ভাল ছাত্র হওয়ার উপায়
মোস্তফা
কামাল
এদেশে
যার নম্বর বেশি সেই ভাল ছাত্র। নম্বর পাওয়া একটু কষ্ট করলে খুব সহজ।
১) টিচার ব্লাকবোর্ডে যা লিখে এবং মুখে যা বলে তা হুবুহু মুখস্থ করতে হবে। এজন্য খাতা আর টেপ রেকর্ডার ইউজ করতে পারেন। অনেক কাজে দেবে।
২) অতিরিক্ত স্মার্ট হবার চেষ্টা না করা। টিচার ইজ অলওয়েজ রাইট। এই নীতি অবলম্বন করতে হবে। কিপ্টেমি করে টিচারকে বা ডিপার্টমেন্টকে তোষামোদি করতে পারেন। যদিও এসবের দরকার নেই।
৩) ব্যবহারিক ক্লাসের ক্ষেত্রে আপনাক ইন্সট্রাক্টরকে বোঝাতে হবে আমি অনেক পরিশ্রম করছেন। আর ব্যবহারিক ক্লাসে কোন থিউরিটিকাল কিছু থাকলে সেখানে ইন্সট্রাক্টরের মুখের কথা বা বোর্ডের লেখা হুবুহু লিখতে হবে।
৪) পরিচিত হবার জন্য টিচার বা ইন্সট্রাক্টরকে এমন সব কোশ্চেন করতে হবে যার উত্তর সে জানে এবং খুব ভালভাবে দিতে পারবে। আটকানোর চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৫) সর্বদা গ্রুপ স্টাডি করা উচিৎ। যারা কখনও এটা করেননি তারা বিশাল একটা জিনিষ মিস করছেন। দ্রুত শুরু করুন। এতে আপনার সময় অনেক বাঁচবে। ১০ ঘন্টার পড়া ২ ঘন্টায় হবে। এবং বাকী ৮ ঘন্টা আড্ডা মারতে পারবেন। একবার ভাবুন, সারা বছরের পড়া আপনি পরীক্ষার আগে যেখানে ১ মাসে শেষ করতেন, সেখানে গ্রুপ স্টাডি করলে কত কম সময় লাগত।
৬) একটু স্বার্থপর হতে হবে। সবাইকে সবকিছু দেবেন। তারপরও কিছু কিছু নিজের কাছে রেখে দেবেন। এগুলোই আপনার সাথে অন্যদের পার্থক্য তৈরী করবে।
৭) সবসময় সিনিয়ারদের থেকে হেল্প নিন। নতুন করে বার বার চাকা (নোট) আবিস্কার করার কোন মানে নেই।
৮) ব্যবহারিকে ফাইনাল প্রেজেন্টেশনের সময় সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিন। ভিতরের কাজকে নয়। সোজা কথায়, যেটা চোখে দেখা যায় সেটা যেন অবশ্যই দৃষ্টিনন্দন হয়।
৯) ক্লাসের তথাকথিত ভাল ছাত্র/ছাত্রীর সাথে সর্বদা ভাল সম্পর্ক রাখবেন।
১০) মুখস্থবিদ্যা বড় বিদ্যা যদি না পড়ে ধরা।
কোন কিছু যদি কোনরকম কুলকিনারা না করতে পারেন তাহলে হাফেজের মত মুখস্থ করবেন।
(এটাকে আমরা বলতাম “গোমা” (কপিরাইটেড!), এই ফোরামের কেউ কেউ এটার কথা শুনে থাকবেন।)