একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি: সমাজ বিজ্ঞান ১ম পত্র
Posted
By:
Mostafa
Kamal
Researcher
of DCPL & BDTP / Ph.D (Study)
Affiliated
Ph.D Researcher of IOUT & Academic Associate of
Shikshakendra,
Hati More, Subash Pally, Siliguri, W.B. INDIA
Chairman
of Dynamic Youth Society, Public Library & Study Center
Samsabad,
P.S.- Panchbibi, Dist. Joypurhat, N.B. BANGLADESH.
Contact
: +88-01911 450 131; E-mail: aboutdynamic@gmail.com
--------------------------------------------------------------------------------
সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো :
অধ্যাপক রুহিনা তাসমিন সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক। তিনি বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন নিয়ে একটি একাডেমিক গবেষণা পরিচালনা করছেন। এ জন্য তিনি তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও বইপুস্তক থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন। এসব গৌণ তথ্য বিশ্লেষণ করে তিনি একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন।
প্রশ্ন: ক. সমাজবিজ্ঞান নিয়ে এমিল ডুর্খেইমের সংজ্ঞাটি লেখো।
খ. সমাজবিজ্ঞানকে কেন বিজ্ঞানের মর্যাদা দেবে?
গ. অধ্যাপক তাসমিন তার গবেষণায় কোন গবেষণা-পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন?
ঘ. তিনি এই গবেষণাটির ক্ষেত্রে কী কী পর্যায় বা ধাপ অনুসরণ করবেন?
উত্তর: ক. ডুর্খেইমের মতে, সমাজবিজ্ঞান হলো অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান।
উত্তর: খ. বিজ্ঞান বলতে বিশেষ জ্ঞানকে বুঝানো হয়ে থাকে যা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যুক্তিনির্ভর পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে প্রাপ্ত সুসংহত জ্ঞান। সমাজবিজ্ঞান সামাজিক বিষয়বস্তু ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে একটি যৌক্তিক এবং বিজ্ঞানভিত্তিক পন্থা ও কলাকৌশলের সাহায্য নিয়ে থাকে। সমাজবিজ্ঞান যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে সুসংহত জ্ঞান আহরণ করে। তাই সমাজবিজ্ঞান একটি বিজ্ঞান। তবে এটা প্রাকৃতিক বিজ্ঞান নয়, সামাজিক বিজ্ঞান।
উত্তর: গ. অধ্যাপক তাসমিন তাঁর গবেষণায় ঐতিহাসিক পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন।
অতীতের বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য নিয়ে বর্তমানকে অনুসন্ধান করার পদ্ধতিই ঐতিহাসিক পদ্ধতি। অর্থাৎ অতীতের সাহায্যে বর্তমানকে জানার পদ্ধতি। এ পদ্ধতির মাধ্যমে গবেষক অতীত সমাজের বিভিন্ন ঘটনা, সামাজিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির ধারাবাহিক বিশ্লেষণ করে বর্তমান সমাজের গঠন-প্রকৃতি সম্পর্কে জ্ঞান অনুসন্ধান করেন। এ ক্ষেত্রে তিনি তথ্যের উৎস হিসেবে গৌণ (Secondary) তথ্য যেমন বিভিন্ন প্রকাশিত গ্রন্থ, পত্রপত্রিকা, গবেষণা রিপোর্ট, দলিল-দস্তাবেজ প্রভৃতির সাহায্য নেন। সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স অয়েবারসহ অনেকে সমাজ গবেষণায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন।
উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, অধ্যাপক তাসমিন তাঁর গবেষণায় তথ্যের উৎস হিসেবে গৌণ তথ্য যেমন: পত্রপত্রিকা, বইপত্র প্রভৃতি ব্যবহার করেছেন। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের সময়কার প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে তিনি এসব গৌণ তথ্য ব্যবহার করেছেন। অতীতের কোনো বিষয় নিয়ে গৌণ তথ্য সংগ্রহ করা হয় ঐতিহাসিক পদ্ধতিতে। তাই তার ব্যবহূত পদ্ধতি ঐতিহাসিক পদ্ধতি।
উত্তর: ঘ. তিনি এই গবেষণায় একটি বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তিনি যেসব পর্যায় অনুসরণ করেন, তার মধ্যে রয়েছে—
সমস্যা নির্বাচন: তিনি প্রথমে যে বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে চান, সে বিষয়ে সমস্যা নির্বাচন করেছেন। গবেষণার বিষয় হিসেবে তিনি বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনকে নির্বাচন করেছেন।
পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহ: এ পর্যায়ে তিনি গবেষণার বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং এ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে তিনি গৌণ তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ভাষা আন্দোলনের সময়কার বইপত্র, বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
তথ্যের শ্রেণি বিন্যাস: প্রাপ্ত তথ্যকে তিনি লিঙ্গ, বয়স, পেশা প্রভৃতি ভেদে শ্রেণি বিভক্ত করেছেন। এ জন্য তিনি লেখচিত্র, সারণি প্রভৃতির সাহায্যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন।
অনুকল্পনা প্রণয়ন: এ পর্যায়ে তিনি অনুকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। তার গবেষণা ফলাফল সম্পর্কে একটি আগাম ধারণা তৈরি করেছেন।
সত্যতা বা যথার্থতা যাচাই: এখানে তিনি যে কল্পনা প্রণয়ন করেছেন, তা তার প্রাপ্ত তথ্য দ্বারা সমর্থিত হচ্ছে কি না তা যাচাই করে দেখেছেন।
ভবিষ্যদ্বাণী: সর্বশেষ পর্যায়ে এসে তিনি প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন ও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।