দের সাথে একটি সহজাত আচরনকে কন্ডিশনাল বিহ্যাভিয়র হিসেবে পরবর্তী সময়কালে বার বার করতে থাকে আমাদের মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে কি ইংরেজী থেকে বাংলায় রুপান্তরকালে এই রকম নির্দিষ্ট কতগুলো প্রতিক্রিয়া কন্ডিশন হয়ে থাকতে পারে। যার প্রভাবে অনুবাদ কালে চিন্তা প্রক্রিয়া বোধহীন হয়ে ওঠে। সহজাত বোধ গুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে ওঠে। ভাষা আন্দোলনের দাবিতে যে মানুষগুলো রাষ্ট্র শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিল তাদের যে বোধগুলো তৈরী হয়ে থাকে জাতিগত অন্ত তথ্যের প্রভাবে যে বোধ ভাষার উপর অন্য জাতির ভাষাকে অস্বীকার করতে তারিত করতে পারে অনেকটা ব্যাখ্যাহীনভাবে সেই বোধ কি ব্যাহত হতে পারে শিক্ষার মাধ্যমে
ধারাবাহিক এই ভাষা শিক্ষার চর্চাতে। এই ব্যক্তিক প্রকাশগুলো যেমন অন্তজ্ঞানে ব্যাখ্যাহীন সিদ্ধান্ত রুপে জাগ্রত হয়ে ওঠে শুধু মাত্র একাডেমীক শর্ত অনুসারে প্রমান করার পদ্ধতি খুজে না পেয়ে প্রশ্নবোধক সিদ্ধান্ত রুপে বাক্যটি পরিবর্তিত হয়। অলক্ষ্যে অন্তজ্ঞান তাই প্রশ্নবোধক চিন্তাগুলো অস্বীকার করে দাড়ি চিহ্নে বাক্যকে পূর্ন করে চলে প্রথাকে অমান্য করেই। ব্যক্তিক এই বোধগুলো হয়ত কারো সিদ্ধান্তের প্রয়োজন মনে করে না। কিংবা গোষ্ঠীকে বলতে চায় এই সিদ্ধান্তের পেছনে যে গোষ্ঠীগত স্বার্থটি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে সেই স্বার্থের জন্য প্রমানের প্রয়োজন হয়না। এরপর যে আলোচনাকে গড়ে তোলা হয় সেখানে ব্যবহৃত তথ্যগুলোর অধিকাংশ সিদ্ধান্ত আদৌ প্রত্যক্ষনীয় প্রমানের প্রশ্ন উত্থাপন ছাড়াই গ্রহন করেছি আমরা। যেখানে অসংখ্য সিদ্ধান্ত এখনো গোষ্ঠীর পক্ষে যাচাই করার সুযোগ নেয়নি বা নেবার প্রয়োজন মনে করেনি। মানুষের অবচেতনে যে অন্ত তথ্যগুলো টিকে থাকবার জন্য আমাদের অসংখ্য আচরনকে তৈরী করে থাকে, যে আচরনগুলোকে আমরা সহজাত আচরন বলে থাকি, আএ যে আচরন প্রকাশে উদ্দিপ্ত হতে আমাদের কোন বাহ্যিক চিন্তার সক্রিয়তা দিতে হয় না, সেই সব সহজাত আচরনগুলো কি শুধুই পরিবেশগত উদ্দিপকের উদ্দিপনার সরলতায় তৈরী হয় কিংবা সেখানেও সংগঠিত হয়ে থাকে কোন চিন্তার মত প্রক্রিয়া, সেখানে তৈরী হয় কি কোন যৌক্তিক বিশ্লেষনী প্রক্রিয়া, সেখানেও কি হয়ে থাকে সমস্যা সনাক্ত করনে সমস্যার কারন খুজে নিয়ে কার্যকরভাবে সমস্যা দূর করার উপযোগী কোন প্রক্রিয়া, যা আমরা বাহ্যত চিন্তার মত একটি মানবিক প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করে চলেছি, অন্যভাবেও কি তা সংগঠিত হতে পারে না। আমাদের নিজস্ব জ্ঞানে যে দেহস্থ অচেনার দেখা পাবার আকুতি সেই অচেনার কথা কি এ জাতির জানা।
মানুষের পাশাপাশি টিকে থাকা অন্য প্রাণীদের টিকে থাকবার জন্য নিয়মিত যে পরিবেশগত সম্পর্ককে পরিবর্তন করে চলেছে, সেই সব প্রাণীদের কর্ম করার জন্য প্রয়োজন হয় কি কোন চিন্তা। ভাষাহীনতায় তৈরী হতে পারে কি কোন যৌক্তিকতা। ধারাবাহিক সময়ের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ক্রিয়ার সজ্জাকে সাজিয়ে না নিয়ে হয় কি কোন পরিকল্পনা। শিকারী বাঘের দলবদ্ধ শিকারের যে দৃশ্যচিত্র আমাদের সামনে তুলে দিয়েছে প্রযুক্তি উদ্ভাবনকারীরা, সেই সচিত্র প্রতিবেদনে যে দৃশ্যপট ধারাবাহিকতায় ঘটতে থাকে তার জন্য কি শিকারী প্রাণীগুলো করে নেয় কোন পূর্ব পরিকল্পনা। যেখানে সাফল্য নির্ভর করে থাকে একটি নিখুত সময় ভিত্তিক কার্যকর পরিবেশগত প্রেক্ষাপটে প্রত্যেকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ক্রিয়া। স্বয়ংক্রিয়তায় কিংবা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় কিংবা সহজাত প্রবনতায় সংগঠিত হতে থাকে তা। কিন্তু আমরা কি এই স্বয়ংক্রিয়, প্রাকৃতিক আর সহজাত শব্দগুলোর জন্য কোন চিন্তার প্রয়োজন নেই মনে করতে থাকব। যা এখনো অজানাই রয়ে গেছে।
উচ্চতর শিক্ষায় যখন এই বিমূর্ত শিক্ষাকে তিনটি রুপে দেখতে পায় তখন কেন আমাদের চিন্তা বাধাগ্রস্থ হতে পারে না। কেন এই বিমূর্তের রুপ দর্শনে আমরা বিস্ময় প্রকাশে ব্যার্থ হতে থাকি। এর কারন খুজে পাওয়া যাবে পাভলভের কুকুরের লালাতে। যে লালা ঝরতে শুরু করে ঘন্টার আওয়াজে। ইংরেজী ভাষা শেখানোর প্রথাগত চর্চাটি শব্দের অর্থকে খুজে পেতে চিন্তাকে সমর্পিত করে থাকে। প্রাথমিক মাধ্যমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত পৌছুনের পূর্বে আমাদের চিন্তা করার আচরনটি শব্দের অর্থ অনুসন্ধানকালে অর্থ খুজে পাবার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পরে। প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধানকে যেভাবে মুদ্রিত গ্রন্থের সাথে কন্ডিশনাল বিহ্যাভিয়র হিসেবে একটি স্থায়ী আচরন তৈরী করে তথ্যানুসন্ধানকে পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে থাকে এরকম ভাবেই ইংরেজী শেখাবার ট্রাডিশনাল পদ্ধতি অনুবাদ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ করে থাকে চিন্তার প্রক্রিয়াকে। এখানে চিন্তার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারাকে পুরুষ্কৃত করা হয়ে থাকে। পুরুষ্কার নেবার প্রতি সহজাত তাড়না থাকে আমাদের। স্কুল সমস্যা উপস্থাপন করে থাকে যে সমস্যার সমাধান ইতিপূর্বে করা হয়েছে। আমাদের সমস্যার সমাধান হিসেবে নতুন কিছু উপস্থাপন করা হলেই পুরুস্কার তিরস্কারে পরিনত হয়ে থাকে। যা আমাদেরকে পুনরায় পূর্বে প্রস্তুতকৃত সমাধান উপস্থাপন করে পুনরায় পুরুস্কার ছিনিয়ে নেবার প্রয়োজন হয়ে থাকে। এভাবেই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের চিন্তার প্রক্রিয়াকে গঠন করে একটি কন্ডিশনাল বিহ্যাভিয়র প্রকাশে বাধ্য করা হয়ে থাকে। ইংরেজী ভাষা শেখানোর সময় শব্দের অর্থ এবং অনুবাদকে সমস্যা হিসাবে উপস্থাপনের পর তার সমাধানের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করতে হয়। আমাদের প্রবনতা বা তাড়না এই সাফল্য অর্জনের মধ্যে। ব্যক্তিগত সাফল্য অর্জনের চর্চা ব্যাতিত শিক্ষা এখনো দলীয় সাফল্যকে নিয়ে কোন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করেনি। সম্ভাবনা থেকে যায় ব্যক্তিগত সাফল্য লাভের আচরন প্রকাশ শিক্ষার মাধ্যমে একটি দীর্ঘস্থায়ী আচরনে পরিনত করে থাকি।
উচ্চ শিক্ষা শিক্ষাকে প্রকার হিসেবে বস্তুগত রুপ দিতে পারে টাইপস অফ এডুকেশনের তথ্যকে অনুবাদকালে এই কন্ডিশনাল আচরন তাড়িত হয়ে। যেখানে শিক্ষার জন্য সর্ব স্বিকৃত একটি অর্থবোধকে প্রতিষ্ঠিত করা আছে সেই অর্থকে পরিবর্তন করার জন্য চিন্তায় কোন যৌক্তিকতা ধরা দিলেও তা সক্রিয়তা পায়না। কেননা পরিবর্তনের ফলাফল হিসেবে তিরস্কার থেকে দূরে থাকার সহজাত প্রবনতা ইতিমধ্যে অর্জিত হয়েছে। যৌক্তিক পরিবর্তন ছাড়াই পূর্ব নির্ধারিত উত্তর প্রদান করে শত ভাগ সাফল্য লাভের নিশ্চয়তা থাকায় আমরা প্রশ্নের জন্য সরবরাহকৃত নির্ধারি তথ্যের মধ্যে কোন ত্রুটি অনুসন্ধানের প্রয়োজন হয়না এবং কোন পরিবর্তনের যৌক্তিকতা দেখা দিলেও সেই পরিবর্তন করার আচরন প্রকাশে অভ্যস্থ হয়ে উঠিনা। কেননা শিক্ষা এরকম পরিবর্তন করা হলে মূল্যায়নকারী পরিবর্তিত নতুন রুপকে সঠিক ভাবতে পারে না দেখে নম্বর কম দিয়ে থাকে।
শিক্ষায় শিশুকে ভর্তির সময় শিক্ষক এবং অভিভাবকের উদ্দ্যেশ্য থাকে ভাল ফল লাভ করা। ভাল ফল পাবার এই তাড়নাটি শিক্ষার্থীর নিজস্ব তাড়না হয়ে ওঠে। দীর্ঘমেয়াদী চর্চার মাধ্যমে এই তাড়নাটি একটি স্থায়ী তাড়না হয়ে ওঠে। রাষ্ট্র এই তাড়নাটির স্বিকৃতি দিয়েই ভাল শিক্ষার্থীদেরকে রাষ্ট্র পরিচালনার গুরুত্বপূর্ন এবং শক্তিশালী দ্বায়িত্বে নিয়োগ দিয়ে এসেছে। এ অঞ্চলের শিক্ষায় বিগত দুই দশকের বাইরে যাদের রাষ্টীয় শক্তি ব্যবহার করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। তাদের অধিকাংশ শিক্ষার প্রতিটি স্তরে ভাল ফলাফলের বিনিময়ে মেধাবী স্বিকৃতি প্রাপ্ত। এ সমাজে উচ্চ শিক্ষিত এবং মেধাবী স্বিকৃতিটি সর্বাপেক্ষা শক্তিমত্তাকে পেয়ে থাকে। বিপরিতে রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করার শক্তি প্রকৃতপক্ষে কৌশল, দেহ শক্তি এবং অস্ত্র শক্তি ব্যবহার করে অর্জন করে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিতে হয়। তাদের বুদ্ধিমত্তা বা মেধা যথেষ্ট উন্নত হবার সম্ভাবনা থাকলেও রাষ্ট্র যন্ত্রের পরিচালনা এবং পরিকল্পনা প্রনয়নের দ্বায়িত্বটি সেই উচ্চ শিক্ষিত মেধাবীদের হাতে থাকায় কোন বিষয়ে পরিকল্পনা প্রনয়নের সুযোগ রাজনৈতিক নেতৃত্বের নেই। রাষ্ট্রীয় প্রথায় শিক্ষার সাথে রাজনৈতিক এই সম্পর্কটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি উন্নত প্রক্রিয়া। লক্ষ্যনীয় বাংলাদেশ স্বজাতির হাতে নেতৃত্ব নিয়ে আসবার জন্য যে রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তা এবং নেতৃত্ব জাতী গড়ে তুলেছিল সেই ব্যক্তির প্রখর প্রাকৃতিক বুদ্ধিমত্তা থেকে সাথে সাথে গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছিল যেখানে শিক্ষা নিয়ে তাৎক্ষনিক জাতীয় শিক্ষানীতি প্রনয়ন এবং চলমান বিজাতীয় শিক্ষার প্রভাবমুক্ত করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতির নিজস্ব শিক্ষায় ফিরিয়ে নেবার জন্য জাতীয়করন করেছিলেন।
অধ্যাপকদের সুদীর্ঘ শিক্ষা চর্চাটি যে শুধুমাত্র অধ্যয়ন কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছিল এবং সেই অধ্যয়ন যে সর্বাপেক্ষা সহজ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারার সাধারন দক্ষতা ব্যতিত কিছু নয়, এ জাতির কাছে সেই ধারনাটি বিভ্রান্তির সাথে মিশ্রিত হয়ে এক অধ্যাবসায়ী সাফল্যের নিশ্চিয়তাকে সম্ভাবনায় পরিবর্তিত করার ঝুকি আমরা নিতে কোন খুব স্বাভাবিকতায় ইনফরম্যাল এডুকেশনকে আমরা তাই অনানুষ্ঠানিক শিক্ষায় রুপান্তরিত করি। একটি জাতি কিভাবে বিভ্রান্ত চিন্তায় সক্ষম হয়ে উঠতে পারে তার একটি দুর্লভ ঘটনা হয়ে শিক্ষার প্রকারভেদ সংগঠিত হতে থাকে এখানে। ফরম্যাল এডুকেশন যে ধারণাটিকে প্রকাশ করতে পারে? আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শব্দটি বাংলা ভাষা ব্যাবহারকারীর নিকট যে অর্থবোধ গড়ে তুলুক না কেন তা সঠিক হবে না ততক্ষণ যতক্ষণ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকে ফরমাল এডুকেশনের ধারণা দ্বারা ঘিরে ফেলা হয়। জাগ্রত বোধের অস্বীকার। প্রচলিত ব্যাবহারিক জীবনে আনুষ্ঠানিক শব্দটির নিজস্ব অর্থবোধকতাটি যাচাই করলে দেখা যাবে আনুষ্ঠানিক বলতে যা নিয়মিত নয়, সময়ের ব্যাবধানে হয়ে থাকে সেরকম কোন আয়োজনকে বুঝাতে ব্যাবহার করি আমরা। লক্ষ্যণীয় বাংলা আনুষ্ঠানিক শব্দটির ইংরেজী খুজতে চাইলে আমরা শব্দটি পাব। সেই অর্থে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে যে শিক্ষা আয়োজিত হয় তাকে বলতে হবে Occassional Education। বাংলা ভাষায় ওকেশন শব্দটি ভিন্ন একটি অর্থে প্রয়োগ হতে দেখেছি। অনেক ক্ষেত্রেই অনভ্যস্ততাকে আমরা ওকেশনালী শব্দ দ্বারা প্রকাশ করি।
আবার চলমান জাতীয় মানসিকতায় আনুষ্ঠানিক শব্দটির মধ্যে একটি ঋণাত্বক অর্থবোধ তৈরী হয়েছে। আনুষ্ঠানিক বলতে কৃত্রিম আচরণকে বোঝানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকতার স্বার্থে আমরা যে আচরণগুলো আমরা করে থাকি সেইসব আচরণকে শুধুমাত্র ঐ অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ের মধ্যে করেছি। অনুষ্ঠানের বাইরে সেই আচরণকে অগ্রহণীয় কিংবা প্রয়োজন নেই বলে মনে করে থাকি। এই মনে করা আনুষ্ঠানিক ভাবটি আমাদের জীবন মানকে প্রভাবিত করেছে। আমরা বঞ্চিত হয়ে চলেছি অনবরত। ইংরেজদের কাছে অকেশন এর বাইরে আরো একটি শক্তিশালী শব্দের উপস্থিতি দেখা যাবে। যদিও প্রোগ্রামের জন্যও আমাদের কাছে একটি শব্দই ব্যাবহার হয়ে এসেছে অনুষ্ঠান। দেখা যাচ্ছে- রাষ্ট্র পরিচালিত স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে যে শিক্ষা তাকে ফরমাল এডুকেশন বলা হয়েছে। এখানে এই ফরমাল এডুকেশনের বৈশিষ্ট্য হিসেবে যদিও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রকে প্রাধান্য দেই নি।যে শিক্ষা পূর্ব পরিকল্পিত লক্ষ্য অনুসারে এবং নির্দিষ্ট সময় অনুসরনে নিয়ম দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে তাকে বলা হয় ফরম্যাল এডুকেশন। বিপরিতে যা পরিকল্পিত নয়, সময় সূচি দ্বারা শৃংক্ষলিত নয়।, আইন, নিয়ম কানুন ব্যতিত চলমান হয়ে থাকে তাকে নন ফরম্যাল এডুকেশন বলা হয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে এনজিও পরিচালিত শিক্ষাকে নন ফরমাল এডুকেশন বলা হয়। উচ্চতর শিক্ষা আলোচনা এখানেও কি দৃশ্যমান প্রত্যক্ষনীয় প্রকৃত তথ্যোত্থিত জ্ঞানের বিপরিত সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে উচ্চতর নির্জ্ঞানতার চর্চাকে প্রচার করতে চাইছে।এনজিও পরিচালিত স্কুল সম্পর্কে যতটুকু জানতে পারা যায় সেখানে স্পষ্ট কারিকুলাম এবং নিয়ম, রুটিন, সময় বিভাজন থাকে। সেক্ষেত্রে সেটা কিভাবে নন ফরম্যাল হবে। ফরমাল এডুকেশন হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।শিক্ষার প্রকারভেদের আলোচনায় উচ্চতর শিক্ষা কেন এই বৈপরিত্যকে প্রচার করতে চাইবে? যে বা যারা এই তিন প্রকার শিক্ষাকে খুজে পেয়েছে তাকে বা তাদের কাছেই জানতে চাওয়া যথার্থ হবে। বাংলদেশে এই তিন প্রকার শিক্ষার বর্ণনা খুজে পাওয়া যাবে উচ্চতর শিক্ষায় ব্যবহার করার জন্য মুদ্রিত শিক্ষা বিষয়ক কিছু গ্রন্থে এবং শিক্ষক এবং শিক্ষা পেশাজীবিদের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত ম্যানুয়াল এবং তথ্য পুস্তকে।গ্রন্থের লেখক ভিন্নতায় একই তথ্য থেকে সহজেই বোঝা যায় এই প্রকারভেদের উৎস তথ্যটি অন্যত্র। ব্রাকেটবদ্ধ শব্দগুলো চিহ্নিত করে উৎস ভাষাকে। শিক্ষার এই প্রকারভেদটি সার্বজনিন নয় বরং আঞ্চলিক। কেননা ইউরোপে এনজিও পরিচালিত শিক্ষা নেই যে নন ফরম্যাল এডুকেশনকে সনাক্ত করা যাবে। সেক্ষেত্রে কেন প্রয়োজন হতে পারে এই অঞ্চলের শিক্ষার এই তিন প্রকারকে তৈরী করে নেবার। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো এখনো সেই ব্রিটিশ ফর্ম বা গঠনে পরিচালনা করা যাচ্ছে। যে কারনে এখান থেকে সমস্যা সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা নেই। নিশ্চিত থাকা যেতে পারে। প্রেসক্রাইবড ফর্মকে অনুসরন করছে সরকারী প্রাইমারী স্কুলগুলো।
একটি স্কুল যে শিক্ষা আয়োজন করে থাকে তাকে কি আমরা আনুষ্ঠানিকতার স্বল্প পরিসরে বেধে রাখতে চাইছি। এই স্কুল কেন্দ্রিক শিক্ষাকে আনুষ্ঠানিকতার স্বীকৃতি কি স্কুলে অর্জিত তথ্যকে পরবর্তী কর্মজীবনে কিংবা সংসার জীবনে অস্বীকার করতে আগ্রহী করে তুলেছে আমাদেরকে। স্কুলে যা করে থাকি তা ত আনুষ্ঠানিকতা মাত্র বাস্তব জীবনে সে সবের কোন মূল্য নেই এই রকম ভাবনা কি এই জাতি মানসিকতায় কার্যকর হয়ে উঠতে পারে। কিংবা স্বল্প পরিসরে কার্যকর হয়ে উঠেছে হয়ত। কর্মজীবনে কি আমরা নৈতিকতাকে স্কুল জীবনে পাওয়া তথ্য রুপে পুনর্ব্যাক্ত করতে শিখেছি। যা ছিল আনুষ্ঠানিকতা তা বর্তমান প্রতিযোগীতামূলক জীবনে ব্যাক্তিগত জীবনে আদর্শ রুপে গ্রহণের মাধ্যমে সহকর্মীর তুলনায় পিছিয়ে পড়ার কি কোন মানে হতে পারে। অন্তত আনুষ্ঠানিক শিক্ষার নিয়মিত সহপাঠীদের সাথে প্রতিযোগীতার মধ্য দিয়ে আজককের এই কর্ম কিংবা পেশায় এসে সেই প্রতিযোগীতার আনুষ্ঠানিকতাটি অন্তত ছাড়বার প্রয়োজন পড়েনি। কেননা পেশা জীবনকে সেই সমরুপে আনুষ্ঠানিকতার মাঝেই গ্রহণ করেছি আমরা।
আনুষ্ঠানিক শব্দটি যে অর্থবোধকতা নিয়ে দৈনন্দিন জীবনে প্রবেশ করেছে সেই অর্থকে নিয়ে স্কুলের শিক্ষাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির ঋণাত্বক প্রভাবটির সম্ভাবনাকে কি এড়াতে পারি আমরা। ইংরেজী ফরমাল শব্দটির বিপরীতে আরো কিছু বাংলা শব্দকে পেয়েছি আমরা। কাঠামোবদ্ধ, গঠনগত। সেই বিচারে স্কুলের শিক্ষা যেভাবে সময়ের সাথে সুপরিকল্পিত এবং সুনিয়ন্ত্রিত হয়ে চলেছে সেখানে তাকে গাঠনিক শিক্ষা হিসেবে স্বিকৃতি দেবার প্রয়োজন পড়ে। বর্তমান শিক্ষার পাশাপাশি যে কারিকুলাম ধারণাটিকে ব্যাবহার করতে চলেছি তার জন্যও উপযোগী হয়ে ওঠে এই পুন নির্ধারণের। যে অধ্যাপকের হাত ধরে সরবরাহকৃত তথ্যরুপে শিক্ষার প্রকারভেদের অনুবাদ হয়েছিল সেই সময়টি পেরিয়ে এমন একটি সময়ে আমরা অবস্থান করার সুযোগ পেয়েছি যেখানে শিক্ষা আলোচনার সামগ্রীকতাকেই পুনরায় বিশ্লেষণ প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। এখন শুধুমাত্র সরবরাহকারী পাশ্চাত্যবাসীর অপেক্ষায় নয় তথ্য আমরা খুজে নিতে পারি তাদের সরবরাহ ব্যাতীত। এই সুযোগটি কাজে লাগানো যেতে পারে বহিজাতি পরিচালিত শিক্ষায় মিশ্রিত বিভ্রান্তিকে চিহ্নিত করার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ বংশধারাকে স্বজাতি আয়োজিত শিক্ষাভাবে ফিরবার পথটিকে অপেক্ষাকৃত সহজতর করে তুলতে।
ননফরম্যাল এডুকেশন স্বভাবতই যা ফরমাল নয় অর্থেই ব্যাবহৃত হয়েছে। প্রায় ফরম্যাল বোঝাতে এই নন শব্দটির ব্যাবহার ইংরেজী ভাষায় খুজে পাওয়া যাবে কি? অতীত অধ্যাপকেরা যে জটিলতা থেকে এই শব্দকে উপানুষ্ঠানিক মর্যাদা দিয়েছিল সেটা সহজেই অনুমান করতে পারা যায়। চলমান এনিজিও পরিচালিত শিক্ষাকে নন ফরম্যাল চিহ্নিত করেই এই তথ্যটি এসেছিল এখানে। স্বাভাবিকভাবেই এনজিও পরিচালিত শিক্ষাকে অনানুষ্ঠানিক বলার সুযোগ পাওয়া যায়নি। কেননা পরিচালনা কিংবা আয়োজন প্রক্রিয়াটি নিশ্চিতভাবেই আনুষ্ঠানিক। এখানে পার্থক্য ছিল শুধুমাত্র রাষ্ট্র পরিচালিত শিক্ষার চাইতে একটু কম আনুষ্ঠানিক। সেই বিবেচনায় এই উপানুষ্ঠানিক শব্দটির প্রয়োগে যে নন ফরমাল কে অস্বীকার করা হচ্ছে এই যুক্তিটি খন্ডন করা হয়েছিল কি?
প্রথম দিকের অধ্যাপকদেরকে এইসব ভূমিকায় একক চিন্তায় এগোতে হয়েছে। তাদের অনুদিত কিছুকে অযৌক্তিক দাবি করার মত শক্তিশালি পক্ষ তৈরী হয়নি।
আবার অধ্যাপকদের মেধাকে
এখানে এতটাই অতিরঞ্জিত করে প্রচার করা হয়েছিল যে তাদের মতের বিরুদ্ধে মত প্রকাশের উপযোগী
মেধা তখনও তৈরী হয়নি। আমরা এখনো এই রকম মেধা প্রচারক মুখরোচক কাহিনী খুজে পাই এবং ঐতিহ্যরুপে
অধ্যাপক হয়ে যাওয়া মানুষদেরকে কেন্দ্র করে উচ্চ বুদ্ধিমত্তার গল্প প্রচারে নিজেকে নিয়োজিত
করে থাকি। আমরা দেখব চলমান শিক্ষা কিভাবে সর্বোচ্চ নির্বোধকে এই রকম অতিমানবীয় অধ্যাপকে
পরিণত করে থাকে এবং অন্তত প্রকৃতিগতভাবেই উচ্চ মেধাপ্রাপ্তকে নির্জ্ঞান নির্বোধ করেই
তবে অধ্যাপকীয় পদে প্রতিষ্ঠিত করে চলে।
নন ফরমাল বলতে যা গঠনগতভাবে কোন শক্তিশালি ভিত্তিকে আশ্রয় করে গড়ে ওঠেনি। ইনফরম্যালকে বিস্ময়করভাবে অনানুষ্ঠানিক বলার মধ্য দিয়ে অসংখ্য অতীত শিক্ষা ইতিহাসকে অপ্রত্যক্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। অধ্যাপকের এই ভ্রান্ত অনুবাদজনিত ত্রুটি একটি জাতিকে তার স্বজাতি আয়োজিত শিক্ষার রুপটি ফিরে পাবার পথে এক শক্তিশালী বাধা হয়ে উঠেছে।
ইনফরম্যালকে পারিবারিক শিক্ষা রুপে চিহ্নিত করতে পারি আমরা। পরিবার সমাজের একটি স্বিকৃত আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে সূচিত হয়ে থাকে। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতাকে সবচাইতে উপযোগী হতে পারে এই শব্দটির প্রকৃত রুপে অনুধাবনের জন্য। আবার এই আনুষ্ঠানিকতা ব্যতিত শিশু স্বীকৃত নয় সমাজের কাছে। স্বামী স্ত্রীর পরিবারটি রাষ্ট্রিয় আইন দ্বারা স্বিকৃত হতে হয়। প্রকৃতপক্ষে পরিবারের শিক্ষাকে যথার্থ আনুষ্ঠানিক শব্দ দ্বারা চিহ্নিত করতে পারি আমরা। যা সূচিত করে শিক্ষা ধারণাকে। এই শিক্ষার একটি সুনির্দিষ্ট ফর্ম বা কাঠামো রয়েছে বিশ্বব্যাপী। বিস্ময়করভাবে এই ফর্মটি কেউ কখনো লিখিতরুপে সংরক্ষন করেনি। মধ্যে খুজে পাই না আমরা। এমনকি লিখিত রুপের প্রয়োজন মনে করিনা। কিন্তু শক্তিশালী দৃঢ় একটি ফর্মকে পরিবার ব্যাবহার করে চলেছে, স্থান ভেদে, জাতি ভেদে, ভাষা ভেদে, এই শিক্ষা কাঠামোটি ভিন্ন ভিন্ন রুপে পাই আমরা। এই ফর্মটি লিখিত রুপের বাইরে অস্তিত্বশিল হয়ে ওঠে মানুষের অন্তে। যা অভ্যন্তরে গঠিত। ইন ফরমাল শব্দটির যথার্থতায় অন্তগঠিত হয় যে শিক্ষা আয়োজন। বাবা কিংবা মা, ভিন্ন দুজন যা মানুষের একটি জাতির অভ্যন্তরে দৃঢতা পেয়ে থাকে। আর এই ইন ফর্মকে আশ্রয় করে গড়ে উঠেছে ফর্মাল এডুকেশন। পরিবারের অভ্যন্তরে শিশু এই অলিখিত কাঠামো ঘিরে গড়ে ওঠে সুপরিকল্পিত এবং সুনিয়ন্ত্রিত ফর্মাল এডুকেশন। যদি পরিবারের শিক্ষাকে ইনফরম্যাল এডুকেশন রুপে চিহ্নিত করে কারিকুল#ামের ধারণায় লক্ষ্য এবং কারিকুলামকে দেখতে চাই, শিক্ষাকে যদি একটি জাতির ক্রমপুঞ্জীভূত জ্ঞান বা বোধের বংশধারায় প্রবাহিত করা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় সেই ক্ষেত্রে পরিবার এর মধ্যবর্তী সময়কালের ভিত্তিতে পরিবার একটি কারিকুলামকে অন্তজ্ঞান এবং জ্ঞানে ধারণ করে। সেখানেও শিক্ষার লক্ষ্য এবং উদ্দ্যেশ্যকে খুজে পাব আমরা। শিশু লালন শব্দটি পরিবারের এই অন্তজ্ঞানকে চিহ্নিত করেই উৎপত্তি হয়েছে মনে করা যেতে পারে।
এ অঞ্চলের মানুষের কাছে যা শিক্ষা ছিল, এডুকেশন কোন রকম সন্দেহ ছাড়াই শিক্ষা রুপে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল কি? এ পর্যন্ত শিক্ষার পক্ষে বিপক্ষে কোন বিতর্ক হয়েছে এরকম কোন নিকটবর্তী ঘটনার কথা জানা নেই। অতীত তথ্যগুলোতে সরাসরি বহিজাতির পরিকল্পনায় শিক্ষার শুরুকে এ অঞ্চলের মানুষেরা বাধা দিয়েছিল এরকম কোন তথ্য সংরক্ষিত নেই। যে কারনে শিক্ষা অবিতর্কিত অবস্থায় বিশেষ মর্যাদায় সকলের আকাংক্ষিত হয়ে আমাদের মানসিকতায় স্থান করে নিয়েছে। এই মানসিকতাটিতে অবস্থান করে যে দৃষ্টিভংগি গড়ে ওঠে সেখান থেকে শিক্ষার ভয়ংকর কার্যক্রমকে প্রত্যক্ষনীয় হয়ে উঠতে পারেনা। গ্রহণযোগ্য হয়ে আছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে এখানে। কিন্তু স্কুল কেন্দ্রিক শিক্ষা আয়োজনকে শিক্ষাকে এতটা বিশুদ্ধতায় গ্রহণীয় হয়ে উঠবার কোন কারণ নেই।
প্রস্তাবিত স্বজাতি আয়োজিত শিক্ষার উৎসটি নিহিত থাকে পরিবারের মাঝে। প্রকৃত পক্ষে শিশুর শিক্ষা আয়োজন এই পরিবার থেকে শুরু করা হয়েছিল। অঞ্চল এবং জাতিভেদে সর্বত্র স্কুল ভিত্তিক শিক্ষার সূচনা কতগুলো পরিবারের প্রয়োজন এবং পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল।
Formal Education কে যখন আমরা আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বলা শুরু করেছিলাম তখন গুরুত্বপূর্ণ কিছু একটা আমরা এড়িয়ে গিয়েছি। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা হিসেবে ততক্ষন পর্যন্ত আমাদের কেউ চিহ্নিত করেনি যতক্ষণ পর্যন্ত ফরম্যাল এডুকেশন হিসেবপাশ্চাত্য সরবরাহ করেছে। কোন শিক্ষাকে নিজেদের মধ্য থেকে কেউ কখনো চিহ্নিত করেনি এবং একাডেমিক লেভেলে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শব্দটি ইতিপূর্বে কেউ কখনো ব্যাবহার করেনি। উচ্চতর শিক্ষায় অধ্যাবসায়ী অধ্যাপনায় তথ্য সংগ্রহের সাথে কন্ডিশন হয়ে আছে এ অঞ্চলের অধ্যাপক। প্রফেসরকে প্রফেশনাল কাজের পরিবর্তে অধ্যাপক বলতে তাই কোন সমস্যা হয়নি। । কন্ডিশনাল লার্নিং এর মাধ্যমে যে কোন তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে তিনি গ্রন্থকে উৎস হিসেবে নিয়েছেন। নিজ দেহের ইন্দ্রিয়ের উপর ভরসা করতে পারেননি। উচ্চজাতের ইংরেজদের উচ্চতর ইন্দ্রিয় প্রত্যক্ষনের তথ্যকে অমান্য করলে অধ্যাপকএর পক্ষে আর এই অধ্যাপক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে।
বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীর প্রকৃত চিন্তায় -শিক্ষা কত প্রকার? প্রশ্নটি উত্থাপিত হতে পারেনি। যদিও বলা প্রয়োজন ছিল –শিক্ষা কত প্রকার – প্রশ্নটি স্বজাতির জ্ঞানে উৎপন্ন হবার সুযোগ দেওয়া হয়নি। স্পষ্টতই দুটো বাক্য কোন সম্ভাবনা হিসেবে এখানে উপস্থাপন করা হয়নি। গ্রন্থে সংরক্ষিত কোন তথ্য আশ্রয় করে নয় , পারিপার্শ্বের প্রত্যক্ষনে প্রাপ্ত প্রকৃত তথ্য সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এখানে। কিন্তু বাংলাদেশের উচ্চতর শিক্ষায় যে তথ্য ব্যবহার করা হয় সেই সব তথ্য সমন্বয়ে এই সিদ্ধান্তগুলো উৎপন্ন হতে পারেনা।
শিক্ষা কত প্রকার?- বাক্য শেষের প্রশ্নবোধক চিহ্নটি জানায় যে বাক্যটি একটি প্রশ্ন এবং কথোপকথনে প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত স্বরভঙ্গিকে ব্যবহার করে প্রশ্নবোধক করে নিতে হবে। ব্যক্তি প্রশ্নের মুখে যে সহজাত প্রতিক্রিয়া করে থাকে এখানে জাতি মানসিকতায় সেই সহজাত প্রতিক্রিয়া কার্যকর হতে পারেনা। কেননা বাংলাদেশের শিক্ষা প্রশ্ন প্রয়োগে ব্যক্তির সহজাত আচরণের সাথে ভিন্ন একটি আচরণকে সাপেক্ষীকরনের মাধ্যমে স্থায়ী করে তুলেছে। বাক্যে ব্যবহৃত প্রশ্নবোধক (?) চিহ্নটি আমাদেরকে জানায় যে বাক্যটি পাঠ করার সময় প্রশ্নের মত করে পাঠ করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন করা হয়েছে মনে করে উত্তর খুঁজবার জন্য পারিপার্শ্বে শিক্ষাকে খোজা যাবে না। কেননা উত্তরটি খুঁজে পাওয়ার পরই কেবল প্রশ্নটি করা হয়েছে এবং প্রাপ্ত উত্তরটি জানাবার প্রয়োজনে এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এটা নিশ্চিত যে শিক্ষা প্রসংজ্ঞে তত্ত্বীয় আলোচনার সুযোগ এখানে শিক্ষা প্রাপ্তদের (শিক্ষিতদের) জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষা প্রাপ্ত ব্যক্তি শিক্ষা বিষয়ে উচ্চতর ভাবনার অধিকার পেয়ে থাকেন। চারস্তরীয় শিক্ষার সর্বত্র যে কারিকুলাম সক্রিয় হয়ে আছে সেই কারিকুলামের অন্তর্গত অসংখ্য তথ্য এ জাতির মানসিকতা গঠনে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। তথ্য যা স্বজাতীয় না তার গঠিত মানসিকতায় অবচেতনে এইসব নির্দেশনা এবং অধিকারকে শর্ত করা হয়েছে। উচ্চ এবং উচ্চতর শিক্ষা প্রাপ্তদের এবং রাষ্ট্র যন্ত্র পরিচালনার উচ্চতর অবস্থান সুযোগ নিয়ে অল্প শিক্ষাপ্রাপ্ত এবং শিক্ষা অপ্রাপ্তদেরকে এই অধিকারকে মেনে নেবার উপযোগী মানসিক গঠন দিতে প্রয়োজনীয় সামাজিক কারিকুলামকে পরিকল্পনা অনুসারে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জাতি মানসিকতা এইসব অধিকারকে অবচেতনে মেনে নির্দেশনাটি প্রদান করে চলেছে এবং অবচেতনে এই নির্দেশনা পালনে অভ্যস্থ হয়েছি আমরা।
এটা বিস্ময়কর যে, শিক্ষা কত প্রকারের হতে পারে সেটা ভেবে দেখার, খুঁজে নেবার বা সন্ধান করার কোন সুযোগ বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর কেউ এ পর্যন্ত পায়নি এবং সমসাময়িক ধারাবাহিকতায় আগত ভবিষ্যতে কেউ যেন শিক্ষার প্রকার খুঁজবার উদ্যোগ নিতে না পারে, পারে সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে। কেননা একাডেমীক লেভেল ইতিমধ্যে শিক্ষার প্রকার খুঁজে পেয়েছে এবং প্রাপ্ত প্রকারভেদের তথ্যকে কোনরকম সন্দেহের সুযোগ ছাড়াই প্রচার করা হয়েছে এবং বংশধারায় সরবরাহের জন্য বই বা গ্রন্থাকারে সংরক্ষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চতর শিক্ষার সন্ধানে প্রাপ্ত প্রকারভেদের এই তথ্য প্রচলিত প্রক্রিয়া অনুসারে শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করা হয়েছে। প্রশ্নটি যে উত্তরকে এনে দিয়েছে সেই তথ্যকে বিভিন্ন কার্যক্রমের পদ্ধতি মূল্যায়নে এবং পরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যবহার করা হয়েছে। এরকম স্থিরকৃত বিষয়ে – ব্যক্তি নতুন করে চারপাশে তাকিয়ে শিক্ষার প্রকার খুজতে চাইলে বিপদে পড়বে।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি পরিভাষায় ওয়ার্ল্ডস্কুল বা ইউনিভার্সস্কুল কিছুতেই ইউনিভার্সিটি নয়) শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট এর উচ্চতর মর্যাদা প্রকাশক শব্দ অনার্স এবং মাস্টার্সের উচ্চতর নিরর্থকতায় কিংবা দূর্বোধ্যতায় শিক্ষাকে তিনটি প্রকার হিসেবে খুঁজে পেয়েছে ।
অতএব শিক্ষা কত প্রকার প্রশ্নটির সাথে এর প্রকারভেদকে জাতিজ্ঞানে স্থায়ী করে তুলবার জন্য সংরক্ষন করা হয়েছে। তিন প্রকার শিক্ষা গ্রন্থবদ্ধ হয়ে ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন অঞ্চলে অনাগত বংশধারার কাছে পূর্বপুরুষের তথ্য হয়ে উঠবার জন্য। এভাবেই জাতিজ্ঞানে অন্তর্ভূক্ত হয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিভিন্ন নতুন পরিস্থিতির সাথে অভিযোজনের প্রয়োজনে চিন্তায় ব্যবহার করা হবে এই তথ্যগুলো।
বর্তমানে উচ্চতর শিক্ষার অধ্যাপকেরা অসীম সময়কালের জন্য এই দায়ভার নেবার জন্য টিকে থাকবেন না। কিন্তু জাতি ধারনায় সে সময়ের বর্তমানের ব্যক্তি আর আজকের অধ্যপক হয়ে থাকা ব্যক্তি অভিন্ন । সে সময় পর্যন্ত।
১. আনুষ্ঠানিক শিক্ষা (Formal Education)
২. উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা (Nonformal Education) এবং
নন ফরমাল বলতে যা গঠনগতভাবে কোন শক্তিশালি ভিত্তিকে আশ্রয় করে গড়ে ওঠেনি। ইনফরম্যালকে বিস্ময়করভাবে অনানুষ্ঠানিক বলার মধ্য দিয়ে অসংখ্য অতীত শিক্ষা ইতিহাসকে অপ্রত্যক্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। অধ্যাপকের এই ভ্রান্ত অনুবাদজনিত ত্রুটি একটি জাতিকে তার স্বজাতি আয়োজিত শিক্ষার রুপটি ফিরে পাবার পথে এক শক্তিশালী বাধা হয়ে উঠেছে।
ইনফরম্যালকে পারিবারিক শিক্ষা রুপে চিহ্নিত করতে পারি আমরা। পরিবার সমাজের একটি স্বিকৃত আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে সূচিত হয়ে থাকে। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতাকে সবচাইতে উপযোগী হতে পারে এই শব্দটির প্রকৃত রুপে অনুধাবনের জন্য। আবার এই আনুষ্ঠানিকতা ব্যতিত শিশু স্বীকৃত নয় সমাজের কাছে। স্বামী স্ত্রীর পরিবারটি রাষ্ট্রিয় আইন দ্বারা স্বিকৃত হতে হয়। প্রকৃতপক্ষে পরিবারের শিক্ষাকে যথার্থ আনুষ্ঠানিক শব্দ দ্বারা চিহ্নিত করতে পারি আমরা। যা সূচিত করে শিক্ষা ধারণাকে। এই শিক্ষার একটি সুনির্দিষ্ট ফর্ম বা কাঠামো রয়েছে বিশ্বব্যাপী। বিস্ময়করভাবে এই ফর্মটি কেউ কখনো লিখিতরুপে সংরক্ষন করেনি। মধ্যে খুজে পাই না আমরা। এমনকি লিখিত রুপের প্রয়োজন মনে করিনা। কিন্তু শক্তিশালী দৃঢ় একটি ফর্মকে পরিবার ব্যাবহার করে চলেছে, স্থান ভেদে, জাতি ভেদে, ভাষা ভেদে, এই শিক্ষা কাঠামোটি ভিন্ন ভিন্ন রুপে পাই আমরা। এই ফর্মটি লিখিত রুপের বাইরে অস্তিত্বশিল হয়ে ওঠে মানুষের অন্তে। যা অভ্যন্তরে গঠিত। ইন ফরমাল শব্দটির যথার্থতায় অন্তগঠিত হয় যে শিক্ষা আয়োজন। বাবা কিংবা মা, ভিন্ন দুজন যা মানুষের একটি জাতির অভ্যন্তরে দৃঢতা পেয়ে থাকে। আর এই ইন ফর্মকে আশ্রয় করে গড়ে উঠেছে ফর্মাল এডুকেশন। পরিবারের অভ্যন্তরে শিশু এই অলিখিত কাঠামো ঘিরে গড়ে ওঠে সুপরিকল্পিত এবং সুনিয়ন্ত্রিত ফর্মাল এডুকেশন। যদি পরিবারের শিক্ষাকে ইনফরম্যাল এডুকেশন রুপে চিহ্নিত করে কারিকুল#ামের ধারণায় লক্ষ্য এবং কারিকুলামকে দেখতে চাই, শিক্ষাকে যদি একটি জাতির ক্রমপুঞ্জীভূত জ্ঞান বা বোধের বংশধারায় প্রবাহিত করা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় সেই ক্ষেত্রে পরিবার এর মধ্যবর্তী সময়কালের ভিত্তিতে পরিবার একটি কারিকুলামকে অন্তজ্ঞান এবং জ্ঞানে ধারণ করে। সেখানেও শিক্ষার লক্ষ্য এবং উদ্দ্যেশ্যকে খুজে পাব আমরা। শিশু লালন শব্দটি পরিবারের এই অন্তজ্ঞানকে চিহ্নিত করেই উৎপত্তি হয়েছে মনে করা যেতে পারে।
এ অঞ্চলের মানুষের কাছে যা শিক্ষা ছিল, এডুকেশন কোন রকম সন্দেহ ছাড়াই শিক্ষা রুপে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল কি? এ পর্যন্ত শিক্ষার পক্ষে বিপক্ষে কোন বিতর্ক হয়েছে এরকম কোন নিকটবর্তী ঘটনার কথা জানা নেই। অতীত তথ্যগুলোতে সরাসরি বহিজাতির পরিকল্পনায় শিক্ষার শুরুকে এ অঞ্চলের মানুষেরা বাধা দিয়েছিল এরকম কোন তথ্য সংরক্ষিত নেই। যে কারনে শিক্ষা অবিতর্কিত অবস্থায় বিশেষ মর্যাদায় সকলের আকাংক্ষিত হয়ে আমাদের মানসিকতায় স্থান করে নিয়েছে। এই মানসিকতাটিতে অবস্থান করে যে দৃষ্টিভংগি গড়ে ওঠে সেখান থেকে শিক্ষার ভয়ংকর কার্যক্রমকে প্রত্যক্ষনীয় হয়ে উঠতে পারেনা। গ্রহণযোগ্য হয়ে আছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে এখানে। কিন্তু স্কুল কেন্দ্রিক শিক্ষা আয়োজনকে শিক্ষাকে এতটা বিশুদ্ধতায় গ্রহণীয় হয়ে উঠবার কোন কারণ নেই।
প্রস্তাবিত স্বজাতি আয়োজিত শিক্ষার উৎসটি নিহিত থাকে পরিবারের মাঝে। প্রকৃত পক্ষে শিশুর শিক্ষা আয়োজন এই পরিবার থেকে শুরু করা হয়েছিল। অঞ্চল এবং জাতিভেদে সর্বত্র স্কুল ভিত্তিক শিক্ষার সূচনা কতগুলো পরিবারের প্রয়োজন এবং পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল।
Formal Education কে যখন আমরা আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বলা শুরু করেছিলাম তখন গুরুত্বপূর্ণ কিছু একটা আমরা এড়িয়ে গিয়েছি। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা হিসেবে ততক্ষন পর্যন্ত আমাদের কেউ চিহ্নিত করেনি যতক্ষণ পর্যন্ত ফরম্যাল এডুকেশন হিসেবপাশ্চাত্য সরবরাহ করেছে। কোন শিক্ষাকে নিজেদের মধ্য থেকে কেউ কখনো চিহ্নিত করেনি এবং একাডেমিক লেভেলে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শব্দটি ইতিপূর্বে কেউ কখনো ব্যাবহার করেনি। উচ্চতর শিক্ষায় অধ্যাবসায়ী অধ্যাপনায় তথ্য সংগ্রহের সাথে কন্ডিশন হয়ে আছে এ অঞ্চলের অধ্যাপক। প্রফেসরকে প্রফেশনাল কাজের পরিবর্তে অধ্যাপক বলতে তাই কোন সমস্যা হয়নি। । কন্ডিশনাল লার্নিং এর মাধ্যমে যে কোন তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে তিনি গ্রন্থকে উৎস হিসেবে নিয়েছেন। নিজ দেহের ইন্দ্রিয়ের উপর ভরসা করতে পারেননি। উচ্চজাতের ইংরেজদের উচ্চতর ইন্দ্রিয় প্রত্যক্ষনের তথ্যকে অমান্য করলে অধ্যাপকএর পক্ষে আর এই অধ্যাপক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে।
বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীর প্রকৃত চিন্তায় -শিক্ষা কত প্রকার? প্রশ্নটি উত্থাপিত হতে পারেনি। যদিও বলা প্রয়োজন ছিল –শিক্ষা কত প্রকার – প্রশ্নটি স্বজাতির জ্ঞানে উৎপন্ন হবার সুযোগ দেওয়া হয়নি। স্পষ্টতই দুটো বাক্য কোন সম্ভাবনা হিসেবে এখানে উপস্থাপন করা হয়নি। গ্রন্থে সংরক্ষিত কোন তথ্য আশ্রয় করে নয় , পারিপার্শ্বের প্রত্যক্ষনে প্রাপ্ত প্রকৃত তথ্য সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এখানে। কিন্তু বাংলাদেশের উচ্চতর শিক্ষায় যে তথ্য ব্যবহার করা হয় সেই সব তথ্য সমন্বয়ে এই সিদ্ধান্তগুলো উৎপন্ন হতে পারেনা।
শিক্ষা কত প্রকার?- বাক্য শেষের প্রশ্নবোধক চিহ্নটি জানায় যে বাক্যটি একটি প্রশ্ন এবং কথোপকথনে প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত স্বরভঙ্গিকে ব্যবহার করে প্রশ্নবোধক করে নিতে হবে। ব্যক্তি প্রশ্নের মুখে যে সহজাত প্রতিক্রিয়া করে থাকে এখানে জাতি মানসিকতায় সেই সহজাত প্রতিক্রিয়া কার্যকর হতে পারেনা। কেননা বাংলাদেশের শিক্ষা প্রশ্ন প্রয়োগে ব্যক্তির সহজাত আচরণের সাথে ভিন্ন একটি আচরণকে সাপেক্ষীকরনের মাধ্যমে স্থায়ী করে তুলেছে। বাক্যে ব্যবহৃত প্রশ্নবোধক (?) চিহ্নটি আমাদেরকে জানায় যে বাক্যটি পাঠ করার সময় প্রশ্নের মত করে পাঠ করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন করা হয়েছে মনে করে উত্তর খুঁজবার জন্য পারিপার্শ্বে শিক্ষাকে খোজা যাবে না। কেননা উত্তরটি খুঁজে পাওয়ার পরই কেবল প্রশ্নটি করা হয়েছে এবং প্রাপ্ত উত্তরটি জানাবার প্রয়োজনে এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এটা নিশ্চিত যে শিক্ষা প্রসংজ্ঞে তত্ত্বীয় আলোচনার সুযোগ এখানে শিক্ষা প্রাপ্তদের (শিক্ষিতদের) জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষা প্রাপ্ত ব্যক্তি শিক্ষা বিষয়ে উচ্চতর ভাবনার অধিকার পেয়ে থাকেন। চারস্তরীয় শিক্ষার সর্বত্র যে কারিকুলাম সক্রিয় হয়ে আছে সেই কারিকুলামের অন্তর্গত অসংখ্য তথ্য এ জাতির মানসিকতা গঠনে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। তথ্য যা স্বজাতীয় না তার গঠিত মানসিকতায় অবচেতনে এইসব নির্দেশনা এবং অধিকারকে শর্ত করা হয়েছে। উচ্চ এবং উচ্চতর শিক্ষা প্রাপ্তদের এবং রাষ্ট্র যন্ত্র পরিচালনার উচ্চতর অবস্থান সুযোগ নিয়ে অল্প শিক্ষাপ্রাপ্ত এবং শিক্ষা অপ্রাপ্তদেরকে এই অধিকারকে মেনে নেবার উপযোগী মানসিক গঠন দিতে প্রয়োজনীয় সামাজিক কারিকুলামকে পরিকল্পনা অনুসারে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জাতি মানসিকতা এইসব অধিকারকে অবচেতনে মেনে নির্দেশনাটি প্রদান করে চলেছে এবং অবচেতনে এই নির্দেশনা পালনে অভ্যস্থ হয়েছি আমরা।
এটা বিস্ময়কর যে, শিক্ষা কত প্রকারের হতে পারে সেটা ভেবে দেখার, খুঁজে নেবার বা সন্ধান করার কোন সুযোগ বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর কেউ এ পর্যন্ত পায়নি এবং সমসাময়িক ধারাবাহিকতায় আগত ভবিষ্যতে কেউ যেন শিক্ষার প্রকার খুঁজবার উদ্যোগ নিতে না পারে, পারে সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে। কেননা একাডেমীক লেভেল ইতিমধ্যে শিক্ষার প্রকার খুঁজে পেয়েছে এবং প্রাপ্ত প্রকারভেদের তথ্যকে কোনরকম সন্দেহের সুযোগ ছাড়াই প্রচার করা হয়েছে এবং বংশধারায় সরবরাহের জন্য বই বা গ্রন্থাকারে সংরক্ষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চতর শিক্ষার সন্ধানে প্রাপ্ত প্রকারভেদের এই তথ্য প্রচলিত প্রক্রিয়া অনুসারে শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করা হয়েছে। প্রশ্নটি যে উত্তরকে এনে দিয়েছে সেই তথ্যকে বিভিন্ন কার্যক্রমের পদ্ধতি মূল্যায়নে এবং পরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যবহার করা হয়েছে। এরকম স্থিরকৃত বিষয়ে – ব্যক্তি নতুন করে চারপাশে তাকিয়ে শিক্ষার প্রকার খুজতে চাইলে বিপদে পড়বে।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি পরিভাষায় ওয়ার্ল্ডস্কুল বা ইউনিভার্সস্কুল কিছুতেই ইউনিভার্সিটি নয়) শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট এর উচ্চতর মর্যাদা প্রকাশক শব্দ অনার্স এবং মাস্টার্সের উচ্চতর নিরর্থকতায় কিংবা দূর্বোধ্যতায় শিক্ষাকে তিনটি প্রকার হিসেবে খুঁজে পেয়েছে ।
অতএব শিক্ষা কত প্রকার প্রশ্নটির সাথে এর প্রকারভেদকে জাতিজ্ঞানে স্থায়ী করে তুলবার জন্য সংরক্ষন করা হয়েছে। তিন প্রকার শিক্ষা গ্রন্থবদ্ধ হয়ে ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন অঞ্চলে অনাগত বংশধারার কাছে পূর্বপুরুষের তথ্য হয়ে উঠবার জন্য। এভাবেই জাতিজ্ঞানে অন্তর্ভূক্ত হয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিভিন্ন নতুন পরিস্থিতির সাথে অভিযোজনের প্রয়োজনে চিন্তায় ব্যবহার করা হবে এই তথ্যগুলো।
বর্তমানে উচ্চতর শিক্ষার অধ্যাপকেরা অসীম সময়কালের জন্য এই দায়ভার নেবার জন্য টিকে থাকবেন না। কিন্তু জাতি ধারনায় সে সময়ের বর্তমানের ব্যক্তি আর আজকের অধ্যপক হয়ে থাকা ব্যক্তি অভিন্ন । সে সময় পর্যন্ত।
১. আনুষ্ঠানিক শিক্ষা (Formal Education)
২. উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা (Nonformal Education) এবং
৩. অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা
(Non-formal Education)
এটা নিশ্চিত যে কয়েক রকমের শিক্ষা বা তিন প্রকারের শিক্ষাকে এ অঞ্চলের বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর কেউ প্রত্যক্ষনে নিতে পারেনি। শিক্ষার বিমূর্তয়ায় স্বয়ং শিক্ষা যেখানে অপ্রত্যক্ষনীয় একটি ধারনা হয়ে জাতি মানসিকতায় টিকে আছে সেখানে শিক্ষার প্রকার খুঁজবার কোন প্রশ্ন গড়ে উঠবার কথা ছিল না। যদি জোড় করে মেনে নিতে হয় যে শিক্ষা শব্দটি পাশ্চাত্যে বসবাসকারী ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা ব্যাক্তির অন্তে এডুকেশন যে ধারনাটি তৈরী করবে, এ অঞ্চলের বাংলা ব্যাবহারকারীর মনে শিক্ষা ঠিক সেই এডুকেশনের ধারনাকে তৈরী করে থাকে সে ক্ষেত্রেও (যদিও তা অসম্ভব হবে) এ অঞ্চলে দাঁড়িয়ে শিক্ষা বা এডুকেশনকে উল্লেখিত তিন প্রকার হিসেবে কেউ কাল্পনিক প্রত্যক্ষনে পৌছুতে পারবে না। এখানে অনুমান করা যাচ্ছে যে পরবর্তী অংশে যা প্রকাশ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, পড়ার মাধ্যমে সেই প্রকাশিত তথ্যকে পেতে হলে প্রাথমিক দূর্বোধ্যতাকে কিছুক্ষণ এড়িয়ে যেতে হবে। কেননা জাতি মানসিকতা বর্তমানে যে চিন্তনে সক্ষম হয়ে আছে সেখানে কতগুলো শব্দ অব্যবহৃত থাকায় দূর্বোধ্যতাকে এনে দিতে পারে।
সমসাময়িক জ্ঞানে শিক্ষা এবং এডুকেশনকে সমার্থকতায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এরকম ভাবে শিক্ষা আলোচনায় ব্যবহৃত আর কিছু মৌলিক শব্দের ক্ষেত্রে এই সমার্থকতাকে নিয়ে সামান্য সন্দেহ প্রকাশ করা হয়না। লক্ষ্যনীয় প্রোগ্রামকে এক বাক্যে সবাই অনুষ্ঠান বলতে চাইবে, আবার প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ফরম্যাল শব্দটিকে আনুষ্ঠানিক বলার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী শব্দ দ্বারা চিন্তন বাধাগ্রস্থ হতে পারবে না। এরকম ট্রেনকে রেলগাড়ি বলার প্রয়োজন শেষ হয়ে বিশেষ যানবাহন হিসেবে ট্রেন স্বয়ং আত্মনির্ভিরশীল শব্দ হয়ে থাকে স্বত্ত্বেও ট্রেইনিং কে প্রশিক্ষণ বলার মাধ্যমে ইংরেজি ট্রেনিং এর প্রথম খন্ড ট্রেন শব্দটি পূর্ববর্তী ট্রেন এর দ্বারা বাধাগ্রস্থ হবে না। বিপরীত প্রক্রিয়া হিসেবে প্রশিক্ষণ শব্দটি অব্যয় প্র ব্যতীত শুধু শিক্ষণ এবং শিক্ষা – শব্দগত আকারে এবং শ্রবণে সাদৃশ্যজনিত ভ্রান্ত সমার্থকতায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শিক্ষা কার্যক্রমে রূপান্তরিত হলেও বাধা পড়েনা। শিক্ষণ এবং শিক্ষার বৈপরীত্য এ সাদৃশ্যে ধরা দেয়না। যদিও শিক্ষণের চলিত রুপ শিখন বা শেখা সহজেই শিক্ষা থেকে ভিন্ন হয়ে প্রশিখন হয়ে উঠবে না। শিক্ষার সাথে এডুকেশ
শব্দটি চিন্তাকে বিপথগামীতায় কোন সন্দেহের কাছে নিতে পারে না। মানুষের চিন্তা সংঘটনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া থেকে বাংলাভাষা ব্যবহারকারী ব্যক্তির চিন্তা প্রক্রিয়াটি ভিন্নতায় সক্রিয়তা পেয়েছে। এই ভিন্নতাটি উপলব্ধি করতে হলে শিক্ষার প্রকারভেদ নিয়ে উচ্চতর শিক্ষা যে তথ্যকে সংরক্ষণ করে সরবরাহ করেছে সেই তথ্য সাহায্য করতে পারে। এখানে শিক্ষা কত প্রকার জানবার জন্য নয়, কিংবা বর্তমান প্রকারভেদের ত্রুটিকে সনাক্ত করার জন্য নয়, বাংলাভাষী মানুষের চিন্তন যে জ্ঞানকে অস্বীকার করে চলে সেই প্রক্রিয়াকে দৃশ্যমান করার চেষ্টা করা হয়েছে।
একাডেমিক স্টাইলে রেফারেন্স ছাড়াই ব্রাকেটাবদ্ধ ইংরেজি শব্দগুলো তথ্যটির উৎসকে প্রকাশ করছে। অতএব শুরুতে বুঝতে পারা যায়- শিক্ষার এই প্রকারভেদ স্বজাতির অন্তর্গত কোন একক ব্যক্তি বা একাধিক ব্যক্তির দলবদ্ধ মানসিকতার চিন্তা বা ভাবনার সক্রিয়তা থেকে জাগ্রত হয়নি। প্রকৃত পক্ষে এখানে উচ্চতর শিক্ষার জন্য নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান যা ইউনিভার্সিটি নামে পরিচিত করা হয়েছে, সেখানে উচ্চতর জ্ঞানে স্বীকৃত অধ্যাপকদের মাধ্যমে পাশ্চাত্যের ইংরেজি ভাষী ব্যক্তি মানসিকতা বা জাতি মানসিকতার জ্ঞান প্রকাশিত তথ্য সরবরাহে এসেছে। যার পেছনে একটি জাতি দ্বারা অন্য একটি জাতির চিন্তা নিয়্ন্ত্রন করার গোপন কোন লক্ষ্যকে সন্দেহ করা যেতে পারে। এ অঞ্চলের মানুষের চিন্তা করার প্রক্রিয়াটিকে নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে অন্য জাতির কেউ। এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন তিন ন প্রকার শিক্ষাকে তথ্য হিসেবে খুঁজে পায়নি। সেরকম হয়ে থাকলে অন্তত ব্রাকেটবদ্ধ শব্দগুলোর কোন প্রয়োজন পড়ত না। পাশ্চাত্যের কেউ এ অঞ্চলের শিক্ষাকে এই তিনটি ভিন্নতায় চলমান দেখেছে।
জাতি মানসিকতায় মুদ্রিত তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং যথার্থতা সর্বোচ্চ । এমনকি স্বপ্রত্যক্ষনকে মুদ্রিত বা লিখিত তথ্য অস্বীকার করতে পারে। আবার যেহেতু বাংলা ভাষায় পাশ্চাত্যের ইংরেজদের ব্যবহৃত রিসার্চের মত শক্তিশালী শব্দের ব্যবহার নেই , পরিবর্তে রিসার্চকে উচ্চতর অনুসন্ধানে গবেষণা শব্দের নিরর্থকতায় প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে শিক্ষার তিন প্রকারকে ভবিষ্যৎ বংশধারায় আগত কেউ যেন পুনরায় খুঁজতে বা আরেকবার সন্ধানের চেষ্টা নিতে না পারে সেটাও নিশ্চিত করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার এই প্রকারকে পাশ্চাত্যের বংশধারা রিসার্চে বা পুনঃ সন্ধানে নতুন করে খুঁজে পেয়ে ভিন্ন তথ্য সরবরাহ করবে ততদিনের জন্য শিক্ষার তিন প্রকার জাতি জ্ঞানের অংশ হয়ে ব্যবহার হতে থাকবে। উচ্চতর শিক্ষা গবেষণার মাধ্যমে সরবরাহকৃত তথ্যের বাংলা রূপ দিতে নতুন বাংলা শব্দ সৃষ্টির সাফল্যজনক সৃজনশীলতায় পরিতৃপ্ত অধ্যপক হয়ে উঠবে। পাশ্চাত্যের জ্ঞানের প্রকাশ হিসেবে তথ্য, যা সরবরাহ করা হয় নিয়মিত বিরতিতে , আমাদের উচ্চতর শিক্ষা সেই সরবরাহকৃত তথ্যের অনুদিত বক্তব্যকে স্বজ্ঞান ভেবে নিয়ে পুনঃ প্রকাশে সংরক্ষিত করে থাকে পুস্তক রূপে। উচ্চতর শিক্ষায় এই সরবরাহকৃত তথ্য দ্বারা ব্যক্তির অন্তজ্ঞান প্রতিনিয়ত প্রতিস্থাপনে উচ্চতর নির্জ্ঞানতায় বিকশিত ব্যক্তি নির্ধারন করে চলেছে পরবর্তী বংশানুর সজ্জাকে। শিক্ষায় প্রবাহিত ক্রম্পুঞ্জিভূত এই প্রতিষ্ঠাপিত জ্ঞানের প্রকৃত চরিত্রটি অপ্রত্যক্ষনীয় হয়ে উঠবে সময়ের ব্যবধানে।
শিক্ষা যা আয়োজিত হয়ে চলেছে আদিপথ ছেড়ে ভিন্ন পথে, গতিপথ পরিবর্তন ব্যাতিত বংশধারাকে নির্জ্ঞানতায় পরিপূর্ন করে তোলার চলমান প্রক্রিয়াটি কি স্বয়ংক্রিয়তায় থেমে যাবে? স্বজ্ঞান কি সেই সম্ভাবনার দিকে তাকিয়ে নিজ বংশ ধারাকে সমসাময়িক শিক্ষা আয়োজনে সংযুক্ত করতে চাইবে?
ঢেলে সাজাতে হবে শিক্ষাকে। কিংবা আমূল পরিবর্তন করতে হবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে। এই সব কি শুধুমাত্র রূপক শব্দ সমন্বিত উন্নত ভাষা প্রকাশেই ব্যবহার করেছিল পুর্ব্বর্তী বৃদ্ধরা। বাংলাদেশ চিহ্নিত ভূখণ্ডের উপর য্খন শিক্ষা ব্যবস্থাটি গড়ে তোলা হয়েছিল সেটা তিনটি বিচ্ছিন্ন পর্বে ভিন্নতায় হয়েছিল , সেই শিক্ষাকে ভূখণ্ড থেকে ঢেলে ফেলে পুনরায় সজজার নির্দেশনা দিয়ে যায় পূর্ববর্তী বৃদ্ধ ধ্যান বংশগতিরা। মূল সহ উৎপাটনের নির্দেশনা হয়েই কি আমূল শব্দটি ব্যবহার করেনি তারা?
এটাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন শিক্ষার এই তিন প্রকার যে নিশ্চয়তাটি পেয়েছে সেটি ঐ উচ্চতর প্রতিষ্ঠান দ্বারা পূর্বেই মানসিক গঠনে প্রবেশ করানো হয়েছে। যদিও স্বজাতির হাতে প্রতিষ্ঠিত উচ্চতর শিক্ষা যদি গড়ে উঠতে পারত সেই প্রতিষ্ঠান তথ্যের নিশ্চয়তা স্ব নির্ধারন করতেই গড়ে তোলা হত। স্বজাতীয় মানসিকতায় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে করা হয়নি। আর এ কারনেই তিন প্রকারের শিক্ষার প্রতিটির পাশে বন্ধনীতে বাংলা শব্দকে লেখার প্রয়োজন দেখা দেয়।
এটা নিশ্চিত যে কয়েক রকমের শিক্ষা বা তিন প্রকারের শিক্ষাকে এ অঞ্চলের বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর কেউ প্রত্যক্ষনে নিতে পারেনি। শিক্ষার বিমূর্তয়ায় স্বয়ং শিক্ষা যেখানে অপ্রত্যক্ষনীয় একটি ধারনা হয়ে জাতি মানসিকতায় টিকে আছে সেখানে শিক্ষার প্রকার খুঁজবার কোন প্রশ্ন গড়ে উঠবার কথা ছিল না। যদি জোড় করে মেনে নিতে হয় যে শিক্ষা শব্দটি পাশ্চাত্যে বসবাসকারী ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা ব্যাক্তির অন্তে এডুকেশন যে ধারনাটি তৈরী করবে, এ অঞ্চলের বাংলা ব্যাবহারকারীর মনে শিক্ষা ঠিক সেই এডুকেশনের ধারনাকে তৈরী করে থাকে সে ক্ষেত্রেও (যদিও তা অসম্ভব হবে) এ অঞ্চলে দাঁড়িয়ে শিক্ষা বা এডুকেশনকে উল্লেখিত তিন প্রকার হিসেবে কেউ কাল্পনিক প্রত্যক্ষনে পৌছুতে পারবে না। এখানে অনুমান করা যাচ্ছে যে পরবর্তী অংশে যা প্রকাশ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, পড়ার মাধ্যমে সেই প্রকাশিত তথ্যকে পেতে হলে প্রাথমিক দূর্বোধ্যতাকে কিছুক্ষণ এড়িয়ে যেতে হবে। কেননা জাতি মানসিকতা বর্তমানে যে চিন্তনে সক্ষম হয়ে আছে সেখানে কতগুলো শব্দ অব্যবহৃত থাকায় দূর্বোধ্যতাকে এনে দিতে পারে।
সমসাময়িক জ্ঞানে শিক্ষা এবং এডুকেশনকে সমার্থকতায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এরকম ভাবে শিক্ষা আলোচনায় ব্যবহৃত আর কিছু মৌলিক শব্দের ক্ষেত্রে এই সমার্থকতাকে নিয়ে সামান্য সন্দেহ প্রকাশ করা হয়না। লক্ষ্যনীয় প্রোগ্রামকে এক বাক্যে সবাই অনুষ্ঠান বলতে চাইবে, আবার প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ফরম্যাল শব্দটিকে আনুষ্ঠানিক বলার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী শব্দ দ্বারা চিন্তন বাধাগ্রস্থ হতে পারবে না। এরকম ট্রেনকে রেলগাড়ি বলার প্রয়োজন শেষ হয়ে বিশেষ যানবাহন হিসেবে ট্রেন স্বয়ং আত্মনির্ভিরশীল শব্দ হয়ে থাকে স্বত্ত্বেও ট্রেইনিং কে প্রশিক্ষণ বলার মাধ্যমে ইংরেজি ট্রেনিং এর প্রথম খন্ড ট্রেন শব্দটি পূর্ববর্তী ট্রেন এর দ্বারা বাধাগ্রস্থ হবে না। বিপরীত প্রক্রিয়া হিসেবে প্রশিক্ষণ শব্দটি অব্যয় প্র ব্যতীত শুধু শিক্ষণ এবং শিক্ষা – শব্দগত আকারে এবং শ্রবণে সাদৃশ্যজনিত ভ্রান্ত সমার্থকতায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শিক্ষা কার্যক্রমে রূপান্তরিত হলেও বাধা পড়েনা। শিক্ষণ এবং শিক্ষার বৈপরীত্য এ সাদৃশ্যে ধরা দেয়না। যদিও শিক্ষণের চলিত রুপ শিখন বা শেখা সহজেই শিক্ষা থেকে ভিন্ন হয়ে প্রশিখন হয়ে উঠবে না। শিক্ষার সাথে এডুকেশ
শব্দটি চিন্তাকে বিপথগামীতায় কোন সন্দেহের কাছে নিতে পারে না। মানুষের চিন্তা সংঘটনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া থেকে বাংলাভাষা ব্যবহারকারী ব্যক্তির চিন্তা প্রক্রিয়াটি ভিন্নতায় সক্রিয়তা পেয়েছে। এই ভিন্নতাটি উপলব্ধি করতে হলে শিক্ষার প্রকারভেদ নিয়ে উচ্চতর শিক্ষা যে তথ্যকে সংরক্ষণ করে সরবরাহ করেছে সেই তথ্য সাহায্য করতে পারে। এখানে শিক্ষা কত প্রকার জানবার জন্য নয়, কিংবা বর্তমান প্রকারভেদের ত্রুটিকে সনাক্ত করার জন্য নয়, বাংলাভাষী মানুষের চিন্তন যে জ্ঞানকে অস্বীকার করে চলে সেই প্রক্রিয়াকে দৃশ্যমান করার চেষ্টা করা হয়েছে।
একাডেমিক স্টাইলে রেফারেন্স ছাড়াই ব্রাকেটাবদ্ধ ইংরেজি শব্দগুলো তথ্যটির উৎসকে প্রকাশ করছে। অতএব শুরুতে বুঝতে পারা যায়- শিক্ষার এই প্রকারভেদ স্বজাতির অন্তর্গত কোন একক ব্যক্তি বা একাধিক ব্যক্তির দলবদ্ধ মানসিকতার চিন্তা বা ভাবনার সক্রিয়তা থেকে জাগ্রত হয়নি। প্রকৃত পক্ষে এখানে উচ্চতর শিক্ষার জন্য নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান যা ইউনিভার্সিটি নামে পরিচিত করা হয়েছে, সেখানে উচ্চতর জ্ঞানে স্বীকৃত অধ্যাপকদের মাধ্যমে পাশ্চাত্যের ইংরেজি ভাষী ব্যক্তি মানসিকতা বা জাতি মানসিকতার জ্ঞান প্রকাশিত তথ্য সরবরাহে এসেছে। যার পেছনে একটি জাতি দ্বারা অন্য একটি জাতির চিন্তা নিয়্ন্ত্রন করার গোপন কোন লক্ষ্যকে সন্দেহ করা যেতে পারে। এ অঞ্চলের মানুষের চিন্তা করার প্রক্রিয়াটিকে নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে অন্য জাতির কেউ। এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন তিন ন প্রকার শিক্ষাকে তথ্য হিসেবে খুঁজে পায়নি। সেরকম হয়ে থাকলে অন্তত ব্রাকেটবদ্ধ শব্দগুলোর কোন প্রয়োজন পড়ত না। পাশ্চাত্যের কেউ এ অঞ্চলের শিক্ষাকে এই তিনটি ভিন্নতায় চলমান দেখেছে।
জাতি মানসিকতায় মুদ্রিত তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং যথার্থতা সর্বোচ্চ । এমনকি স্বপ্রত্যক্ষনকে মুদ্রিত বা লিখিত তথ্য অস্বীকার করতে পারে। আবার যেহেতু বাংলা ভাষায় পাশ্চাত্যের ইংরেজদের ব্যবহৃত রিসার্চের মত শক্তিশালী শব্দের ব্যবহার নেই , পরিবর্তে রিসার্চকে উচ্চতর অনুসন্ধানে গবেষণা শব্দের নিরর্থকতায় প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে শিক্ষার তিন প্রকারকে ভবিষ্যৎ বংশধারায় আগত কেউ যেন পুনরায় খুঁজতে বা আরেকবার সন্ধানের চেষ্টা নিতে না পারে সেটাও নিশ্চিত করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার এই প্রকারকে পাশ্চাত্যের বংশধারা রিসার্চে বা পুনঃ সন্ধানে নতুন করে খুঁজে পেয়ে ভিন্ন তথ্য সরবরাহ করবে ততদিনের জন্য শিক্ষার তিন প্রকার জাতি জ্ঞানের অংশ হয়ে ব্যবহার হতে থাকবে। উচ্চতর শিক্ষা গবেষণার মাধ্যমে সরবরাহকৃত তথ্যের বাংলা রূপ দিতে নতুন বাংলা শব্দ সৃষ্টির সাফল্যজনক সৃজনশীলতায় পরিতৃপ্ত অধ্যপক হয়ে উঠবে। পাশ্চাত্যের জ্ঞানের প্রকাশ হিসেবে তথ্য, যা সরবরাহ করা হয় নিয়মিত বিরতিতে , আমাদের উচ্চতর শিক্ষা সেই সরবরাহকৃত তথ্যের অনুদিত বক্তব্যকে স্বজ্ঞান ভেবে নিয়ে পুনঃ প্রকাশে সংরক্ষিত করে থাকে পুস্তক রূপে। উচ্চতর শিক্ষায় এই সরবরাহকৃত তথ্য দ্বারা ব্যক্তির অন্তজ্ঞান প্রতিনিয়ত প্রতিস্থাপনে উচ্চতর নির্জ্ঞানতায় বিকশিত ব্যক্তি নির্ধারন করে চলেছে পরবর্তী বংশানুর সজ্জাকে। শিক্ষায় প্রবাহিত ক্রম্পুঞ্জিভূত এই প্রতিষ্ঠাপিত জ্ঞানের প্রকৃত চরিত্রটি অপ্রত্যক্ষনীয় হয়ে উঠবে সময়ের ব্যবধানে।
শিক্ষা যা আয়োজিত হয়ে চলেছে আদিপথ ছেড়ে ভিন্ন পথে, গতিপথ পরিবর্তন ব্যাতিত বংশধারাকে নির্জ্ঞানতায় পরিপূর্ন করে তোলার চলমান প্রক্রিয়াটি কি স্বয়ংক্রিয়তায় থেমে যাবে? স্বজ্ঞান কি সেই সম্ভাবনার দিকে তাকিয়ে নিজ বংশ ধারাকে সমসাময়িক শিক্ষা আয়োজনে সংযুক্ত করতে চাইবে?
ঢেলে সাজাতে হবে শিক্ষাকে। কিংবা আমূল পরিবর্তন করতে হবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে। এই সব কি শুধুমাত্র রূপক শব্দ সমন্বিত উন্নত ভাষা প্রকাশেই ব্যবহার করেছিল পুর্ব্বর্তী বৃদ্ধরা। বাংলাদেশ চিহ্নিত ভূখণ্ডের উপর য্খন শিক্ষা ব্যবস্থাটি গড়ে তোলা হয়েছিল সেটা তিনটি বিচ্ছিন্ন পর্বে ভিন্নতায় হয়েছিল , সেই শিক্ষাকে ভূখণ্ড থেকে ঢেলে ফেলে পুনরায় সজজার নির্দেশনা দিয়ে যায় পূর্ববর্তী বৃদ্ধ ধ্যান বংশগতিরা। মূল সহ উৎপাটনের নির্দেশনা হয়েই কি আমূল শব্দটি ব্যবহার করেনি তারা?
এটাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন শিক্ষার এই তিন প্রকার যে নিশ্চয়তাটি পেয়েছে সেটি ঐ উচ্চতর প্রতিষ্ঠান দ্বারা পূর্বেই মানসিক গঠনে প্রবেশ করানো হয়েছে। যদিও স্বজাতির হাতে প্রতিষ্ঠিত উচ্চতর শিক্ষা যদি গড়ে উঠতে পারত সেই প্রতিষ্ঠান তথ্যের নিশ্চয়তা স্ব নির্ধারন করতেই গড়ে তোলা হত। স্বজাতীয় মানসিকতায় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে করা হয়নি। আর এ কারনেই তিন প্রকারের শিক্ষার প্রতিটির পাশে বন্ধনীতে বাংলা শব্দকে লেখার প্রয়োজন দেখা দেয়।
ক. শিক্ষাকে বিষয় করে ডিপ্লোমাক
প্রকৃতপক্ষে আমাদের সামগ্রিক জীবন ভাবনায় শিক্ষার এই প্রকারভেদ খুজে দেখার কোন প্রয়োজন হয়নি এবং একইসাথে এই বন্ধনী আবদ্ধ শব্দগুলোর কারণে ভবিষ্যতেও আর খুজবার প্রয়োজন হবে না কখনো। ভবিষ্যৎ বংশধারাকে এই সব কষ্টকর চিন্তা ভাবনা করার হাত থেকে মুক্ত করেছি আমরা।
শিক্ষার এই তিনটি প্রকার প্রায়োগিক প্রয়োজন থেকে কিংবা ব্যবহারিক জীবনের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যের স্বাভাবিক নিয়মে জ্ঞানে আসেনি স্বজাতিক চিন্তার দ্বারা।
যেহেতু পাশ্চাত্যের ইংরেজ জাতি প্রত্যক্ষভাবে এখনো এ অঞ্চলের শিক্ষাকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে , সে কারণে ইংরেজদের প্রায়োগিক প্রয়োজন থেকে যখন আমাদের এ অঞ্চলের শিক্ষা আয়োজনের দিকে তাকানো হয় তখন ইংরেজদের জাতি স্বার্থটি অবচেতনে চিন্তাকে প্রভাবিত করায় এই ফর্মাল এবং নন ফরম্যালকে অতীন্দ্রিয় প্রত্যক্ষনে চিন্তনে রুপ পায়।
শিক্ষার এই ভিন্নতাকে এ অঞ্চলে অবস্থান করে দেখা সম্ভব নয়। এই অবস্থান প্রকৃতপক্ষে স্থানগত নয়, এই অবস্থানটি তৈরী থাকে আমাদের মানসিক গঠনে, আমাদের অন্ত তথ্যে, আমাদের অন্তজ্ঞানে। যে খানে অবস্থানরত থেকে প্রত্যক্ষনে ব্যবহৃত ইন্দ্রিয়গুলো বাহ্যিক পারিপার্শ্বকে দৃশ্যমান করে তোলে। এই প্রত্যক্ষনীয়তা জাতি স্বার্থকে কেন্দ্র করে রূপায়িত হয়ে থাকে। জাতি ভিন্নতায় তাই প্রত্যক্ষনীয় তথ্যগুলো ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
তিন প্রকার শিক্ষাকে কে দেখে? যদিও বাংলা ভাষায় শিক্ষাকে বস্তুরুপে দেখার সম্ভাবনা নাকচ করে শিক্ষা বিমূর্ত ধারনা বিবেচিত হয়ে থাকে এবং বিমূর্তের অসীম সম্ভাবনাকে আশ্রয় করেই জাতি তার বংশকে টিকিয়ে রাখার পরিকল্পনা নিয়ে শিক্ষার আয়োজন করে থাকে। এই শিক্ষা দৃশ্যমান না হয়ে উঠলেও শিক্ষার আয়োজনটি স্পষ্টতই ইন্দ্রিয় দ্বারা প্রত্যক্ষন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রশ্নটি – শিক্ষা আয়োজন কত প্রকার? হয়ে উঠতে পারে। বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটি নিশ্চিতভাবে ব্যক্তিকে শিক্ষা আয়োজনের দিকে তাকিয়ে আয়োজনের ভিন্নতা যাচাই করতে দৃষ্টি দিতে পারে। এখানে প্রশ্নটি যথার্ত হয়ে ওঠে এবং শিক্ষার মাধ্যমে প্রশ্ন উদ্দীপক হিসেবে মানুষের এই সহজাত সন্ধানী আচরনের সাথে সাপেক্ষীকরণে নতুন স্থায়ী আচরণে সক্রিয় হয়ে বই বা পাঠ্যপুস্তক থেকে তথ্যের সন্ধানের প্রচলিত আচরণ পরিত্যাগে কিংবা কিছু সময়ের জন্য সাপেক্ষঈকৃত আচরণের দৈহিক প্রক্রিয়াকে স্থগিত করে প্রকৃত সন্ধানের সহজাত প্রবৃত্তিক আত্মউদ্দীপনায় নিজেকে নিতে পারে।
সম্ভত – ইংরেজি ভাষার ক্ষেত্রে দ্যা টাইপস অফ এডুকেশনের যে ভাবনা সেটি তাদের ভাষারীতির দিক থেকে এডুকেশন শব্দটির নির্দিষ্ট অর্থবোধে এস ইট এন প্রসেস education as it a process হিসেবে আয়োজন নিঃশব্দে মিশ্রিত থাকে। সেখানে এডুকেশন শব্দের সাথে তাই এরেঞ্জমেন্ট শব্দ সংযোগ ছাড়াই আমাদের শিক্ষা আয়োজনকে খুঁজে পায়।
যদি পাশ্চাত্যের শিশুর স্কুলগুলোর ইতিহাস অনুসন্ধান করা হয় এবং আমাদের স্কুলগুলোর এই স্কুল হয়ে ওঠার ইতিহাস জানা যায়, সমস্যাটি স্পষ্ট হয়ে উঠবে। কিন্ত ব্যক্তি যদি অবস্থানগত কারনে এই ইতিহাস খুজে না পায় তবুও অতীত সম্পর্কিত সামান্য তথ্য, ভাষায় ব্যবহৃত কিছু শব্দ এবং মানুষের বিবর্তনের ধারাবাহিক গতিপ্রবাহ থেকে ভেসে ওঠা কান্ডজ্ঞান ব্যবহার করা হলে শিক্ষার মৌলিক সমস্যাটি উপলব্ধি হতে পারে। এই উপলব্ধি পারে ব্যক্তিকে শিক্ষাকে পরিশুদ্ধতায় স্বজাতীয় করে তুলবার তাড়না দিতে। যে তাড়না ব্যাতীত শিক্ষা আয়োজনে জড়িত মানুষেরা নির্দেশনার শৃঙ্ক্ষলা থেকে মুক্ত হতে পারেনা। যে তাড়না ব্যতিত শিক্ষা আয়োজনে নির্দেশক আর নির্দেশিত, পরিচালক আর পরিচালিতদের মধ্যবর্তী বিভাজনে সমজাতীয়বোধ কার্যকর হতে পারে না। বিশেষ করে শিশুর শিক্ষা আয়োজনে জড়িতদের বহুবিধ মানসিক মাত্রাজনিত যে পারস্পরিক অমর্যাদা, অবমাননা, হিংসা, অসহযোগীতা, প্রতিবন্ধকতা প্রভাবিত অদৃশ্য তথ্যাবলি ছুটে বেরায় তা শিশুর পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন নয় কখনো, আমাদের জানা নেই এই সব ভয়ংকর তথ্যগুলো শিশুর অন্তসজ্জায় পরিকল্পিত প্রাচিন সজ্জাকে আঘাতে আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে তুলেছি আমরা। শিশুর সামগ্রিক সম্ভাবনকে কতটা ক্ষতি করে থাকি আজকের শিশুটির মুখচ্ছবিটি যদি ৩০ বছর বয়সে পৌছুনো ব্যক্তিটির মুখচ্ছবির তুলনা করা হয়, তখন দেখতে পাই আমরা। এ জাতির উচ্চ শিক্ষিত মানুষের চেহারায় আমরা কি খুজে পাই কোন বিশেষ যোগ্যতা, যা হতে পারে উচ্চ শিক্ষার কাগুজে সনদের বিকল্প চিহ্ন।
উচ্চতর শিক্ষায় একজন প্রফেসর যেভাবে অধ্যাপক শব্দে সনাক্ত হয়ে থাকেন সেভাবেই তার কাজের নির্দিষ্টতা পেয়ে থাকেন। যে কারনে অধ্যাপক হিসেবে তিনি নিজেকে সাজাতে কতগুলো চিহ্নকে ব্যবহার করে থাকেন। যে চিহ্ন গুলো রুপ নিতে থাকে অধ্যাপক শব্দের প্রভাবে। তার নির্ধারিত দ্বায়িত্ব মনে করে সরবরাহকৃত এই তথ্যকে অনুবাদে সংরক্ষণ করে থাকেন । আবার কেউ হয়ত অধ্যাপক হতে কিংবা পি এইচডি অর্জন করে নামের সাথে ডঃ যুক্ত করার অভিপ্রায় এরকম কিছু তথ্যকে অনুবাদ করে সমন্বিত আকারে গ্রন্থ রচনা করে থাকেন। আমাদের জাতিজ্ঞানে কর্ম ক্ষেত্রে এরকম দ্বায়িত্ব কর্তব্য পালনে নিষ্ঠতা বা শৃঙ্খলা অধ্যাসায় গুরুত্বপূর্ন বিবেচনা করা হলেও প্রকৃত কাজটির সাথে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের প্রজন্মের সম্পর্ককে বিবেচনা করতে পারে না।
এখানে মানুষের কাছে বিশেষ শব্দের মর্যাদা পেয়েছে মেধা বা বুদ্ধিমত্তা।
এ অঞ্চলের শিক্ষা আয়োজনের দিকে তাকালে আমরা কি দেখব। দুধরনের শিক্ষা এখানে আয়োজন করা হয়েছে -
বহিজাতি প্রবর্তিত শিক্ষা আয়োজন
এবং স্বজাতিয় শিক্ষা আয়োজন
উচ্চতর শিক্ষার মাধ্যমে এখনো শিক্ষা বিষয়ক গ্রন্থ খুব বেশী তৈরী করা হয়নি।
সুনিশ্চিতভাবেই শ্রেণীকরনের কাজটি যে ব্যক্তি করে থাকেন তার মানসিকতায় এইসব অধ্যাবসায়ী শৃংখলাপূর্ণ কর্তব্য নিষ্ঠার চাইতে করনীয় কর্মের দ্বারা বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ আগতরা কিভাবে লাভবান হতে পারে, কিভাবে কাজে লাগাতে পারে সেটাই প্রাধান্য পেয়ে থাকে।
যে কারণে সে এ অঞ্চলের শিক্ষাকে যে তাদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়ে চলেছে সেই নিয়ন্ত্রণটি কিভাবে আর সুসমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের আগত প্রজন্ম যেন কার্যকর করতে পারে সেই স্বার্থকে কেন্দ্র করেই দৃষ্টি নিক্ষেপ হয়ে থাকে এবং প্রাপ্ত তথ্যকে সেই লক্ষ্যে কার্যকর বা ব্যবহারিক করে তোলার জন্য উপস্থাপন করে থাকে। সমজাতির যে ব্যক্তি এ অঞ্চলের শিক্ষাকে নিয়ে কাজ করে চলেছে বা কাজ করবে কিংবা যায়েরা কাজ করে চলে গেছে সবার জন্যই এই তিন প্রকার শিক্ষা এক ধাপ উন্নত চিন্তন প্রক্রিয়াকে চলমান হতে সাহায্য করবে। এই শ্রেণীকরণ ছাড়াই যদি কাউকে এ অঞ্চলের শিক্ষা পর্যবেক্ষনে প্রেরণ করা হয়ে থাকে তাহলে তার পক্ষে শ্রেণীকরণের ধারনা ব্যবহার ব্যতীত সুরু থেকেই এই পর্যবেক্ষন দিকভ্রান্ত এবং অগোছালো হএ উঠবে। সুরু থেকেই তাপর্যময় কাছে এই প্রকরণটি সরবরাহ করা হয়েছিল। অধ্যাপক আপাতত অনুবাদরুপে এই তথ্যকে বোধগম্য করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখেছে।
তথ্যটি যে ব্যক্তির চিন্তনে জাগ্রত হয়েছিল শুধুমাত্র তার জাতিজ্ঞানের জন্য শুদ্ধ চিন্তায় বুয়বহারিক হতে পারে। কিন্তু আমাদের কাছে এই তিন প্রকারের আদৌ কি কোন প্রয়োজন পড়ে?
তিন প্রকার শিক্ষাকে রূপায়িত করার পেছনে যৌক্তিক কারণ এবং উদ্দ্যেশ্য থাকে।
ব্যক্তি দেখে যে, এ অঞ্চলে অতীত পূর্ব পুরুষেরা শিক্ষার যে ফর্মটি তৈরী করে গিয়েছিল ঠিক সেই ফর্ম অনুসরনে এখানে শিক্ষা চলমান আছে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে। এখানে তাই ফর্মাল এডুকেশনকে শ্রেণীকরণের মাধ্যমে পৃথক করে নিশ্চয়তা আরোপ করা হয় যে এ অংশটি এখনো তাদের পূর্বপুরুষের ফর্ম অনুসারে চলছে এবং প্রয়োজন দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণ আরোপে নতুন উদ্দ্যেশ্যে পরিচালনা করার উপযোগী ফরমটি আছে। অতএব এ অংশটুকুর জন্য বিপদের আশংকা নেই। বিকস অফ উইদিন দ্যাট ফর্ম অফ এডুকেশন স্টিল নাও ফুলফিল দেয়ার প্রিসেটেড অবজেক্টিভস এন্ড দ্যা ফর্ম ক্যান বি কন্ট্রোল বাই ডেম ইফ দ্যা ডেইস রিকোয়েয়ার এনি ডিমান্ড। In Bangladesh education seems to going on three ways. Within the control of State system , greater part of the education is formal. That is using the same form that our previous people formed there when they went and staying for a long time. This formal education is fullfilling all the putrpose that we set in their curriculum . Still now it in is our controll wheather we need to program the people of Bangladesh using this formal education .
এখানে লক্ষ্য করা প্রয়োজন শিক্ষা শব্দটি যে বিমূর্ত সম্ভাবনাকে ধারণ করে থাকে সেখানে এর প্রকরণ ভাবনা অসম্ভব। কিন্তু এডুকেশন যা প্রকাশ করে সেটা একই সাথে একটি প্রক্রিয়া বা সিস্টেমকে মিশ্রিত রাখে। এডুকেশন শব্দ থেকেই তাই এডুকেটিং শব্দটি ক্রিয়া রূপে ব্যবহার করা যেতে পারে। সো ইট ঈশ এ ম্যাটার অফ টাইম টু রিভিউ দ্যা প্রিভিয়াস সেন্স অফ – ডু উই স্টার্ট এডুকেটিং দ্যা এলিয়েন হউ আর রিসেন্টিলই আইডেবন্টিফাইড ইন এ রিমোট স্টার ইন প্রক্সিমা সেন্টরাই। এডুকেটিং আদার নেশন্স ইফ উই
বরং এই প্রশ্নটির মীমাংসা করা হলে আমরা দারুন কিছু পেতে পারি।
স্বয়ং শিক্ষাকে নিয়ে বা শিক্ষা বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার আয়োজন করা হয়েছে এখানে। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষাকে বিষয় হিসেবে যারা পেয়েছে তাদের জন্য এই প্রশ্নটির আবির্ভাব। শিক্ষা বিষয়ে উচ্চ বা উচ্চতর ডিগ্রী নেবার প্রয়োজনে একজন ব্যাক্তি এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারে কিন্তু কোনভাবেই তা প্রশ্ন বা প্রকৃত প্রশ্ন হিসেবে নয়। কেননা প্রকৃত প্রশ্ন হিসেবে উত্থাপিত হলে শিক্ষার্থী যদি তার স্বত্তাকে ব্যাবহার করে বাস্তব প্রত্যক্ষণীয় সন্ধানে উত্তর দিতে চায় তাহলে সে তার লক্ষ্য বিচ্যুত হতে পারে এবং ডিগ্রীটি হারাতে পারে। সামগ্রীক শিক্ষা সাজানো হয়েছে প্রশ্নহীনতায়। আমরা ধারাবাহিকতায় এই শিক্ষায় প্রশ্নহীনতার চর্চা করে চলেছি।
এখানে প্রতিটি প্রশ্নের সাথে উত্তর সংযুক্ত করে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এই চর্চাটির সময়কাল এত বেশী যে উত্তরবিহীন কোন প্রশ্ন হতে পারে সেরকম চিন্তা করার সম্ভাবনাটি শেষ হতে চলেছে।
শিক্ষার প্রকারভেদে সরবরাহকৃত তিনটি প্রকার যাদের বা যে জাতির মানুষেরা উদঘাটন করেছে সেই প্রকারগুলো তাদের উদ্দ্যেশ্য পূরণের লক্ষ্যেই করা হয়ে থাকবে।
সাধারণত প্রশ্ন একটি সমস্যাকে উপস্থাপন করে। অর্থাৎ সমস্যাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন বা প্রশ্ন মালা জেগে ওঠে। প্রশ্নের উত্তর একটি সমস্যার সমাধান দিতে পারে। প্রকৃত পক্ষে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের মনে প্রশ্ন জেগে ওঠে।
আবার শিক্ষায় সাধারণত যে তথ্যকে মানুষের জানা প্রয়োজন মনে করা হয়ে থাকে সেই সব তথ্য পরিকল্পিতভাবে সংরক্ষণ করে পরবর্তী প্রজন্মে বাহিত করা হয়। এই তথ্যের প্রকৃত উৎস একটি জাতির নিজস্ব জ্ঞানজাত হবার কথা ছিল। কিন্তু এখানে অতীত যে সাক্ষ্য দইয়ে চলেছে সেখানে সংেওক্ষিত তথ্য যা আমরা সরবরাহ করে চলেছি তার কোনটাই এ জাতী তার ধারাবাহিক গতিতে গড়ে তোলেনি। ঘটনা চক্রে ইংরেজদের সিংরক্ষিত তথ্যের উপির ভর করে আমরা তথ্যজ্ঞ হয়ে উঠেছি। কিন্তু আমরা কি জাতীয় মানসিকতায় জ্ঞানকে হারাতে চিলেছি সমগ্র জাতি কি নির্জ্ঞান তথ্য নির্ভর ভ্রান্ত জ্ঞানে আরোহন করতে চলেছে। এই সম্ভাবনাটিকে এখানে এখনই।সিদ্ধান্তে পরিণত করার মত তথ্যকে আমরা তৈরী করতে পারিনি। কেননা শিক্ষার প্রকরণের মধ্যে এই সিদ্ধান্তটি তৈরীর প্রয়োজনীয় উপকরণ লুকিয়ে আছে।
শিক্ষার প্রকার খুজতে চাইলে আমরা কিভাবে খুজতে পারি।
যখনই শিক্ষার প্রকার প্রসংজ্ঞে ফরম্যাল, নন ফরম্যাল এবং ইনফরম্যাল এই তিনটি প্রকার নিশ্চিত রুপে উপস্থাপিত হয়ে থাকে তখনই সমগ্র জাতি শিক্ষার প্রকরণকে খুজে দেখবার বা চিন্তা করে বের করার সুযোগটি হারিয়ে ফেলে। এই সুযোগ হারানোর সাথে জাতিগত বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাটি যতটা না বাধা প্রাপ্ত হতে থাকে একই সাথে এই অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে অর্থাৎ বস্তু, বস্তু শক্তি এবং বস্তু শক্তির পারস্পরিক সংঘটনজনিত শিক্ষার সম্ভাব্য প্রকৃত প্রকরণের উদঘাটন অসম্ভব হয়ে ওঠে।
যদি শিক্ষাকে বিমূর্ত ধারণা রুপে সত্যিকার ভাবেই স্বিকৃতি প্রদান করা হয়, সেক্ষেত্রে সম্ভাব্য অসংখ্য প্রকরণের দরোজাটি যে উন্মুক্ত থাকবে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়।
এই প্রকোরণের অসীম সম্ভাবনাটি কাজে লাগানো যেতে পারে আমাদের শিক্ষায় মিশ্রিত বিভ্রান্তিকে সরিয়ে স্বজাতীয় গতিপথের সেই থেমে থাকা অংশটির সাথে পুনযুক্ত হবার।
যে উদ্দ্যেশ্য পূরণে পাশ্চাত্য ধারণা ফরম্যাল, ইন ফরম্যাল এবং নন ফরম্যাল প্রকরণের প্রয়োজন মনে করেছিল সেরকম উদ্দ্যেশ্য যে আমাদের মাঝেই জেগে উঠবে এমন ভাববার কোন সুযোগ নেই, অন্তত বিশ্বব্যাপী মানুষের মাঝে জাতিগত এবং ভাষাগত প্রকরণই এই ধারনা দিতে পারে। আবার, স্পষ্টতই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষা বিষয়ের মাধ্যমে আমাদের মেধাভিত্তিক কোন শিক্ষার্থী যে অনুবাদ করে আনুষ্ঠানিক, অনানুষ্ঠানিক এবং উপানুষ্ঠানিক শব্দকে গড়ে তুলেছিল তার বুদ্ধিমত্তাকে সন্দেহ না করেও এই অনুবাদ জনিত আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় আবেগের অনুপস্থিতির ভাবটি স্থায়ী করার দায়বদ্ধতা কি বুদ্ধিমত্তা অস্বীকার করতে পারবে।
শিক্ষা দুই প্রকার পরিচালিত শিক্ষা এবং আয়োজিত শিক্ষা
এই দুই প্রকার শিক্ষার স্বিকৃতি এবং শিক্ষা কাজে নিয়োজিতদের মধ্যে তথ্য হিসেবে বিস্তৃত করা হলে আমাদের শিক্ষা তার বিশুদ্ধতায় ফিরবার দিকে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারে।
পরিচালিত শিক্ষাঃ
প্রাণীজগতে প্রতিটি প্রাণী তার বংশধারাকে টিকিয়ে রাখবার লক্ষ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য শিশুকে বাবা মায়ের সান্নিধ্যে বড় করে তোলে। ব্যাতিক্রম মানুষের ক্ষেত্রে। গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষের দল এই বাবা মায়ের সান্নিধ্যের পর একটি পরিকল্পিত আয়োজনে শিশুদেরকে গড়ে তুলবার আয়োজন করে থাকে এবং এই আয়োজনটি গোষ্ঠীর অল্প কিছু সদস্যের উপর আরোপ করে। এভাবে শিক্ষা আয়োজনকে বলা হয় আয়োজিত শিক্ষা।
পরিচালিত শিক্ষাঃ
প্রাণিজগতে একটি প্রজাতি স্বাভাবিক নিয়মে কখনো অন্য প্রজাতির শিশুকে বড় করে তুলবার দ্বায়িত্ব নিতে পারেনা। 5382 1459
ইউরোপের কোন একটি দেশের নাগরিক তার পারিপার্শ্বের সাপেক্ষে যে দৃষ্টিভঙ্গী পেয়ে থাকে এবং তার অতীত বংশধারাটি যে সকল সংঘটনের মধ্য দিয়ে যে পরিমাণ জ্ঞান সমন্বিত করে প্রবাহিত করে থাকে শিক্ষার এই প্রকারকে খুজে পায় ঠিক একই রকম দৃষ্টিভঙ্গী পাবে এবং জাতি জ্ঞানের প্রবাহটি একই রকম হয়ে উঠবে তেমন নয়। সেক্ষেত্রে এখানেও ঠিক একই রকম ভাবে শিক্ষার তিনটি প্রকারকে খুজে পাবার পরিবর্তে ভিন্নতর কিছু পেতে পারতাম আমরা। প্রকৃতপক্ষে বস্তুর ক্ষেত্রে এবং বস্তু সমন্বিত দৃশ্যমান কাঠামোর ক্ষেত্রে যদি প্রকার খুজতে চাই সেখানে এই অভিন্ন প্রকরণ খুজে পাবার সম্ভাবনাটি যুক্তিসংগত বা কার্যকরণ ভিত্তিক গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে। যদিও সূক্ষ্ম বিচারে যে দৃষ্টিভংজ্ঞীগত পার্থক্যের উপস্থিতিকে নিশ্চিত করা যায় সূক্ষন্ম বিচারে হয়ত স্থানভেদে যে জাতিগত দৈহিক পার্থক্যকে বাহ্যিকভাবে দেখা যায় সেখানে প্রত্যক্ষণ ইন্দ্রিয়ের পার্থক্য জনিত কারণে জারিভেদে একই বস্তুর প্রত্যক্ষণে পার্থক্যের সম্ভাবনাকে অস্বীকার কিংবা একেবারে হতে পারে না বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারা যায় না। প্রজাতিভেদে ইন্দ্রিয় সক্ষমতার ভিন্নতার তথ্যকে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। এমনকি ইন্দ্রিয় সংখ্যার স্পষ্ট পার্থক্যকে স্পষ্ট দেখতে পাই। একই প্রজাতির অন্তর্গত হোমো সাপিয়েন্স এই মানুষ প্রজাতিটির মধ্যে মহাদেশীয় বা স্থানিক যে পার্থক্য তা ভাষার ভিন্নতাকে গড়ে তুলে যে জাতিগত ভাবে শ্রেণীকরণ করা যায় সেখানে এই ইন্দ্রিয় সক্ষমতার পার্থক্যকে অনুমান করা যায়।
এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষার প্রকরণ যদি সত্যিকার অর্থেই এই জাতির কেউ খুজে বের করতে চায়, সেখানে তা তিন সংখ্যার বাধ্যবাধকতায় খুজে পাবে এমন নয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে চলমান শিক্ষা আলোচনাটি আলোচনারুপে আমরা কখনো শুরু করিনি এবং আলোচনা উপলক্ষে এখানে কেউ গভীর পর্যবেক্ষণে শিক্ষার প্রকারকে খুজবার প্রয়োজন মনে করতে পারেনি। কিন্তু কেন একটি জাতি এই সামান্য অনুসন্ধানটি স্বজাতির মাঝে করতে পারেনি।
শিক্ষার প্রকরণে যে ফরমাল, নন ফরমাল এবং ইনফরম্যালকে আমরা জেনেছি আদৌ কি এ জাতি কখনো এই প্রকরণের প্রকৃত জ্ঞানে বা বোধে নিতে পেরেছে? ব্রাকেটাবদ্ধ কিংবা উচ্চ শিক্ষার গাম্ভীর্যতা সংরক্ষণে আমাদের পূর্ববর্তী শিক্ষাবিদেরা কিভাবে এদেরকে আনুষ্ঠানিক উপানুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠনিক শিক্ষায় অনুবাদ করতে পারে। এবং কতটা নিশ্চিত ন্যুনতম সন্দেহ প্রকাশের বাইরে থেকে পরবর্তী বংশধারাকে স্বজ্ঞানরুপে সরবরাহ করে থাকে এই শিক্ষার মাধ্যমে। কতটা বিপথগামী শিক্ষাকে প্রতিষ্ঠিত করে।
প্রকৃতপক্ষে আমাদের সামগ্রিক জীবন ভাবনায় শিক্ষার এই প্রকারভেদ খুজে দেখার কোন প্রয়োজন হয়নি এবং একইসাথে এই বন্ধনী আবদ্ধ শব্দগুলোর কারণে ভবিষ্যতেও আর খুজবার প্রয়োজন হবে না কখনো। ভবিষ্যৎ বংশধারাকে এই সব কষ্টকর চিন্তা ভাবনা করার হাত থেকে মুক্ত করেছি আমরা।
শিক্ষার এই তিনটি প্রকার প্রায়োগিক প্রয়োজন থেকে কিংবা ব্যবহারিক জীবনের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যের স্বাভাবিক নিয়মে জ্ঞানে আসেনি স্বজাতিক চিন্তার দ্বারা।
যেহেতু পাশ্চাত্যের ইংরেজ জাতি প্রত্যক্ষভাবে এখনো এ অঞ্চলের শিক্ষাকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে , সে কারণে ইংরেজদের প্রায়োগিক প্রয়োজন থেকে যখন আমাদের এ অঞ্চলের শিক্ষা আয়োজনের দিকে তাকানো হয় তখন ইংরেজদের জাতি স্বার্থটি অবচেতনে চিন্তাকে প্রভাবিত করায় এই ফর্মাল এবং নন ফরম্যালকে অতীন্দ্রিয় প্রত্যক্ষনে চিন্তনে রুপ পায়।
শিক্ষার এই ভিন্নতাকে এ অঞ্চলে অবস্থান করে দেখা সম্ভব নয়। এই অবস্থান প্রকৃতপক্ষে স্থানগত নয়, এই অবস্থানটি তৈরী থাকে আমাদের মানসিক গঠনে, আমাদের অন্ত তথ্যে, আমাদের অন্তজ্ঞানে। যে খানে অবস্থানরত থেকে প্রত্যক্ষনে ব্যবহৃত ইন্দ্রিয়গুলো বাহ্যিক পারিপার্শ্বকে দৃশ্যমান করে তোলে। এই প্রত্যক্ষনীয়তা জাতি স্বার্থকে কেন্দ্র করে রূপায়িত হয়ে থাকে। জাতি ভিন্নতায় তাই প্রত্যক্ষনীয় তথ্যগুলো ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
তিন প্রকার শিক্ষাকে কে দেখে? যদিও বাংলা ভাষায় শিক্ষাকে বস্তুরুপে দেখার সম্ভাবনা নাকচ করে শিক্ষা বিমূর্ত ধারনা বিবেচিত হয়ে থাকে এবং বিমূর্তের অসীম সম্ভাবনাকে আশ্রয় করেই জাতি তার বংশকে টিকিয়ে রাখার পরিকল্পনা নিয়ে শিক্ষার আয়োজন করে থাকে। এই শিক্ষা দৃশ্যমান না হয়ে উঠলেও শিক্ষার আয়োজনটি স্পষ্টতই ইন্দ্রিয় দ্বারা প্রত্যক্ষন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রশ্নটি – শিক্ষা আয়োজন কত প্রকার? হয়ে উঠতে পারে। বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটি নিশ্চিতভাবে ব্যক্তিকে শিক্ষা আয়োজনের দিকে তাকিয়ে আয়োজনের ভিন্নতা যাচাই করতে দৃষ্টি দিতে পারে। এখানে প্রশ্নটি যথার্ত হয়ে ওঠে এবং শিক্ষার মাধ্যমে প্রশ্ন উদ্দীপক হিসেবে মানুষের এই সহজাত সন্ধানী আচরনের সাথে সাপেক্ষীকরণে নতুন স্থায়ী আচরণে সক্রিয় হয়ে বই বা পাঠ্যপুস্তক থেকে তথ্যের সন্ধানের প্রচলিত আচরণ পরিত্যাগে কিংবা কিছু সময়ের জন্য সাপেক্ষঈকৃত আচরণের দৈহিক প্রক্রিয়াকে স্থগিত করে প্রকৃত সন্ধানের সহজাত প্রবৃত্তিক আত্মউদ্দীপনায় নিজেকে নিতে পারে।
সম্ভত – ইংরেজি ভাষার ক্ষেত্রে দ্যা টাইপস অফ এডুকেশনের যে ভাবনা সেটি তাদের ভাষারীতির দিক থেকে এডুকেশন শব্দটির নির্দিষ্ট অর্থবোধে এস ইট এন প্রসেস education as it a process হিসেবে আয়োজন নিঃশব্দে মিশ্রিত থাকে। সেখানে এডুকেশন শব্দের সাথে তাই এরেঞ্জমেন্ট শব্দ সংযোগ ছাড়াই আমাদের শিক্ষা আয়োজনকে খুঁজে পায়।
যদি পাশ্চাত্যের শিশুর স্কুলগুলোর ইতিহাস অনুসন্ধান করা হয় এবং আমাদের স্কুলগুলোর এই স্কুল হয়ে ওঠার ইতিহাস জানা যায়, সমস্যাটি স্পষ্ট হয়ে উঠবে। কিন্ত ব্যক্তি যদি অবস্থানগত কারনে এই ইতিহাস খুজে না পায় তবুও অতীত সম্পর্কিত সামান্য তথ্য, ভাষায় ব্যবহৃত কিছু শব্দ এবং মানুষের বিবর্তনের ধারাবাহিক গতিপ্রবাহ থেকে ভেসে ওঠা কান্ডজ্ঞান ব্যবহার করা হলে শিক্ষার মৌলিক সমস্যাটি উপলব্ধি হতে পারে। এই উপলব্ধি পারে ব্যক্তিকে শিক্ষাকে পরিশুদ্ধতায় স্বজাতীয় করে তুলবার তাড়না দিতে। যে তাড়না ব্যাতীত শিক্ষা আয়োজনে জড়িত মানুষেরা নির্দেশনার শৃঙ্ক্ষলা থেকে মুক্ত হতে পারেনা। যে তাড়না ব্যতিত শিক্ষা আয়োজনে নির্দেশক আর নির্দেশিত, পরিচালক আর পরিচালিতদের মধ্যবর্তী বিভাজনে সমজাতীয়বোধ কার্যকর হতে পারে না। বিশেষ করে শিশুর শিক্ষা আয়োজনে জড়িতদের বহুবিধ মানসিক মাত্রাজনিত যে পারস্পরিক অমর্যাদা, অবমাননা, হিংসা, অসহযোগীতা, প্রতিবন্ধকতা প্রভাবিত অদৃশ্য তথ্যাবলি ছুটে বেরায় তা শিশুর পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন নয় কখনো, আমাদের জানা নেই এই সব ভয়ংকর তথ্যগুলো শিশুর অন্তসজ্জায় পরিকল্পিত প্রাচিন সজ্জাকে আঘাতে আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে তুলেছি আমরা। শিশুর সামগ্রিক সম্ভাবনকে কতটা ক্ষতি করে থাকি আজকের শিশুটির মুখচ্ছবিটি যদি ৩০ বছর বয়সে পৌছুনো ব্যক্তিটির মুখচ্ছবির তুলনা করা হয়, তখন দেখতে পাই আমরা। এ জাতির উচ্চ শিক্ষিত মানুষের চেহারায় আমরা কি খুজে পাই কোন বিশেষ যোগ্যতা, যা হতে পারে উচ্চ শিক্ষার কাগুজে সনদের বিকল্প চিহ্ন।
উচ্চতর শিক্ষায় একজন প্রফেসর যেভাবে অধ্যাপক শব্দে সনাক্ত হয়ে থাকেন সেভাবেই তার কাজের নির্দিষ্টতা পেয়ে থাকেন। যে কারনে অধ্যাপক হিসেবে তিনি নিজেকে সাজাতে কতগুলো চিহ্নকে ব্যবহার করে থাকেন। যে চিহ্ন গুলো রুপ নিতে থাকে অধ্যাপক শব্দের প্রভাবে। তার নির্ধারিত দ্বায়িত্ব মনে করে সরবরাহকৃত এই তথ্যকে অনুবাদে সংরক্ষণ করে থাকেন । আবার কেউ হয়ত অধ্যাপক হতে কিংবা পি এইচডি অর্জন করে নামের সাথে ডঃ যুক্ত করার অভিপ্রায় এরকম কিছু তথ্যকে অনুবাদ করে সমন্বিত আকারে গ্রন্থ রচনা করে থাকেন। আমাদের জাতিজ্ঞানে কর্ম ক্ষেত্রে এরকম দ্বায়িত্ব কর্তব্য পালনে নিষ্ঠতা বা শৃঙ্খলা অধ্যাসায় গুরুত্বপূর্ন বিবেচনা করা হলেও প্রকৃত কাজটির সাথে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের প্রজন্মের সম্পর্ককে বিবেচনা করতে পারে না।
এখানে মানুষের কাছে বিশেষ শব্দের মর্যাদা পেয়েছে মেধা বা বুদ্ধিমত্তা।
এ অঞ্চলের শিক্ষা আয়োজনের দিকে তাকালে আমরা কি দেখব। দুধরনের শিক্ষা এখানে আয়োজন করা হয়েছে -
বহিজাতি প্রবর্তিত শিক্ষা আয়োজন
এবং স্বজাতিয় শিক্ষা আয়োজন
উচ্চতর শিক্ষার মাধ্যমে এখনো শিক্ষা বিষয়ক গ্রন্থ খুব বেশী তৈরী করা হয়নি।
সুনিশ্চিতভাবেই শ্রেণীকরনের কাজটি যে ব্যক্তি করে থাকেন তার মানসিকতায় এইসব অধ্যাবসায়ী শৃংখলাপূর্ণ কর্তব্য নিষ্ঠার চাইতে করনীয় কর্মের দ্বারা বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ আগতরা কিভাবে লাভবান হতে পারে, কিভাবে কাজে লাগাতে পারে সেটাই প্রাধান্য পেয়ে থাকে।
যে কারণে সে এ অঞ্চলের শিক্ষাকে যে তাদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়ে চলেছে সেই নিয়ন্ত্রণটি কিভাবে আর সুসমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের আগত প্রজন্ম যেন কার্যকর করতে পারে সেই স্বার্থকে কেন্দ্র করেই দৃষ্টি নিক্ষেপ হয়ে থাকে এবং প্রাপ্ত তথ্যকে সেই লক্ষ্যে কার্যকর বা ব্যবহারিক করে তোলার জন্য উপস্থাপন করে থাকে। সমজাতির যে ব্যক্তি এ অঞ্চলের শিক্ষাকে নিয়ে কাজ করে চলেছে বা কাজ করবে কিংবা যায়েরা কাজ করে চলে গেছে সবার জন্যই এই তিন প্রকার শিক্ষা এক ধাপ উন্নত চিন্তন প্রক্রিয়াকে চলমান হতে সাহায্য করবে। এই শ্রেণীকরণ ছাড়াই যদি কাউকে এ অঞ্চলের শিক্ষা পর্যবেক্ষনে প্রেরণ করা হয়ে থাকে তাহলে তার পক্ষে শ্রেণীকরণের ধারনা ব্যবহার ব্যতীত সুরু থেকেই এই পর্যবেক্ষন দিকভ্রান্ত এবং অগোছালো হএ উঠবে। সুরু থেকেই তাপর্যময় কাছে এই প্রকরণটি সরবরাহ করা হয়েছিল। অধ্যাপক আপাতত অনুবাদরুপে এই তথ্যকে বোধগম্য করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখেছে।
তথ্যটি যে ব্যক্তির চিন্তনে জাগ্রত হয়েছিল শুধুমাত্র তার জাতিজ্ঞানের জন্য শুদ্ধ চিন্তায় বুয়বহারিক হতে পারে। কিন্তু আমাদের কাছে এই তিন প্রকারের আদৌ কি কোন প্রয়োজন পড়ে?
তিন প্রকার শিক্ষাকে রূপায়িত করার পেছনে যৌক্তিক কারণ এবং উদ্দ্যেশ্য থাকে।
ব্যক্তি দেখে যে, এ অঞ্চলে অতীত পূর্ব পুরুষেরা শিক্ষার যে ফর্মটি তৈরী করে গিয়েছিল ঠিক সেই ফর্ম অনুসরনে এখানে শিক্ষা চলমান আছে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে। এখানে তাই ফর্মাল এডুকেশনকে শ্রেণীকরণের মাধ্যমে পৃথক করে নিশ্চয়তা আরোপ করা হয় যে এ অংশটি এখনো তাদের পূর্বপুরুষের ফর্ম অনুসারে চলছে এবং প্রয়োজন দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণ আরোপে নতুন উদ্দ্যেশ্যে পরিচালনা করার উপযোগী ফরমটি আছে। অতএব এ অংশটুকুর জন্য বিপদের আশংকা নেই। বিকস অফ উইদিন দ্যাট ফর্ম অফ এডুকেশন স্টিল নাও ফুলফিল দেয়ার প্রিসেটেড অবজেক্টিভস এন্ড দ্যা ফর্ম ক্যান বি কন্ট্রোল বাই ডেম ইফ দ্যা ডেইস রিকোয়েয়ার এনি ডিমান্ড। In Bangladesh education seems to going on three ways. Within the control of State system , greater part of the education is formal. That is using the same form that our previous people formed there when they went and staying for a long time. This formal education is fullfilling all the putrpose that we set in their curriculum . Still now it in is our controll wheather we need to program the people of Bangladesh using this formal education .
এখানে লক্ষ্য করা প্রয়োজন শিক্ষা শব্দটি যে বিমূর্ত সম্ভাবনাকে ধারণ করে থাকে সেখানে এর প্রকরণ ভাবনা অসম্ভব। কিন্তু এডুকেশন যা প্রকাশ করে সেটা একই সাথে একটি প্রক্রিয়া বা সিস্টেমকে মিশ্রিত রাখে। এডুকেশন শব্দ থেকেই তাই এডুকেটিং শব্দটি ক্রিয়া রূপে ব্যবহার করা যেতে পারে। সো ইট ঈশ এ ম্যাটার অফ টাইম টু রিভিউ দ্যা প্রিভিয়াস সেন্স অফ – ডু উই স্টার্ট এডুকেটিং দ্যা এলিয়েন হউ আর রিসেন্টিলই আইডেবন্টিফাইড ইন এ রিমোট স্টার ইন প্রক্সিমা সেন্টরাই। এডুকেটিং আদার নেশন্স ইফ উই
বরং এই প্রশ্নটির মীমাংসা করা হলে আমরা দারুন কিছু পেতে পারি।
স্বয়ং শিক্ষাকে নিয়ে বা শিক্ষা বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার আয়োজন করা হয়েছে এখানে। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষাকে বিষয় হিসেবে যারা পেয়েছে তাদের জন্য এই প্রশ্নটির আবির্ভাব। শিক্ষা বিষয়ে উচ্চ বা উচ্চতর ডিগ্রী নেবার প্রয়োজনে একজন ব্যাক্তি এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারে কিন্তু কোনভাবেই তা প্রশ্ন বা প্রকৃত প্রশ্ন হিসেবে নয়। কেননা প্রকৃত প্রশ্ন হিসেবে উত্থাপিত হলে শিক্ষার্থী যদি তার স্বত্তাকে ব্যাবহার করে বাস্তব প্রত্যক্ষণীয় সন্ধানে উত্তর দিতে চায় তাহলে সে তার লক্ষ্য বিচ্যুত হতে পারে এবং ডিগ্রীটি হারাতে পারে। সামগ্রীক শিক্ষা সাজানো হয়েছে প্রশ্নহীনতায়। আমরা ধারাবাহিকতায় এই শিক্ষায় প্রশ্নহীনতার চর্চা করে চলেছি।
এখানে প্রতিটি প্রশ্নের সাথে উত্তর সংযুক্ত করে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এই চর্চাটির সময়কাল এত বেশী যে উত্তরবিহীন কোন প্রশ্ন হতে পারে সেরকম চিন্তা করার সম্ভাবনাটি শেষ হতে চলেছে।
শিক্ষার প্রকারভেদে সরবরাহকৃত তিনটি প্রকার যাদের বা যে জাতির মানুষেরা উদঘাটন করেছে সেই প্রকারগুলো তাদের উদ্দ্যেশ্য পূরণের লক্ষ্যেই করা হয়ে থাকবে।
সাধারণত প্রশ্ন একটি সমস্যাকে উপস্থাপন করে। অর্থাৎ সমস্যাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন বা প্রশ্ন মালা জেগে ওঠে। প্রশ্নের উত্তর একটি সমস্যার সমাধান দিতে পারে। প্রকৃত পক্ষে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের মনে প্রশ্ন জেগে ওঠে।
আবার শিক্ষায় সাধারণত যে তথ্যকে মানুষের জানা প্রয়োজন মনে করা হয়ে থাকে সেই সব তথ্য পরিকল্পিতভাবে সংরক্ষণ করে পরবর্তী প্রজন্মে বাহিত করা হয়। এই তথ্যের প্রকৃত উৎস একটি জাতির নিজস্ব জ্ঞানজাত হবার কথা ছিল। কিন্তু এখানে অতীত যে সাক্ষ্য দইয়ে চলেছে সেখানে সংেওক্ষিত তথ্য যা আমরা সরবরাহ করে চলেছি তার কোনটাই এ জাতী তার ধারাবাহিক গতিতে গড়ে তোলেনি। ঘটনা চক্রে ইংরেজদের সিংরক্ষিত তথ্যের উপির ভর করে আমরা তথ্যজ্ঞ হয়ে উঠেছি। কিন্তু আমরা কি জাতীয় মানসিকতায় জ্ঞানকে হারাতে চিলেছি সমগ্র জাতি কি নির্জ্ঞান তথ্য নির্ভর ভ্রান্ত জ্ঞানে আরোহন করতে চলেছে। এই সম্ভাবনাটিকে এখানে এখনই।সিদ্ধান্তে পরিণত করার মত তথ্যকে আমরা তৈরী করতে পারিনি। কেননা শিক্ষার প্রকরণের মধ্যে এই সিদ্ধান্তটি তৈরীর প্রয়োজনীয় উপকরণ লুকিয়ে আছে।
শিক্ষার প্রকার খুজতে চাইলে আমরা কিভাবে খুজতে পারি।
যখনই শিক্ষার প্রকার প্রসংজ্ঞে ফরম্যাল, নন ফরম্যাল এবং ইনফরম্যাল এই তিনটি প্রকার নিশ্চিত রুপে উপস্থাপিত হয়ে থাকে তখনই সমগ্র জাতি শিক্ষার প্রকরণকে খুজে দেখবার বা চিন্তা করে বের করার সুযোগটি হারিয়ে ফেলে। এই সুযোগ হারানোর সাথে জাতিগত বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাটি যতটা না বাধা প্রাপ্ত হতে থাকে একই সাথে এই অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে অর্থাৎ বস্তু, বস্তু শক্তি এবং বস্তু শক্তির পারস্পরিক সংঘটনজনিত শিক্ষার সম্ভাব্য প্রকৃত প্রকরণের উদঘাটন অসম্ভব হয়ে ওঠে।
যদি শিক্ষাকে বিমূর্ত ধারণা রুপে সত্যিকার ভাবেই স্বিকৃতি প্রদান করা হয়, সেক্ষেত্রে সম্ভাব্য অসংখ্য প্রকরণের দরোজাটি যে উন্মুক্ত থাকবে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়।
এই প্রকোরণের অসীম সম্ভাবনাটি কাজে লাগানো যেতে পারে আমাদের শিক্ষায় মিশ্রিত বিভ্রান্তিকে সরিয়ে স্বজাতীয় গতিপথের সেই থেমে থাকা অংশটির সাথে পুনযুক্ত হবার।
যে উদ্দ্যেশ্য পূরণে পাশ্চাত্য ধারণা ফরম্যাল, ইন ফরম্যাল এবং নন ফরম্যাল প্রকরণের প্রয়োজন মনে করেছিল সেরকম উদ্দ্যেশ্য যে আমাদের মাঝেই জেগে উঠবে এমন ভাববার কোন সুযোগ নেই, অন্তত বিশ্বব্যাপী মানুষের মাঝে জাতিগত এবং ভাষাগত প্রকরণই এই ধারনা দিতে পারে। আবার, স্পষ্টতই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষা বিষয়ের মাধ্যমে আমাদের মেধাভিত্তিক কোন শিক্ষার্থী যে অনুবাদ করে আনুষ্ঠানিক, অনানুষ্ঠানিক এবং উপানুষ্ঠানিক শব্দকে গড়ে তুলেছিল তার বুদ্ধিমত্তাকে সন্দেহ না করেও এই অনুবাদ জনিত আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় আবেগের অনুপস্থিতির ভাবটি স্থায়ী করার দায়বদ্ধতা কি বুদ্ধিমত্তা অস্বীকার করতে পারবে।
শিক্ষা দুই প্রকার পরিচালিত শিক্ষা এবং আয়োজিত শিক্ষা
এই দুই প্রকার শিক্ষার স্বিকৃতি এবং শিক্ষা কাজে নিয়োজিতদের মধ্যে তথ্য হিসেবে বিস্তৃত করা হলে আমাদের শিক্ষা তার বিশুদ্ধতায় ফিরবার দিকে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারে।
পরিচালিত শিক্ষাঃ
প্রাণীজগতে প্রতিটি প্রাণী তার বংশধারাকে টিকিয়ে রাখবার লক্ষ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য শিশুকে বাবা মায়ের সান্নিধ্যে বড় করে তোলে। ব্যাতিক্রম মানুষের ক্ষেত্রে। গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষের দল এই বাবা মায়ের সান্নিধ্যের পর একটি পরিকল্পিত আয়োজনে শিশুদেরকে গড়ে তুলবার আয়োজন করে থাকে এবং এই আয়োজনটি গোষ্ঠীর অল্প কিছু সদস্যের উপর আরোপ করে। এভাবে শিক্ষা আয়োজনকে বলা হয় আয়োজিত শিক্ষা।
পরিচালিত শিক্ষাঃ
প্রাণিজগতে একটি প্রজাতি স্বাভাবিক নিয়মে কখনো অন্য প্রজাতির শিশুকে বড় করে তুলবার দ্বায়িত্ব নিতে পারেনা। 5382 1459
ইউরোপের কোন একটি দেশের নাগরিক তার পারিপার্শ্বের সাপেক্ষে যে দৃষ্টিভঙ্গী পেয়ে থাকে এবং তার অতীত বংশধারাটি যে সকল সংঘটনের মধ্য দিয়ে যে পরিমাণ জ্ঞান সমন্বিত করে প্রবাহিত করে থাকে শিক্ষার এই প্রকারকে খুজে পায় ঠিক একই রকম দৃষ্টিভঙ্গী পাবে এবং জাতি জ্ঞানের প্রবাহটি একই রকম হয়ে উঠবে তেমন নয়। সেক্ষেত্রে এখানেও ঠিক একই রকম ভাবে শিক্ষার তিনটি প্রকারকে খুজে পাবার পরিবর্তে ভিন্নতর কিছু পেতে পারতাম আমরা। প্রকৃতপক্ষে বস্তুর ক্ষেত্রে এবং বস্তু সমন্বিত দৃশ্যমান কাঠামোর ক্ষেত্রে যদি প্রকার খুজতে চাই সেখানে এই অভিন্ন প্রকরণ খুজে পাবার সম্ভাবনাটি যুক্তিসংগত বা কার্যকরণ ভিত্তিক গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে। যদিও সূক্ষ্ম বিচারে যে দৃষ্টিভংজ্ঞীগত পার্থক্যের উপস্থিতিকে নিশ্চিত করা যায় সূক্ষন্ম বিচারে হয়ত স্থানভেদে যে জাতিগত দৈহিক পার্থক্যকে বাহ্যিকভাবে দেখা যায় সেখানে প্রত্যক্ষণ ইন্দ্রিয়ের পার্থক্য জনিত কারণে জারিভেদে একই বস্তুর প্রত্যক্ষণে পার্থক্যের সম্ভাবনাকে অস্বীকার কিংবা একেবারে হতে পারে না বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারা যায় না। প্রজাতিভেদে ইন্দ্রিয় সক্ষমতার ভিন্নতার তথ্যকে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। এমনকি ইন্দ্রিয় সংখ্যার স্পষ্ট পার্থক্যকে স্পষ্ট দেখতে পাই। একই প্রজাতির অন্তর্গত হোমো সাপিয়েন্স এই মানুষ প্রজাতিটির মধ্যে মহাদেশীয় বা স্থানিক যে পার্থক্য তা ভাষার ভিন্নতাকে গড়ে তুলে যে জাতিগত ভাবে শ্রেণীকরণ করা যায় সেখানে এই ইন্দ্রিয় সক্ষমতার পার্থক্যকে অনুমান করা যায়।
এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষার প্রকরণ যদি সত্যিকার অর্থেই এই জাতির কেউ খুজে বের করতে চায়, সেখানে তা তিন সংখ্যার বাধ্যবাধকতায় খুজে পাবে এমন নয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে চলমান শিক্ষা আলোচনাটি আলোচনারুপে আমরা কখনো শুরু করিনি এবং আলোচনা উপলক্ষে এখানে কেউ গভীর পর্যবেক্ষণে শিক্ষার প্রকারকে খুজবার প্রয়োজন মনে করতে পারেনি। কিন্তু কেন একটি জাতি এই সামান্য অনুসন্ধানটি স্বজাতির মাঝে করতে পারেনি।
শিক্ষার প্রকরণে যে ফরমাল, নন ফরমাল এবং ইনফরম্যালকে আমরা জেনেছি আদৌ কি এ জাতি কখনো এই প্রকরণের প্রকৃত জ্ঞানে বা বোধে নিতে পেরেছে? ব্রাকেটাবদ্ধ কিংবা উচ্চ শিক্ষার গাম্ভীর্যতা সংরক্ষণে আমাদের পূর্ববর্তী শিক্ষাবিদেরা কিভাবে এদেরকে আনুষ্ঠানিক উপানুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠনিক শিক্ষায় অনুবাদ করতে পারে। এবং কতটা নিশ্চিত ন্যুনতম সন্দেহ প্রকাশের বাইরে থেকে পরবর্তী বংশধারাকে স্বজ্ঞানরুপে সরবরাহ করে থাকে এই শিক্ষার মাধ্যমে। কতটা বিপথগামী শিক্ষাকে প্রতিষ্ঠিত করে।
পাশ্চাত্যের শিক্ষা বিষয়ক একটি উপযুক্ত
শিক্ষা সংজ্ঞায় বলা হয়েছে আস ইটস টেকনিক্যাল ভিউ ইন এডুকেশন আ ন্যাশন ট্রান্সমিট
ইটস একিউমিলেটেড নলেজ জেনারেশন টু দেয়ার নেক্সট জেনারেশন।
এই সংজ্ঞাটি দারুনভাবে এখানকার প্রাচীন চতুরাশ্রম ভিত্তিক শিক্ষার সাথে মিলে যায়।
সেই হিসেবে এখানে যে শিক্ষা, সেই শিক্ষা কি একিউমিলিটেড নলেজকে পরবর্তী বংশ ধারায় পরিবাহিত করে।
এখানে সংজ্ঞাটি সরাসরি ইন এডুকেশন বলার মাধ্যমে একটি প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি রুপে বলা হয়েছে। যদিও তা পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত কোন যান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়। আবার ঠিক বিমূর্ত নয়। এই রকম শিক্ষার প্রকরণ খুজতে চাইলে নিজেদের মধ্যেই খুজে নেবার কথা ছিল। কিন্তু সেটা হতে পারেনি যে কারণে সে কারণটিকে কেন্দ্র করে শিক্ষাকে আমরা দুটো ভাগে ভাগ করতে পারি। আর শুধুমাত্র শিক্ষার এই দুইটি ধরণকে খুজে না পাওয়ার কারণে একটি জাতি তার শিক্ষাকেখুজে পায় না। শিক্ষার বিপথগামী আত্মমজাত ধ্বংসী চরিত্রটি দেখতে পায় না। শিক্ষায় বংশধারাকে ধারাবাহিক ভাবে নির্জ্ঞান নির্বোধ করণের লুকোনো কর্ম কান্ডকে খুজে পায় না।
প্রকৃত অনুসন্ধানে শিক্ষার প্রকরণঃ
১. স্বজাতি আয়োজিত শিক্ষাঃ উদ্ভূত শিক্ষা (arranged within the nation Education)
এই সংজ্ঞাটি দারুনভাবে এখানকার প্রাচীন চতুরাশ্রম ভিত্তিক শিক্ষার সাথে মিলে যায়।
সেই হিসেবে এখানে যে শিক্ষা, সেই শিক্ষা কি একিউমিলিটেড নলেজকে পরবর্তী বংশ ধারায় পরিবাহিত করে।
এখানে সংজ্ঞাটি সরাসরি ইন এডুকেশন বলার মাধ্যমে একটি প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি রুপে বলা হয়েছে। যদিও তা পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত কোন যান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়। আবার ঠিক বিমূর্ত নয়। এই রকম শিক্ষার প্রকরণ খুজতে চাইলে নিজেদের মধ্যেই খুজে নেবার কথা ছিল। কিন্তু সেটা হতে পারেনি যে কারণে সে কারণটিকে কেন্দ্র করে শিক্ষাকে আমরা দুটো ভাগে ভাগ করতে পারি। আর শুধুমাত্র শিক্ষার এই দুইটি ধরণকে খুজে না পাওয়ার কারণে একটি জাতি তার শিক্ষাকেখুজে পায় না। শিক্ষার বিপথগামী আত্মমজাত ধ্বংসী চরিত্রটি দেখতে পায় না। শিক্ষায় বংশধারাকে ধারাবাহিক ভাবে নির্জ্ঞান নির্বোধ করণের লুকোনো কর্ম কান্ডকে খুজে পায় না।
প্রকৃত অনুসন্ধানে শিক্ষার প্রকরণঃ
১. স্বজাতি আয়োজিত শিক্ষাঃ উদ্ভূত শিক্ষা (arranged within the nation Education)
২. বহিজাতি পরিচালিত শিক্ষা(Directed by outer nation education)( প্রতিস্থাপিত
শিক্ষা)
প্রকৃত পক্ষে এখানে শিক্ষা আলোচনায় যদি শিক্ষার এই প্রকরণকে যতটা দ্রুত সম্ভব রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বংশধারায় পরিবাহিত করার প্রয়োজন। এই প্রকরণের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা আলোচনাটি তার নিজস্বতা ফিরে পেতে পারে।
শিক্ষার এই প্রকরণটি ব্যাখ্যা করতে পারে আমাদের জ্ঞান এবং তথ্যের মধ্যস্থিত পার্থক্যটিকে।
চলমান বৈশ্বিক প্রণোদনা বাক্যের তথ্যই শক্তির সম্ভাব্য পরিণতির হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে পারে।
প্রকৃত পক্ষে চলমান শিক্ষায় অসংখ্য সমস্যার যে সমাধান প্রচেষ্টা নিতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ চোখে পড়ে সেই সব প্রচেষ্টাগুলোর ব্যার্থতার পেছনে যে কারণ খুজে পাওয়া যায় না তার কারণকে ব্যাখ্যা করতে পারে।
বিকেন্দ্রীকরণের কেন্দ্রীয় উদ্যোগ এবং সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার কেন্দ্রিয় পরিচালনার বাধ্যবাধকতা।
যে কোন সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণ এর প্রয়োজনকে অস্বীকার করা যায় না।
শিক্ষা কি? প্রসঙ্গে সর্বাপেক্ষা উপযোগী উত্তরটি হতে পারে শিক্ষা একটি শব্দ মাত্র যা কোন অর্থকে প্রকাশ করে না, সময়ের সাথে মানব আরোপিত অর্থকে গ্রহণ করে মানব সভ্যতার গতিপথটিকে চলমান রাখে। লক্ষ্যণীয় ভাষার মধ্যে এ ধরনের শব্দ খুব বেশী হয়ে থাকে না। এ ধরনের শব্দকে ভাষা সম্পর্কিত বিশেষ জ্ঞান চর্চায় বিমূর্ত শব্দ বলা হয়ে থাকে। বিমূর্ত শব্দ বলতে নিরাকার অস্তিত্বহীন উপস্থিতি বোঝায়। যদিও অস্তিত্বহীন কিন্তু তা অস্তিত্বশীল। অস্তিত্বশীল এই অর্থে চলমান জ্ঞানের সাথে সে নিজেকে সজ্জিত করে নেয়।
অর্থাৎ চলমান শিক্ষাকে যা ভেবে পরিচালনা করা হয়ে থাকে শিক্ষা তাই হয়ে উঠতে পারে।
এই ক্ষেত্রে শিক্ষা কি প্রশ্নটির উত্তর দুইভাবে পেতে পারি।
in its technical view in education a nation transmit its accumulated knowledge to a generation to next generation.
যদি প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি রুপে দেখা হয় তাহলে শিক্ষার মাধ্যমে একটি জাতি তার পুঞ্জিভূত জ্ঞানকে প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে সরবরাহ করে থাকে।
এখানে শিক্ষা কি প্রসংজ্ঞে যে ব্যাখ্যাটি করা হয়েছে সেই ব্যাখ্যাটি আমাদের কাছে একটি সাহায্যকারী তথ্য মাত্র যা আমরা পেয়েছি ইংরেজী ভাষা ব্যাবহারকারী জাতির কোন ব্যাক্তির উপলব্ধি বা অনুসন্ধানে প্রাপ্ত জ্ঞানে প্রকাশিত তথ্য যখন সরবরাহ করা হয়েছে আমাদের কাছে। এখানে নিশ্চিতভাবেই এই তথ্যটি যে পদ্ধতি বা প্রক্রিয়াটিকে প্রত্যক্ষণে বা পর্যবেক্ষণে এই ব্যাখ্যাকে দাড় করায় সেই প্রক্রিয়াটিই যে এখানে শিক্ষা হিসেবে চলমান আছে এমন নয়।
অতএব শিক্ষাকে জানার জন্য বা বুঝতে চাইলে এখানে চলমান শিক্ষাকে একটি প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি রুপে প্রত্যক্ষণের প্রয়োজন হবে। এই সাধারণ সরল বাস্তবতাটি আমাদের পূর্ববর্তী শিক্ষাবিদেরা যে কোন কারণেই হোক উপেক্ষা করেছে, কিংবা অসচেতনতায় উপেক্ষা করেছে। কিংবা প্রাকৃতিক অক্ষমতায় বোধে নিতে ব্যার্থ হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে যে সংজ্ঞাটিকে শিক্ষা হিসেবে পাশ্চাত্যের একজন ব্যাক্তি ব্যাখ্যা করেছে সেই সংজ্ঞাটিকে আমরা আমাদের শিক্ষা ধারণা গড়ে তুলতে কিংবা আমাদের শিক্ষা ধারণার উন্নতিকরণে ব্যাবহার উপযোগী তথ্য হিসেবে মর্যাদা দিতে পারি। সেটাই আমাদের শিক্ষা এমনটা ভেবে বসার খেসারত এ জাতীকে দিতে হচ্ছে।
স্বজাতি আয়োজিত শিক্ষাঃ প্রাণীজগতের স্বাভাবিক শিক্ষা প্রক্রিয়া। যা একক পরিবারে শুরু হয়ে থাকে। শিশু তার বাবা মায়ের সান্নিধ্যে বড় হতে থাকে। মানুষের ক্ষেত্রে বাবা মায়ের সান্নিধ্যে শিশু বাবা মায়ের ভাষাকে শিখে থাকে। বাবা মা অসচেতনতায় এবং সচেতন পরিকল্পনায় তাদের এ পর্যন্ত অর্জিত জ্ঞান দক্ষতা এবং দৃষ্টিভংজ্ঞী এবং উপলব্ধীকে শিশুর মধ্যে পরিবাহিত করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে আধুনিক পরিবারে শিশুর বাবা মা পরিকল্পিত ভাবে শিশুকে বিকশিত করার সামর্থ্য রাখেন। পাশ্চাত্যে শিশুর পরিবারের মধ্যে থেকেই এই বিকাশের ধারণাকে কেন্দ্র করে প্যারেন্টিং নামক একটি ট্র্যাডিশন বা কালচার গড়ে উঠেছে। এই প্যারেন্টিং বর্তমানে সুপরিকল্পিত এবং সুগঠিত। বাবা মাকে শিশু বিকাশের আধুনিক তথ্য সরবরাহে মনোবিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান সহায়তা করে থাকে। যদিও একটি একক পরিবারের ক্ষেত্রে বিকাশের এই সব সুগঠিত তথ্য পরিবারের বাইরে থেকে প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করে থাকে, কিন্তু প্রতিটি তথ্য অনুসরনে বাবা মা বাধ্য থাকেন না।
প্রকৃতপক্ষে বাংলা ভাষায় এমন কিছু শব্দের সন্ধান আমরা পেয়েছি যা থেকে ধারণা করা যেতে পারে পরিবারের ভেতরে শিশুর এই বিকাশকে কেন্দ্র করে বাবা মায়ের ভূমিকাটি এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অতি প্রাচীন কাল থেকেই চর্চা করা হয়েছিল। আমরা এখনো শিশুর লালন পালন শব্দটি ব্যাবহার করে থাকি। স্পষ্টতই ভাষার রুপ বিশ্লেষণে নিশ্চিত হতে পারি এই লালন শব্দটিকে বিশেষ উদ্দ্যেশ্যের জন্য ব্যাবহার করা হয়েছিল। এটা এমন নয় যে শুধুমাত্র পালনের সাথে উচ্চারণ দ্যোতনায় এসেছিল। যেমন মিষ্টি টিষ্টি, চা টা ইত্যাদির ক্ষেত্রে টিষ্টি বা টা এর প্রকৃতপক্ষে কোন অর্থ নেই। কিন্তু নিশ্চিত ভাবেই এই লালন একক ভাবেই অর্থ প্রকাশক। যেখানে শুধুমাত্র শিশুকে পালনের মাধ্যমেই বড় করে তোলা যায়, সেখানে লালনের প্রয়োজন কিংবা এই শব্দটি বিশেষ তাৎপর্য নিয়েই ব্যাবহার হয়ে ভাষায় স্থান করে নিয়েছিল। যদিও বিমূর্ত শব্দের বৈশিষ্ট্য হিসেবে অব্যাবহৃত দশায় এখন আর স্পষ্ট অর্থ প্রকাশক হয়ে উঠতে পারে না এই লালন। কিন্তু নিশ্চিতভাবেই আমরা শিশু পালনের এই পালনকে পশুর ক্ষেত্রে নিয়ে পশু পালন করতে পারি কিন্তু শিশু লালনের এই অস্পষ্টতা স্বত্ত্বেও কেউ পশু লালনের চিন্তা করতে পারে না। আবার সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে চেতনার লালন জাতীয় উচ্চতর ভাবনা এখনো একটি শ্রেণীর কথোপকথনে দেখা যায়। যদি ধারাবাহিক গতিতে শিশু লালনের ধারণাটি চর্চা করা হত সেক্ষেত্রে সময়ের সাথে এই ধারণাটি পূর্ণতা নিয়ে উন্নত রাষ্ট্রের প্যারেন্টিং ধারণাটির চাইতে অনেক উন্নত পরিণতি দিতে পারত। কিন্তু দূর্ভাগ্য জনকভাবে এই প্যারেন্টিং এর তথ্যকে একটি শ্রেণী উচ্চতর বা স্ট্যাটাসের সিম্বল রুপে চর্চা শুরু করেছে মাত্র। যা সার্বিকতায় সমগ্র জাতীর কাছে পৌছুতে হলে অর্থনৈতিক বৈষম্যের অবসান হতে হবে হয়ত। স্বজাতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে তা স্বয়ংক্রিয় আয়োজনটি শুরু হয় পরিবারের অভ্যন্তরে যখন বাবা এবং মা এই দ্বায়িত্বটি যৌথভাবে করতে থাকেন। নিশ্চিতভাবেই যৌথ কর্মে পারস্পরিক মত বিনিময় কিংবা পারস্পরিক সমর্থনের প্রয়োজন হয়। যা প্রকৃতপক্ষে একটি কাজের পরিকল্পনা রুপে চিহ্নিত করতে পারি আমরা। স্বজাতি আয়োজিত শিক্ষার ক্ষেত্রে এই প্রাথমিক ক্ষুদ্র পরিসরের শিক্ষা প্রাণীজগতে অধিকাংশ প্রাণীর মধ্যেই সহজাত তাড়না রুপে পাওয়া যায়। এর পর পরই শিশু দ্বিতীয় স্তরের স্বজাতী আয়োজিত শিক্ষা পরিবেশটি পায়। যা যৌথ পরিবারের নিকট আত্মীয় এবং পাড়া প্রতিবেশী বয়স্কদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়াতে সম্পন্ন হয়। এখানেও একইভাবে অসচেতন স্বয়ংক্রিয়তা এবং সচেতন পরিকল্পনায় শিক্ষা আয়োজনটি সম্পন্ন হতে থাকে। এই পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রক্রিয়াটি শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক এবং সাময়িক হয়ে থাকে। মানুষের গোষ্ঠিগত জীবনের পরিধি বৃদ্ধি পেতে থাকলে শিক্ষার এই প্রাথমিক দশাটি একটি গ্রাম বা কয়েকটি গ্রামের শিশুকে যখন ব্যাপ্ত হয় তখনই প্রয়োজন হয় সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। বিশ্বব্যাপী শিক্ষার ইতিহাসে স্বজাতী আয়োজিত শিক্ষার প্রথম দিকের পরিকল্পনা গোষ্ঠী প্রধান বা গোত্র প্রধানের মাধ্যমে তৈরী হয়েছিল। এই গঠনগত শিক্ষার পরিকল্পনাটি স্থান ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়েছিল। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে গোষ্ঠী পরিচালনায় সে পর্যন্ত গঠিত নিয়ম, আচার আচরণ, ব্যাবহার, বিশ্বাস.সামাজিকতা, নৈতিকতা, প্রাধান্য পেয়েছিল তার সাথে বেচে থাকার উপলক্ষ হিসেবে প্রাচিন কর্ম হিসেবে শিকার যুদ্ধ কৃষি প্রাধান্য পেতে থাকে। এভাবেই শিক্ষা কিছুটা অসংগঠিত, বাহ্যিকভাবে অপরিকল্পিত, অন্তর্গতভাবে সুপরিকল্পিত রুপে স্বজাতির সমজাতির মধ্যে শুরু হয়েছিল। বিশ্বে স্বাভাবিক দশায় প্রতিটি জাতির জন্য, প্রতিটি ভাষা ব্যাবহার কারীর জন্য শিক্ষার প্রারম্ভিক ইতিহাসটি এভাবে গঠিত হয়েছিল। আর অধিকাংশ জাতির ক্ষেত্রেই সেই ধারাবাহিকতাটি বিকশিত হয়েছিল। বৈশ্বিক উন্নতি এবং যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতিতে জাতি ভিত্তিক এই ক্রমপুঞ্জিভূত জ্ঞান চর্চার পরিণত রুপে আজকে একটি সমন্বিত বৈশ্বিক জ্ঞানে পৌছুবার সুযোগ হতে পারত। যা হতে পারত মানব জাতির জ্ঞান।
কিন্তু আজকের বিশ্ব প্রেক্ষাপটে উন্নত স্বীকৃত রাষ্ট্রগুলোর অপরিণত মানসিকতার যে অতীত ইতিহাস সংঘটিত হয়েছিল সেই সংঘটনজনিত প্রতিক্রিয়ার যে তথ্য সংরক্ষিত হয়ে আছে তার বিশ্লেষণে খুজে পাওয়া যায় কেন এই বিশ্বে সর্বোন্নত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য নিয়েও মানুষ প্রাণীজগতের একটি একক প্রজাতি রুপে একটি জ্ঞানকে পেতে পারেনি। কেন এই আধুনিক তথ্য পরিবহনের বিস্ময়কর সুবিধা স্বত্ত্বেও একটি একক জ্ঞানে পৌছুতে পারা যায় নি।
বহিজাতি পরিচালিত শিক্ষাঃ
শিক্ষার এই প্রকারভেদ সার্বিক নয়। ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ভাষাভিত্তিক জাতির গঠনের অতীত ঘটনা যেমন এক নয় ঠিক সেরকম শিক্ষা ধারনা বা শিক্ষা আয়োজনের পেছনে ভিন্নতা খুঁজে পাওয়া যাবে। আর এই ভিন্নতা স্থানভেদে শিক্ষার প্রকরণে ভিন্নতা স্থান কাল ভেদে তথ্যের যে ভিন্নতা তার একটি বোধোদায়ক উদাহরণ হতে পারে শিক্ষার এই ধরণটি।
উপমহাদেশে বণিকবেশী ইংরেজদের আগমনে তৎকালীন ভারত ভূখন্ড এর উপর বর্তমান যে তিনটি রাষ্ট্র তার প্রতিটি এই বহিজাতি পরিচালিত শিক্ষার ভেতর দিয়ে বর্তমান শিক্ষাকে পেয়েছে। ১৮০০ শতকে ইংরেজদের পরিকল্পনায় যে শিক্ষাকে এখানে পরিচালিত করা হয়েছে প্রকৃত পক্ষে বর্তমানে তা শিক্ষা রুপে চিহ্নিত হয়ে আছে ইংরেজদের আধিপত্যবাদী শক্তি দ্বারা এই প্রক্রিয়াটিকে শিক্ষা বলতে বাধ্য করা হয়েছে এবং সেই বাধ্যবাধকতাটি দুইশ বছর চর্চার ভেতর দিয়ে সাধারণী করণ করা হয়েছে। যে কারণে এই শিক্ষা না হওয়া প্রক্রিয়াটিকে আমরা শিক্ষা বলার ভ্রান্তিটিকে আর ধরতে পারি না।
এ পর্যন্ত অনুসন্ধান দেখায় যে, বাংলা ভাষার একান্ত নিজস্ব গল্প বোকা কুমির এবং শেয়াল পন্ডিতের পাঠশালা।
গল্পটি শিক্ষাকে নিয়ে তৈরী করা।)
৪। শিক্ষার ধারনাহীন হয়ে ওঠার সম্ভাবনাঃ
বিমূর্ত ধারনাগুলো যে সামগ্রিকতায় গড়ে ওঠে তা বিস্তৃত হয় অতীতে। এই অতীত মানুষের গননার কাল দ্বারা চিহ্নিত নয়। যে অতীত নিয়ে অনুমান ছাড়া বিকল্প নেই। বিমূর্ত ধারনা নিয়ে আলোচনায় অনুমান প্রাধান্য পায়। এই অনুমান আধুনিক বিজ্ঞান বিশ্লেষনে বা বিশ্বের দৃশ্যমান জগতের ব্যাখ্যায় ব্যাবহৃত প্রস্তাবিত তত্ত্বের মত অনুমান নয় যে তার ভবিষ্যৎ যাচাই করে সিদ্ধান্ত কিংবা পরিত্যাগযোগ্য হতে হবে। বিমূর্তের অনুমান কোন তত্ত্ব নয়। বিমূর্তের অনুমান কখনো সিদ্ধান্তে পরিণত হবার ইচ্ছে থেকে করা হয় না। আলোচনার গভীরতা দিতে প্রয়োজন পড়ে অনুমানের। জ্ঞানের সামগ্রীকতাটি শুধুমাত্র বস্তুগত প্রত্যক্ষনীয়তাকে আশ্রয় করে গড়ে ওঠেনি। কিংবা আধুনিক সায়েন্সের প্রত্যক্ষনীয়তার সীমাবদ্ধতায় বস্তুযুক্ত যন্ত্র বিবর্ধিত প্রত্যক্ষনের তথ্য বিশ্লেষনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোকে সায়েন্সের উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকলেও সে ই সব সিদ্ধান্তের গ্রহন কিংবা বর্জন জ্ঞানের সামগ্রিকতাকা ন্যুনতম প্রভাবিত করে না। জ্ঞান তাই প্রতিটি জাতির নিজস্ব। জাতি জ্ঞান অনন্য এবং অতুলনীয়। জ্ঞান যেমন ব্যাক্তিক হয়ে থাকে, ব্যাক্ত সমন্বিত জাতির ক্ষেত্রেও জ্ঞানকে জাতিক পাওয়া যায়।
প্রতিটি জাতির রয়েছে নিজস্ব ভাষা। আর ভাষায় রক্ষিত হয়ে চলেছে জাতির জ্ঞান। জাতির জ্ঞান পরিবাহিত হয় বংশ ধারায়। জ্ঞান যা রক্ষিত থাকে ভাষার কাছে। সেই ভাষা রক্ষিত হয় বংশ ধারায়। ভাষা আন্দোলন কি শুধুমাত্র ভাষার আন্দোলন ছিল। ভাষার আন্দোলন ছিল এ জাতির জ্ঞান রক্ষার আন্দোলন। একটি ভাষার বিলুপ্তি একটি জাতির বিলুপ্তি। একটি জাতির বিলুপ্তি একটি জ্ঞানের বিলুপ্তি। যে জ্ঞান অতীত অঞ্চলে জাতির পারিপার্শ্বের সংঘটনে জ্ঞাত হয়েছিল। ভাষা বিলুপ্ত করার অর্থ একটি জাতির জ্ঞানকে বিলুপ্ত করা। জাতি যদি তার জ্ঞানকে হারায় সে জাতি হারায় তার জাতিস্বত্তা। আরবের প্রাচীন জ্ঞান তাই বলে আমি প্রতিটি জাতির জন্য প্রেরন করেছি প্রতিনিধি তার নিজ নিজ ভাষায়।
গ্লোবালাইজেশন এর যে ধারনা প্রস্তাব করা হয়েছে সেখানে রাষ্ট্রকে একটি একক গ্রাম রুপে বিশ্বের সব গ্রাম মিলিত হয়ে একক রাষ্ট্র কল্পনায়।
দুটো ভিন্ন অঞ্চলে গড়ে ওঠা ভিন্ন ভাষায় কথা বলা মানুষদেরকে দুটো ভিন্ন জাতি হিসেবে চিহ্নিত করার প্রাচিন জ্ঞানের যথার্ততাটি বুঝতে হবে।
মানুষ কিভাবে মানুষ হয়ে এই বিশ্বে অবস্থান করছে এই সম্পর্কিত যত তথ্য পাওয়া যায়, তার কোনটি প্রকৃত তথ্য নয়। অর্থাৎ বর্তমান সংঘটনে জাত তথ্য মানুষ এর বর্তমানের অস্তিত্বশীল হয়ে উঠবার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারে না। বর্তমানে প্রজনন ব্যাতীত যেহেতু কোন মানুষ আসতে পারে না সে কারনে মানুষেরা এখানে এভাবে এসেছে এরকম কোন তথ্য তৈরী হতে পারে না।
মানুষেরা কিভাবে আসে এর প্রকৃত তথ্য মানুষেরা মানুষ থেকে জন্ম নেয়। এই তথ্যটি নিজেকে নিয়ে নয় অন্য শিশুদের আসবার তথ্যের সমন্বিত করনে সিদ্ধান্ত হয়। মানুষদেরকে মানুষেরা জন্ম দেয়। জন্ম নেওয়া মানুষেরা উৎস মানুষ থেকে ভিন্ন হয়। উৎস হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন দুটো মানুষ অংশ নেয়।
এই ভিন্নতা এতটা নিয়মিত যে আমরা বিস্মিত হবার সুযোগ পাই না। মানুষ দু রকমের হয়। পুরুষ মানুষ এবং নারী মানুষ নর এবং নারী। ভাষায় মানুষের ভিন্নতা স্পষ্ট। এই ভিন্নতার চিহ্ন ভাষার চিহ্নকে পৃথক করেছে। পৃথকীকরনে ব্যাবহৃত শব্দ কি শুধুই শব্দ। কখন বলা হয়েছিল বানর। ডারুইনকে চিনবার আগে কি এ অঞ্চলের নরদের জ্ঞান ভাষায় বানর কে চিহ্নিত করেছিল। কেন প্রয়োজন পড়েছিল নর নিজের মর্যাদা প্রকাশক শব্দটি সন্দেহ সূচক অথবা এর মত বা এর সাথে যুক্ত করে বানর কে দেবার। সুনিশ্চিত কোন ব্যাখ্যাকে নিয়েই প্রয়োজন হয়েছিল।
অন্তত বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে লিখিত তথ্যের উৎস অন্য অনেক জানা জাতির তুলনায় জ্ঞানকে আরো বেশী সুসংবদ্ধ করেছিল।
দীর্ঘকাল ভাষাকে ব্যাবহার করে চলেছি উপলব্ধির বাইরে। টিকে থাকবার জন্য মানুষদের এখন আর মৌল জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। এখানে যদিও শিক্ষায় তথ্য হিসেবে সংযুক্ত হয়েছে নিজেকে জান বা know thyself হয়ে। সরবরাহকৃত এই তথ্য অন্তত দাদাদের নয়। Know thyself অক্ষর মালা কিংবা শব্দমালার অর্থ অনুধাবনে প্রথম প্রজন্ম সময় ব্যয় করেছে। জ্ঞানকে ধরতে নয় প্রয়োজন পড়েছিল অর্থকে ধরতে। অর্থ ধরা দিতেই সাফল্য এসেছিল সেই প্রজন্মে। ভিন্ন ভাষাগতরা সুযোগ পেয়েছিল আমাদের জ্ঞানের প্রভা ভোগ করতে কিন্ত আমাদের কি সুযোগ হয়েছিল তাদের জ্ঞানকে ছুতে।
প্রকৃত পক্ষে এখানে শিক্ষা আলোচনায় যদি শিক্ষার এই প্রকরণকে যতটা দ্রুত সম্ভব রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বংশধারায় পরিবাহিত করার প্রয়োজন। এই প্রকরণের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা আলোচনাটি তার নিজস্বতা ফিরে পেতে পারে।
শিক্ষার এই প্রকরণটি ব্যাখ্যা করতে পারে আমাদের জ্ঞান এবং তথ্যের মধ্যস্থিত পার্থক্যটিকে।
চলমান বৈশ্বিক প্রণোদনা বাক্যের তথ্যই শক্তির সম্ভাব্য পরিণতির হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে পারে।
প্রকৃত পক্ষে চলমান শিক্ষায় অসংখ্য সমস্যার যে সমাধান প্রচেষ্টা নিতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ চোখে পড়ে সেই সব প্রচেষ্টাগুলোর ব্যার্থতার পেছনে যে কারণ খুজে পাওয়া যায় না তার কারণকে ব্যাখ্যা করতে পারে।
বিকেন্দ্রীকরণের কেন্দ্রীয় উদ্যোগ এবং সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার কেন্দ্রিয় পরিচালনার বাধ্যবাধকতা।
যে কোন সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণ এর প্রয়োজনকে অস্বীকার করা যায় না।
শিক্ষা কি? প্রসঙ্গে সর্বাপেক্ষা উপযোগী উত্তরটি হতে পারে শিক্ষা একটি শব্দ মাত্র যা কোন অর্থকে প্রকাশ করে না, সময়ের সাথে মানব আরোপিত অর্থকে গ্রহণ করে মানব সভ্যতার গতিপথটিকে চলমান রাখে। লক্ষ্যণীয় ভাষার মধ্যে এ ধরনের শব্দ খুব বেশী হয়ে থাকে না। এ ধরনের শব্দকে ভাষা সম্পর্কিত বিশেষ জ্ঞান চর্চায় বিমূর্ত শব্দ বলা হয়ে থাকে। বিমূর্ত শব্দ বলতে নিরাকার অস্তিত্বহীন উপস্থিতি বোঝায়। যদিও অস্তিত্বহীন কিন্তু তা অস্তিত্বশীল। অস্তিত্বশীল এই অর্থে চলমান জ্ঞানের সাথে সে নিজেকে সজ্জিত করে নেয়।
অর্থাৎ চলমান শিক্ষাকে যা ভেবে পরিচালনা করা হয়ে থাকে শিক্ষা তাই হয়ে উঠতে পারে।
এই ক্ষেত্রে শিক্ষা কি প্রশ্নটির উত্তর দুইভাবে পেতে পারি।
in its technical view in education a nation transmit its accumulated knowledge to a generation to next generation.
যদি প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি রুপে দেখা হয় তাহলে শিক্ষার মাধ্যমে একটি জাতি তার পুঞ্জিভূত জ্ঞানকে প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে সরবরাহ করে থাকে।
এখানে শিক্ষা কি প্রসংজ্ঞে যে ব্যাখ্যাটি করা হয়েছে সেই ব্যাখ্যাটি আমাদের কাছে একটি সাহায্যকারী তথ্য মাত্র যা আমরা পেয়েছি ইংরেজী ভাষা ব্যাবহারকারী জাতির কোন ব্যাক্তির উপলব্ধি বা অনুসন্ধানে প্রাপ্ত জ্ঞানে প্রকাশিত তথ্য যখন সরবরাহ করা হয়েছে আমাদের কাছে। এখানে নিশ্চিতভাবেই এই তথ্যটি যে পদ্ধতি বা প্রক্রিয়াটিকে প্রত্যক্ষণে বা পর্যবেক্ষণে এই ব্যাখ্যাকে দাড় করায় সেই প্রক্রিয়াটিই যে এখানে শিক্ষা হিসেবে চলমান আছে এমন নয়।
অতএব শিক্ষাকে জানার জন্য বা বুঝতে চাইলে এখানে চলমান শিক্ষাকে একটি প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি রুপে প্রত্যক্ষণের প্রয়োজন হবে। এই সাধারণ সরল বাস্তবতাটি আমাদের পূর্ববর্তী শিক্ষাবিদেরা যে কোন কারণেই হোক উপেক্ষা করেছে, কিংবা অসচেতনতায় উপেক্ষা করেছে। কিংবা প্রাকৃতিক অক্ষমতায় বোধে নিতে ব্যার্থ হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে যে সংজ্ঞাটিকে শিক্ষা হিসেবে পাশ্চাত্যের একজন ব্যাক্তি ব্যাখ্যা করেছে সেই সংজ্ঞাটিকে আমরা আমাদের শিক্ষা ধারণা গড়ে তুলতে কিংবা আমাদের শিক্ষা ধারণার উন্নতিকরণে ব্যাবহার উপযোগী তথ্য হিসেবে মর্যাদা দিতে পারি। সেটাই আমাদের শিক্ষা এমনটা ভেবে বসার খেসারত এ জাতীকে দিতে হচ্ছে।
স্বজাতি আয়োজিত শিক্ষাঃ প্রাণীজগতের স্বাভাবিক শিক্ষা প্রক্রিয়া। যা একক পরিবারে শুরু হয়ে থাকে। শিশু তার বাবা মায়ের সান্নিধ্যে বড় হতে থাকে। মানুষের ক্ষেত্রে বাবা মায়ের সান্নিধ্যে শিশু বাবা মায়ের ভাষাকে শিখে থাকে। বাবা মা অসচেতনতায় এবং সচেতন পরিকল্পনায় তাদের এ পর্যন্ত অর্জিত জ্ঞান দক্ষতা এবং দৃষ্টিভংজ্ঞী এবং উপলব্ধীকে শিশুর মধ্যে পরিবাহিত করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে আধুনিক পরিবারে শিশুর বাবা মা পরিকল্পিত ভাবে শিশুকে বিকশিত করার সামর্থ্য রাখেন। পাশ্চাত্যে শিশুর পরিবারের মধ্যে থেকেই এই বিকাশের ধারণাকে কেন্দ্র করে প্যারেন্টিং নামক একটি ট্র্যাডিশন বা কালচার গড়ে উঠেছে। এই প্যারেন্টিং বর্তমানে সুপরিকল্পিত এবং সুগঠিত। বাবা মাকে শিশু বিকাশের আধুনিক তথ্য সরবরাহে মনোবিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান সহায়তা করে থাকে। যদিও একটি একক পরিবারের ক্ষেত্রে বিকাশের এই সব সুগঠিত তথ্য পরিবারের বাইরে থেকে প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করে থাকে, কিন্তু প্রতিটি তথ্য অনুসরনে বাবা মা বাধ্য থাকেন না।
প্রকৃতপক্ষে বাংলা ভাষায় এমন কিছু শব্দের সন্ধান আমরা পেয়েছি যা থেকে ধারণা করা যেতে পারে পরিবারের ভেতরে শিশুর এই বিকাশকে কেন্দ্র করে বাবা মায়ের ভূমিকাটি এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অতি প্রাচীন কাল থেকেই চর্চা করা হয়েছিল। আমরা এখনো শিশুর লালন পালন শব্দটি ব্যাবহার করে থাকি। স্পষ্টতই ভাষার রুপ বিশ্লেষণে নিশ্চিত হতে পারি এই লালন শব্দটিকে বিশেষ উদ্দ্যেশ্যের জন্য ব্যাবহার করা হয়েছিল। এটা এমন নয় যে শুধুমাত্র পালনের সাথে উচ্চারণ দ্যোতনায় এসেছিল। যেমন মিষ্টি টিষ্টি, চা টা ইত্যাদির ক্ষেত্রে টিষ্টি বা টা এর প্রকৃতপক্ষে কোন অর্থ নেই। কিন্তু নিশ্চিত ভাবেই এই লালন একক ভাবেই অর্থ প্রকাশক। যেখানে শুধুমাত্র শিশুকে পালনের মাধ্যমেই বড় করে তোলা যায়, সেখানে লালনের প্রয়োজন কিংবা এই শব্দটি বিশেষ তাৎপর্য নিয়েই ব্যাবহার হয়ে ভাষায় স্থান করে নিয়েছিল। যদিও বিমূর্ত শব্দের বৈশিষ্ট্য হিসেবে অব্যাবহৃত দশায় এখন আর স্পষ্ট অর্থ প্রকাশক হয়ে উঠতে পারে না এই লালন। কিন্তু নিশ্চিতভাবেই আমরা শিশু পালনের এই পালনকে পশুর ক্ষেত্রে নিয়ে পশু পালন করতে পারি কিন্তু শিশু লালনের এই অস্পষ্টতা স্বত্ত্বেও কেউ পশু লালনের চিন্তা করতে পারে না। আবার সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে চেতনার লালন জাতীয় উচ্চতর ভাবনা এখনো একটি শ্রেণীর কথোপকথনে দেখা যায়। যদি ধারাবাহিক গতিতে শিশু লালনের ধারণাটি চর্চা করা হত সেক্ষেত্রে সময়ের সাথে এই ধারণাটি পূর্ণতা নিয়ে উন্নত রাষ্ট্রের প্যারেন্টিং ধারণাটির চাইতে অনেক উন্নত পরিণতি দিতে পারত। কিন্তু দূর্ভাগ্য জনকভাবে এই প্যারেন্টিং এর তথ্যকে একটি শ্রেণী উচ্চতর বা স্ট্যাটাসের সিম্বল রুপে চর্চা শুরু করেছে মাত্র। যা সার্বিকতায় সমগ্র জাতীর কাছে পৌছুতে হলে অর্থনৈতিক বৈষম্যের অবসান হতে হবে হয়ত। স্বজাতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে তা স্বয়ংক্রিয় আয়োজনটি শুরু হয় পরিবারের অভ্যন্তরে যখন বাবা এবং মা এই দ্বায়িত্বটি যৌথভাবে করতে থাকেন। নিশ্চিতভাবেই যৌথ কর্মে পারস্পরিক মত বিনিময় কিংবা পারস্পরিক সমর্থনের প্রয়োজন হয়। যা প্রকৃতপক্ষে একটি কাজের পরিকল্পনা রুপে চিহ্নিত করতে পারি আমরা। স্বজাতি আয়োজিত শিক্ষার ক্ষেত্রে এই প্রাথমিক ক্ষুদ্র পরিসরের শিক্ষা প্রাণীজগতে অধিকাংশ প্রাণীর মধ্যেই সহজাত তাড়না রুপে পাওয়া যায়। এর পর পরই শিশু দ্বিতীয় স্তরের স্বজাতী আয়োজিত শিক্ষা পরিবেশটি পায়। যা যৌথ পরিবারের নিকট আত্মীয় এবং পাড়া প্রতিবেশী বয়স্কদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়াতে সম্পন্ন হয়। এখানেও একইভাবে অসচেতন স্বয়ংক্রিয়তা এবং সচেতন পরিকল্পনায় শিক্ষা আয়োজনটি সম্পন্ন হতে থাকে। এই পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রক্রিয়াটি শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক এবং সাময়িক হয়ে থাকে। মানুষের গোষ্ঠিগত জীবনের পরিধি বৃদ্ধি পেতে থাকলে শিক্ষার এই প্রাথমিক দশাটি একটি গ্রাম বা কয়েকটি গ্রামের শিশুকে যখন ব্যাপ্ত হয় তখনই প্রয়োজন হয় সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। বিশ্বব্যাপী শিক্ষার ইতিহাসে স্বজাতী আয়োজিত শিক্ষার প্রথম দিকের পরিকল্পনা গোষ্ঠী প্রধান বা গোত্র প্রধানের মাধ্যমে তৈরী হয়েছিল। এই গঠনগত শিক্ষার পরিকল্পনাটি স্থান ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়েছিল। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে গোষ্ঠী পরিচালনায় সে পর্যন্ত গঠিত নিয়ম, আচার আচরণ, ব্যাবহার, বিশ্বাস.সামাজিকতা, নৈতিকতা, প্রাধান্য পেয়েছিল তার সাথে বেচে থাকার উপলক্ষ হিসেবে প্রাচিন কর্ম হিসেবে শিকার যুদ্ধ কৃষি প্রাধান্য পেতে থাকে। এভাবেই শিক্ষা কিছুটা অসংগঠিত, বাহ্যিকভাবে অপরিকল্পিত, অন্তর্গতভাবে সুপরিকল্পিত রুপে স্বজাতির সমজাতির মধ্যে শুরু হয়েছিল। বিশ্বে স্বাভাবিক দশায় প্রতিটি জাতির জন্য, প্রতিটি ভাষা ব্যাবহার কারীর জন্য শিক্ষার প্রারম্ভিক ইতিহাসটি এভাবে গঠিত হয়েছিল। আর অধিকাংশ জাতির ক্ষেত্রেই সেই ধারাবাহিকতাটি বিকশিত হয়েছিল। বৈশ্বিক উন্নতি এবং যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতিতে জাতি ভিত্তিক এই ক্রমপুঞ্জিভূত জ্ঞান চর্চার পরিণত রুপে আজকে একটি সমন্বিত বৈশ্বিক জ্ঞানে পৌছুবার সুযোগ হতে পারত। যা হতে পারত মানব জাতির জ্ঞান।
কিন্তু আজকের বিশ্ব প্রেক্ষাপটে উন্নত স্বীকৃত রাষ্ট্রগুলোর অপরিণত মানসিকতার যে অতীত ইতিহাস সংঘটিত হয়েছিল সেই সংঘটনজনিত প্রতিক্রিয়ার যে তথ্য সংরক্ষিত হয়ে আছে তার বিশ্লেষণে খুজে পাওয়া যায় কেন এই বিশ্বে সর্বোন্নত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য নিয়েও মানুষ প্রাণীজগতের একটি একক প্রজাতি রুপে একটি জ্ঞানকে পেতে পারেনি। কেন এই আধুনিক তথ্য পরিবহনের বিস্ময়কর সুবিধা স্বত্ত্বেও একটি একক জ্ঞানে পৌছুতে পারা যায় নি।
বহিজাতি পরিচালিত শিক্ষাঃ
শিক্ষার এই প্রকারভেদ সার্বিক নয়। ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ভাষাভিত্তিক জাতির গঠনের অতীত ঘটনা যেমন এক নয় ঠিক সেরকম শিক্ষা ধারনা বা শিক্ষা আয়োজনের পেছনে ভিন্নতা খুঁজে পাওয়া যাবে। আর এই ভিন্নতা স্থানভেদে শিক্ষার প্রকরণে ভিন্নতা স্থান কাল ভেদে তথ্যের যে ভিন্নতা তার একটি বোধোদায়ক উদাহরণ হতে পারে শিক্ষার এই ধরণটি।
উপমহাদেশে বণিকবেশী ইংরেজদের আগমনে তৎকালীন ভারত ভূখন্ড এর উপর বর্তমান যে তিনটি রাষ্ট্র তার প্রতিটি এই বহিজাতি পরিচালিত শিক্ষার ভেতর দিয়ে বর্তমান শিক্ষাকে পেয়েছে। ১৮০০ শতকে ইংরেজদের পরিকল্পনায় যে শিক্ষাকে এখানে পরিচালিত করা হয়েছে প্রকৃত পক্ষে বর্তমানে তা শিক্ষা রুপে চিহ্নিত হয়ে আছে ইংরেজদের আধিপত্যবাদী শক্তি দ্বারা এই প্রক্রিয়াটিকে শিক্ষা বলতে বাধ্য করা হয়েছে এবং সেই বাধ্যবাধকতাটি দুইশ বছর চর্চার ভেতর দিয়ে সাধারণী করণ করা হয়েছে। যে কারণে এই শিক্ষা না হওয়া প্রক্রিয়াটিকে আমরা শিক্ষা বলার ভ্রান্তিটিকে আর ধরতে পারি না।
এ পর্যন্ত অনুসন্ধান দেখায় যে, বাংলা ভাষার একান্ত নিজস্ব গল্প বোকা কুমির এবং শেয়াল পন্ডিতের পাঠশালা।
গল্পটি শিক্ষাকে নিয়ে তৈরী করা।)
৪। শিক্ষার ধারনাহীন হয়ে ওঠার সম্ভাবনাঃ
বিমূর্ত ধারনাগুলো যে সামগ্রিকতায় গড়ে ওঠে তা বিস্তৃত হয় অতীতে। এই অতীত মানুষের গননার কাল দ্বারা চিহ্নিত নয়। যে অতীত নিয়ে অনুমান ছাড়া বিকল্প নেই। বিমূর্ত ধারনা নিয়ে আলোচনায় অনুমান প্রাধান্য পায়। এই অনুমান আধুনিক বিজ্ঞান বিশ্লেষনে বা বিশ্বের দৃশ্যমান জগতের ব্যাখ্যায় ব্যাবহৃত প্রস্তাবিত তত্ত্বের মত অনুমান নয় যে তার ভবিষ্যৎ যাচাই করে সিদ্ধান্ত কিংবা পরিত্যাগযোগ্য হতে হবে। বিমূর্তের অনুমান কোন তত্ত্ব নয়। বিমূর্তের অনুমান কখনো সিদ্ধান্তে পরিণত হবার ইচ্ছে থেকে করা হয় না। আলোচনার গভীরতা দিতে প্রয়োজন পড়ে অনুমানের। জ্ঞানের সামগ্রীকতাটি শুধুমাত্র বস্তুগত প্রত্যক্ষনীয়তাকে আশ্রয় করে গড়ে ওঠেনি। কিংবা আধুনিক সায়েন্সের প্রত্যক্ষনীয়তার সীমাবদ্ধতায় বস্তুযুক্ত যন্ত্র বিবর্ধিত প্রত্যক্ষনের তথ্য বিশ্লেষনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোকে সায়েন্সের উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকলেও সে ই সব সিদ্ধান্তের গ্রহন কিংবা বর্জন জ্ঞানের সামগ্রিকতাকা ন্যুনতম প্রভাবিত করে না। জ্ঞান তাই প্রতিটি জাতির নিজস্ব। জাতি জ্ঞান অনন্য এবং অতুলনীয়। জ্ঞান যেমন ব্যাক্তিক হয়ে থাকে, ব্যাক্ত সমন্বিত জাতির ক্ষেত্রেও জ্ঞানকে জাতিক পাওয়া যায়।
প্রতিটি জাতির রয়েছে নিজস্ব ভাষা। আর ভাষায় রক্ষিত হয়ে চলেছে জাতির জ্ঞান। জাতির জ্ঞান পরিবাহিত হয় বংশ ধারায়। জ্ঞান যা রক্ষিত থাকে ভাষার কাছে। সেই ভাষা রক্ষিত হয় বংশ ধারায়। ভাষা আন্দোলন কি শুধুমাত্র ভাষার আন্দোলন ছিল। ভাষার আন্দোলন ছিল এ জাতির জ্ঞান রক্ষার আন্দোলন। একটি ভাষার বিলুপ্তি একটি জাতির বিলুপ্তি। একটি জাতির বিলুপ্তি একটি জ্ঞানের বিলুপ্তি। যে জ্ঞান অতীত অঞ্চলে জাতির পারিপার্শ্বের সংঘটনে জ্ঞাত হয়েছিল। ভাষা বিলুপ্ত করার অর্থ একটি জাতির জ্ঞানকে বিলুপ্ত করা। জাতি যদি তার জ্ঞানকে হারায় সে জাতি হারায় তার জাতিস্বত্তা। আরবের প্রাচীন জ্ঞান তাই বলে আমি প্রতিটি জাতির জন্য প্রেরন করেছি প্রতিনিধি তার নিজ নিজ ভাষায়।
গ্লোবালাইজেশন এর যে ধারনা প্রস্তাব করা হয়েছে সেখানে রাষ্ট্রকে একটি একক গ্রাম রুপে বিশ্বের সব গ্রাম মিলিত হয়ে একক রাষ্ট্র কল্পনায়।
দুটো ভিন্ন অঞ্চলে গড়ে ওঠা ভিন্ন ভাষায় কথা বলা মানুষদেরকে দুটো ভিন্ন জাতি হিসেবে চিহ্নিত করার প্রাচিন জ্ঞানের যথার্ততাটি বুঝতে হবে।
মানুষ কিভাবে মানুষ হয়ে এই বিশ্বে অবস্থান করছে এই সম্পর্কিত যত তথ্য পাওয়া যায়, তার কোনটি প্রকৃত তথ্য নয়। অর্থাৎ বর্তমান সংঘটনে জাত তথ্য মানুষ এর বর্তমানের অস্তিত্বশীল হয়ে উঠবার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারে না। বর্তমানে প্রজনন ব্যাতীত যেহেতু কোন মানুষ আসতে পারে না সে কারনে মানুষেরা এখানে এভাবে এসেছে এরকম কোন তথ্য তৈরী হতে পারে না।
মানুষেরা কিভাবে আসে এর প্রকৃত তথ্য মানুষেরা মানুষ থেকে জন্ম নেয়। এই তথ্যটি নিজেকে নিয়ে নয় অন্য শিশুদের আসবার তথ্যের সমন্বিত করনে সিদ্ধান্ত হয়। মানুষদেরকে মানুষেরা জন্ম দেয়। জন্ম নেওয়া মানুষেরা উৎস মানুষ থেকে ভিন্ন হয়। উৎস হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন দুটো মানুষ অংশ নেয়।
এই ভিন্নতা এতটা নিয়মিত যে আমরা বিস্মিত হবার সুযোগ পাই না। মানুষ দু রকমের হয়। পুরুষ মানুষ এবং নারী মানুষ নর এবং নারী। ভাষায় মানুষের ভিন্নতা স্পষ্ট। এই ভিন্নতার চিহ্ন ভাষার চিহ্নকে পৃথক করেছে। পৃথকীকরনে ব্যাবহৃত শব্দ কি শুধুই শব্দ। কখন বলা হয়েছিল বানর। ডারুইনকে চিনবার আগে কি এ অঞ্চলের নরদের জ্ঞান ভাষায় বানর কে চিহ্নিত করেছিল। কেন প্রয়োজন পড়েছিল নর নিজের মর্যাদা প্রকাশক শব্দটি সন্দেহ সূচক অথবা এর মত বা এর সাথে যুক্ত করে বানর কে দেবার। সুনিশ্চিত কোন ব্যাখ্যাকে নিয়েই প্রয়োজন হয়েছিল।
অন্তত বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে লিখিত তথ্যের উৎস অন্য অনেক জানা জাতির তুলনায় জ্ঞানকে আরো বেশী সুসংবদ্ধ করেছিল।
দীর্ঘকাল ভাষাকে ব্যাবহার করে চলেছি উপলব্ধির বাইরে। টিকে থাকবার জন্য মানুষদের এখন আর মৌল জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। এখানে যদিও শিক্ষায় তথ্য হিসেবে সংযুক্ত হয়েছে নিজেকে জান বা know thyself হয়ে। সরবরাহকৃত এই তথ্য অন্তত দাদাদের নয়। Know thyself অক্ষর মালা কিংবা শব্দমালার অর্থ অনুধাবনে প্রথম প্রজন্ম সময় ব্যয় করেছে। জ্ঞানকে ধরতে নয় প্রয়োজন পড়েছিল অর্থকে ধরতে। অর্থ ধরা দিতেই সাফল্য এসেছিল সেই প্রজন্মে। ভিন্ন ভাষাগতরা সুযোগ পেয়েছিল আমাদের জ্ঞানের প্রভা ভোগ করতে কিন্ত আমাদের কি সুযোগ হয়েছিল তাদের জ্ঞানকে ছুতে।