ষষ্ঠ শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়






ষষ্ঠ শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

সৃজনশীল প্রশ্ন
Posted By:
Mostafa Kamal
Researcher of DCPL & BDTP / Ph.D (Study)
Affiliated Ph.D Researcher of IOUT & Academic Associate of
Shikshakendra, Hati More, Subash Pally, Siliguri, W.B. INDIA
Chairman of Dynamic Youth Society, Public Library & Study Center
Samsabad, P.S.- Panchbibi, Dist. Joypurhat, N.B. BANGLADESH.
Contact : +88-01911 450 131; E-mail: aboutdynamic@gmail.com





উদ্দীপকটি পড়ো এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
করিম ও রহিম একই এলাকায় বাস করে। তারা দুজনই এলাকার জনগণের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে মিলেমিশে বসবাস করে। জনগণের সবাই এক রকম নয়। তাদের মধ্যে বিভিন্ন সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য থাকা সত্ত্বেও তারা একে অপরকে সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকে। কোনো প্রয়োজনে তারা একে অপরের ওপর নির্ভর করে।
ক. শীতল পাটির জন্য বিখ্যাত কোন জেলা?
খ. জনসংখ্যার ঘনত্ব বলতে কী বোঝো?
গ. করিম ও রহিমের পারস্পরিক আচার-ব্যবহারে কোন সংগঠনের চিত্র ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. মানবজাতির সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য উক্ত সংগঠনটির গুরুত্ব মূল্যায়ন করো।
উত্তর :
ক. শীতল পাটির জন্য বিখ্যাত সিলেট জেলা।
খ. উত্তর : কোনো দেশের মোট জনসংখ্যা ও মোট ভূমির পরিমাণ বা আয়তনের অনুপাতকে জনসংখ্যা ঘনত্ব বলে।
পৃথিবীর বা কোনো দেশের জনসংখ্যা ঘনত্ব জানতে হলে পৃথিবী বা সে দেশের মোট জনসংখ্যা ও আয়তন জানতে হবে।
জনসংখ্যা ঘনত্ব নির্ণয়ের সূত্র : মোট জনসংখ্যা মোট ভূমির পরিমাণ
উদাহরণ :
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ঘনত্ব = বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা বাংলাদেশের মোট ভূমির পরিমাণ
= ১৪৯৭৭২৩৬৪ ১৪৭৫৭০

= ,০১৫ জন (প্রতি বর্গকিলোমিটারে)।
উল্লেখ্য, দেশের জনসংখ্যার তুলনায় আয়তন বড় হলে তার জনসংখ্যা ঘনত্ব কমে আসে। আর ঘনত্ব বেশি হলে তা ভূমির ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

(গ) করিম ও রহিমের পারস্পরিক আচার-ব্যবহারে সমাজ নামক সংগঠনের চিত্র ফুটে উঠেছে।
কতগুলো লোক একসঙ্গে মিলিত হয়ে যখন এক জায়গায় বসবাস করে, তখন তাকে সমাজ বা সংঘ বলে। এসব লোক পরস্পরের সঙ্গে বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে লিপ্ত থাকে এবং একে অপরের প্রতি সচেতন হয়ে ওঠে। তাদের মধ্যে কিছু মিল এবং কিছু অমিলও লক্ষ করা যায়। তা সত্ত্বেও তারা একে অপরকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে থাকে। এভাবে তারা পরস্পর নির্ভরশীল হয়ে ওঠে।

উদ্দীপকে করিম ও রহিম সমাজের অন্য লোকদের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে জীবন যাপন করে। সংঘবদ্ধতা সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। উদ্দীপকে সমাজের এসব লোকের স্বভাব-চরিত্র ও কর্মকাণ্ডে নানা সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য থাকা সত্ত্বেও তারা পরস্পরের প্রতি সচেতন। ফলে তারা যেকোনো কাজে একে অপরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ একজনের বিপদে-আপদে কিংবা সুখে-দুঃখে তারা একে অপরের প্রতি ক্রিয়াশীল। এ সমাজের সবাই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং লক্ষ করা যায়, উদ্দীপকে করিম ও রহিম যেভাবে সমাজের সব মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে সংঘবদ্ধভাবে বসবাস করছে, তা মূলত সমাজ নামক সংগঠনের প্রতিচ্ছবি।

(ঘ) মানবজাতির সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য উক্ত সংগঠনটির বা সমাজের গুরুত্ব অপরিসীম।
সমাজ বলতে সাধারণত সংঘবদ্ধ জনসমষ্টিকে বোঝায়। অর্থাৎ যখন বহু লোক একই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংঘবদ্ধভাবে বসবাস করে, তখন তাকে সমাজ বলে। সাধারণত দুটি বৈশিষ্ট্য থাকলে যেকোনো জনসমষ্টিকে সমাজ বলা যেতে পারে।
যেমন
(ক) বহু লোকের সংঘবদ্ধ বসবাস এবং (খ) সংঘবদ্ধতার পেছনে কোনো উদ্দেশ্য।

উদ্দীপকে করিম ও রহিম একই এলাকায় বসবাস করে। তারা দুজনই এলাকার জনগণের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে মিলেমিশে বসবাস করে। তারা একে অপরের সুখ-দুঃখে পরস্পর সহযোগিতা করে থাকে। মানুষ সামাজিক জীব। তাই সে একা বসবাস করতে পারে না। প্রত্যেক মানুষ সমাজেই জন্মগ্রহণ করে, বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং সমাজেই মৃত্যুবরণ করে। তাই সমাজ ছাড়া মানুষ নিজের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারে না। নিজের প্রয়োজনেই মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। উদ্দীপকে উল্লিখিত সামাজিক উপাদানগুলো যেমনপারস্পরিক সহযোগিতা, নির্ভরশীলতা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া প্রভৃতি মানুষের জীবন ধারণ, জীবন মান উন্নয়ন ও সর্বোপরি সুখ-শান্তিতে জীবনযাপনের জন্য খুবই প্রয়োজন।

অতএব, আমরা বলতে পারি যে মানবজাতির সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য সমাজ নামক সংগঠনটির গুরুত্ব অপরিসীম।