- প্রশ্ন : সাইবার ক্রাইম কী?
- প্রশ্ন : রোবটিক্স কী?
- প্রশ্ন: প্লেজিয়ারিজম কী?
- প্রশ্ন: আউটসোর্সিং কী?
- প্রশ্ন : ই-কমার্স কী?
- প্রশ্ন : হ্যাকিং কী?
- প্রশ্ন : বায়োইনফরমেটিকস কাকে বলে?
- প্রশ্ন : বিশ্বগ্রাম কী?
- প্রশ্ন : তথ্য প্রযুক্তি কী?
- প্রশ্ন : ই- মেইল কী?
- প্রশ্ন : জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কী?
- প্রশ্ন : ক্রায়োসার্জারি কী?
- প্রশ্ন ন্যানো কাকে বলে?
- প্রশ্ন. ফাইবার অপটিক্স ক্যাবল ইএমআই মুক্ত কেন? (অনুধাবন)
- প্রশ্ন: ন্যানোটেকনোলজি কাকে বলে?
- প্রশ্ন. 9600 bps স্পিডটি ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
- প্রশ্ন. বিশ্বগ্রাম হচ্ছে ইন্টারনেট নির্ভর ব্যবস্থা- ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
- প্রশ্ন. বায়োইনফরমেটিকস- এ ব্যবহৃত ডেটা কী? ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
- প্রশ্ন. শিক্ষাক্ষেত্রে অনলাইন লাইব্রেরির ভূমিকা বুঝিয়ে লিখ। (অনুধাবন)
- প্রশ্ন: জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কীভাবে মানুষকে সহায়তা দিচ্ছে? (অনুধাবন)
- প্রশ্ন: তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বই বিশ্বগ্রাম- ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
- প্রশ্ন: বাস্তব জগৎ ও ভার্চুয়াল জগতের মধ্যে পার্থক্য লেখ। (অনুধাবন)
- প্রশ্ন. কোনো প্রযুক্তির ব্যবহার পাটের জীবন রহস্য উন্মেচিত হয়েছে- ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
- প্রশ্ন. “বিশেষ প্রযুক্তির কিছু কম্পিউটার মানুষের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম”- ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
- প্রশ্ন. হ্যাকিং নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ড- ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
- প্রশ্ন. “টেলিমেডিসিন এক ধরনের সেবা”- বুঝিয়ে লিখ। (অনুধাবন)
- প্রশ্ন. নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
- প্রশ্ন. বাস্তবে অবস্থান করেও কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব- ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
- প্রশ্ন. আণবিক পর্যায়ের গবেষণার প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
==========================================
প্রশ্ন : সাইবার ক্রাইম কী?
উত্তর : কম্পিউটারভিত্তিক কিংবা নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটভিত্তিক অপরাধ কর্মকান্ডকে সাইবার ক্রাইম বা সাইবার অপরাধ বলা হয়।
প্রশ্ন : রোবটিক্স কী?
উত্তর : কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ডিজাইন ও উৎপাদন সংক্রান্ত বিজ্ঞাইন হলো রোবটিক্স।
প্রশ্ন: প্লেজিয়ারিজম কী?
উত্তর : অন্যের লেখা, গুবেষণালব্ধ তথ্য ইত্যাদি নিজের নামে চালিয়ে দেওয়াকে প্লেজিয়ারিজম বলে।
প্রশ্ন: আউটসোর্সিং কী?
উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট কাজ নিজেরা না করে অর্থের বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেওয়াই হলো আউট সের্সিং।
প্রশ্ন : ই-কমার্স কী?
উত্তর : ইলেকট্রনিক কমার্সকে সংক্ষেপে ই-কমার্স বলা হয়। আধুনিক ডেটা প্রসেসিং এবং কম্পিউটার ভিত্তিক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা বিশেষ করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পণ্য বা সেবা মার্কেটিং, ক্রয়-বিক্রয়, গ্রহণ-বিলি করা, ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেন ইত্যাদি করাই হচ্ছে ই-কমার্স।
প্রশ্ন : হ্যাকিং কী?
উত্তর : সাধারণত অনুমতি ব্যতীত কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে কম্পিউটার ব্যবহার করা অথবা কোনো কম্পিউটাকে তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেওয়াই হ্যাকিং।
প্রশ্ন : বায়োইনফরমেটিকস কাকে বলে?
উত্তর : জীব সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজে কম্পিউটার প্রযুক্তির প্রয়োগই হলো বায়োইনফরমেটিকস।
প্রশ্ন : বিশ্বগ্রাম কী?
উত্তর : বৈশ্বিক যোগাযোগের ব্যবস্থা সমৃদ্ধ স্থানকে বিশ্বগ্রাম বলে। বিশ্বগ্রাম শব্দটি দ্বারা বিশ্বব্যাপী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা ইন্টারনেটকে বুঝানো হয়ে থাকে।
প্রশ্ন : তথ্য প্রযুক্তি কী?
উত্তর : তথ্য ব্যবস্থা বা ইনফরমেশন সিস্টেমের সাথে সংশ্লিষ্ট কম্পিউটার নির্ভর প্রযুক্তিই হলো তথ্য প্রযুক্তি।
প্রশ্ন : ই- মেইল কী?
উত্তর : কম্পিউটারের সাহায্যে কোনো তথ্য বা সংবাদ অন্য কোথাও পাঠানো বা গ্রহণ করার ব্যবস্থাই হলো ই- মেইল।
প্রশ্ন : জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কী?
উত্তর : কোনো জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন বহনকারী উঘঅ খন্ড পৃথক করে ভিন্ন একটিক জীবে স্থানান্তরের কৌশলই হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
প্রশ্ন : ক্রায়োসার্জারি কী?
উত্তর : ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যা খুব নি¤œ তাপমাত্রায় বা শীতলীকরণের মাধ্যমে শরীরের অসুস্থ বা অস্বাভাবিক টিস্যুকে ধ্বংস করে।
প্রশ্ন ন্যানো কাকে বলে?
উত্তর : কোনো কিছুর একশ কোটি ভাগের এ ভাগকে- ১ ন্যানো বলা হয়।
প্রশ্ন. ফাইবার অপটিক্স ক্যাবল ইএমআই মুক্ত কেন? (অনুধাবন)
উত্তর: ফাইবার অপটিক্স অন্তরক পদার্থ দিয়ে তৈরি হওয়ায় এটি বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় প্রভাব বা ইএমআই মুক্ত। ফাইবার অপটিক্স এর উপাদানগুলো হলো- সোডা, বোরো সিলিকেট, সোডা লাইম সিলিকেট এবং সোডা অ্যালুমিনা সিলিকেট যা অন্তরক পদার্থ। এছাড়াও ফাইবার অপটিক্স এর বহিরাবরণ হিসেবে যে জ্যাকেট ব্যবহার করা হয় তা হলো প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিকও অন্তরক পদার্থ। ফলে ফাইবার অপটিক্স সর্বদাই ইএমআই মুক্ত থাকে।
প্রশ্ন: ন্যানোটেকনোলজি কাকে বলে?
উত্তর : ন্যানো মিটার স্কেলে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ধ্বংস বা সৃষ্টি সম্পর্কিত টেকনোলজিকেই ন্যানোটেকনোলজি বলে। অর্থাৎ ন্যানো মিটার স্কেলে পরিমিত যে কেনো বিষয়ের বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে ন্যানোপ্রযুক্তি বা ন্যানোটেকনোলজি বলে।
প্রশ্ন. ফাইবার অপটিক্স ক্যাবল ইএমআই মুক্ত কেন? (অনুধাবন)
উত্তর: ফাইবার অপটিক্স অন্তরক পদার্থ দিয়ে তৈরি হওয়ায় এটি বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় প্রভাব বা ইএমআই মুক্ত। ফাইবার অপটিক্স এর উপাদানগুলো হলো- সোডা, বোরো সিলিকেট, সোডা লাইম সিলিকেট এবং সোডা অ্যালুমিনা সিলিকেট যা অন্তরক পদার্থ। এছাড়াও ফাইবার অপটিক্স এর বহিরাবরণ হিসেবে যে জ্যাকেট ব্যবহার করা হয় তা হলো প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিকও অন্তরক পদার্থ। ফলে ফাইবার অপটিক্স সর্বদাই ইএমআই মুক্ত থাকে।
প্রশ্ন: ন্যানোটেকনোলজি কাকে বলে?
উত্তর : ন্যানো মিটার স্কেলে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ধ্বংস বা সৃষ্টি সম্পর্কিত টেকনোলজিকেই ন্যানোটেকনোলজি বলে। অর্থাৎ ন্যানো মিটার স্কেলে পরিমিত যে কেনো বিষয়ের বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে ন্যানোপ্রযুক্তি বা ন্যানোটেকনোলজি বলে।
প্রশ্ন. 9600 bps স্পিডটি ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
উত্তর: 9600 bps স্পিডটি হলো ভয়েস ব্যান্ড। 9600 bps বলতে বুঝায় প্রতি সেকেন্ডে 9600 bit ডেটা স্থানান্তরিত হয়।
ভয়েস ব্যান্ডে সাধারণত 9600 bps পর্যন্ত ডেটা স্থানান্তরিত হয়। টেলিফোন লাইনে এই ব্যান্ডউইড্থ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কম্পিউটার ও পেরিফেরাল যন্ত্রপাতিতে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও এই ব্যান্ডউইড্থ ব্যবহার করা হয়।
ভয়েস ব্যান্ডে সাধারণত 9600 bps পর্যন্ত ডেটা স্থানান্তরিত হয়। টেলিফোন লাইনে এই ব্যান্ডউইড্থ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কম্পিউটার ও পেরিফেরাল যন্ত্রপাতিতে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও এই ব্যান্ডউইড্থ ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন. বিশ্বগ্রাম হচ্ছে ইন্টারনেট নির্ভর ব্যবস্থা- ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
উত্তর: বিশ্বগ্রাম হচ্ছে ইন্টারনেট নির্ভর ব্যবস্থা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব আজ হতের মুঠোয়। তাই বর্তমান সময়কে বলা হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ বা বিশ্বায়নের যুগ। এ যুগের প্রধান চালিকাশক্তি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সমন্বয়। আর এ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে সারা বিশ্ব আজ পরিণত হয়েছে বিশ্বগ্রামে। তাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে সারা বিশ্ব যেন একটি গ্রাম যেখানে একসাথে নিবিড় সম্পর্কের বন্ধনে বসবাস করছে।
প্রশ্ন. বায়োইনফরমেটিকস- এ ব্যবহৃত ডেটা কী? ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
উত্তর: জৈব তথ্যবিজ্ঞান তথা বায়োইনফরমেটিকস এমন একটি কৌশল যেখানে ফলিত গণিত, তথ্যবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, কম্পিউটার, বিজ্ঞান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রসায়ন এবং জৈব রসায়ন ব্যবহার করে জীববিজ্ঞানের সমস্যাসমূহ সমাধান করা হয়। মূলত জীববিজ্ঞানের আণবিক পর্যায়ে গবেষণাই এখানে অন্তর্ভূক্ত হয়। কম্পিউটারকেন্দ্রিক জীববিজ্ঞান অনেক সময় সিস্টেম্স জীববিজ্ঞানের সমত্যু হয়ে যায়। বায়োইনফরমেটিকস হলো জৈব তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কম্পিউটার প্রযুক্তির একটি ব্যবহার। জৈব ও জেনেটিক তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং একত্রীকরণের কাজ কম্পিউটারের মাধদধ্যমে করা হয়, যা জিনভিত্তিক নতুন ঔষধ আবিষ্কার এবং উন্নয়নের কাজে লাগে।
প্রশ্ন. শিক্ষাক্ষেত্রে অনলাইন লাইব্রেরির ভূমিকা বুঝিয়ে লিখ। (অনুধাবন)
উত্তর: শিক্ষাক্ষেত্রে অনলাইন লাইব্রেরির ভূমিকা অনেক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষকরা ক্লাসের শুরুতেই লেকচার এর কপি অনলাইনে অথবা ছাত্রদের সরাসরি দিয়ে দেয়, যার ফলে তারা সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়া বুঝতে পারে। এছাড়া অনলাইন লাইব্রেরি থেকে বই, গবেষণাপত্র বা প্রবন্ধ পড়া যায়, অনেক ক্ষেত্রে এর জন্য কোনো মূল্যও দিতে হয় না। ফলে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণের ক্ষেত্র এখন অনেক বিস্তৃত। আর বিভিন্ন জায়গা থেকে তথত্য আহরণ করে কোনো কাজ তৈরি করে বলে শিক্ষার্থীদের কাজের মধ্যে স্বাতন্ত্র পরিলক্ষিত হয় যা আগে ছিল না।
প্রশ্ন: জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কীভাবে মানুষকে সহায়তা দিচ্ছে? (অনুধাবন)
উত্তর: কৃষি উৎপাদন, ঔষধ তৈরি, খাদ্য প্রস্তুত কারখানা ইত্যাদি বিভিন্ন গবেষণায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করা হয়। এতে উন্নত জাতের, প্রকৃতি সহনশীল ও দ্রুত অধিক উৎপাদনক্ষম খাদ্যশস্য প্রাপ্তি সম্ভব হয়েছে যা মানব জাতির খাদ্য ঘাটতি পূরণে বিশেষভাবে সহায়তা করছে। বর্তমান সময়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং- এর প্রায় সব ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োগ লক্ষ করা যায়।
প্রশ্ন: তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বই বিশ্বগ্রাম- ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
উত্তর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব আজ হাতের মুঠোয়। তাই বর্তমান সময়কে বলা হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ বা বিশ্বায়নের যুগ। এ যুগের প্রধান চালিকাশক্তি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সমন্বয়। আর এ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে সারা বিশ্ব আজ পরিণত হয়েছে বিশ্বগ্রামে। তাই তথ্য ও যোগাযোগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে সারা বিশ্ব যেনব একটি গ্রাম যেখানে সবাই একসাথে নিবিড় সম্পর্কের বন্ধনে বসবাস করছে।
প্রশ্ন: বাস্তব জগৎ ও ভার্চুয়াল জগতের মধ্যে পার্থক্য লেখ। (অনুধাবন)
উত্তর: প্রকৃত অর্থে বাস্ববে যা ঘটে তাই বাস্তব জগৎ, পক্ষান্তরে বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল জগৎ বলে। ভার্চুয়াল জগতে বাস্তবকে শুধু উপলব্ধি করা যায়। যেমন- বাস্তব জগতে মানুষ শূন্যে উড়ে যেতে পারে না, ১২০ তলা ভবন থেকে লাফ দেওয়া কল্পনাও করতে পারে না। কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে বাস্তব জগৎ তৈরি করে। এসব বিষয়গুলো উপলব্ধি করা যায়, যা বাস্তবে সম্ভব হয় না।
প্রশ্ন. কোনো প্রযুক্তির ব্যবহার পাটের জীবন রহস্য উন্মেচিত হয়েছে- ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
উত্তর : পাটের জীবন রহস্য উন্মোচিত হয়েছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির মাধ্যমে। আমাদের দেশের বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম পাটের জীবন রহস্য উন্মোচিত করেছেন। এক কোষ থেকে সুনির্দিষ্ট জিন নিয়ে অন্য কোষে স্থাপন ও কর্মক্ষম করার ক্ষমতাকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। অর্থাৎ DNA এর মধ্যে নতুন DNA প্রতিস্থাপন করে নতুন ক্রোমোসোম তৈরির কৌশল হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
প্রশ্ন. “বিশেষ প্রযুক্তির কিছু কম্পিউটার মানুষের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম”- ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
উত্তর : বিশেষ প্রযুক্তির কিছু কম্পিউটার মানুষের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। মানুষের চিন্তা-ভাবনাগুলো কৃত্রিম উপায়ে কম্পিউটারের মধ্যে রূপ দেওয়াকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দরুন কম্পিউটারের ভাবনা-চিন্তাগুলো মানুষের মতোই হয়। যেখানে মানুষ একই সময়ে বিভিন্ন চিন্তা করতে পারে না সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারগুলো একই সময়ে বহুবিধ কাজ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে পারে। কম্পিউটার কিভাবে মানুষের মতো চিন্তা করবে, কিভাবে সমস্যার সমাধান করবে, কিভাবে বিচক্ষণতার মাধ্যমে পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে প্রভৃতি বিষয়গুলোর উপর গবেষণা চালানো হচ্ছে।
প্রশ্ন. হ্যাকিং নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ড- ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
উত্তর : সাধারণত অনুমতি ব্যতীত কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে কম্পিউটার ব্যবহার করাকে হ্যাকিং বলে। নৈতিকতার আলোকে হ্যাকিং নৈতিকতা বিরোধী কাজ। কারণ এর মাধ্যমে একজন বা হ্যাকার অন্যের কম্পিউটার থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এমনকি ব্যক্তিগত তথ্যও চুরি করতে পারে। এর ফলে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের গোপনীয়তা বজায় থাকে না এবং ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এসব কারণে হ্যাকিং নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ড।
প্রশ্ন. “টেলিমেডিসিন এক ধরনের সেবা”- বুঝিয়ে লিখ। (অনুধাবন)
উত্তর : টেলিমেডিসিন এক ধরনের চিকিৎসা সেবা যা টেলিফোন বা মোবাইলের মাধ্যমে দূর থেকে রোগীরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট হতে অতিদ্রুত চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারে। বর্তমানে ঘরে বসেই টেলিকনফারেন্স বা ভিডিও কনফারেন্স বা অনলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা যায়, একে টেলিমেডিসিন বলে। এছাড়া, ইন্টারনেট ও ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে এক দেশের চিকিৎসক অন্য দেশের চিকিৎসকের সাথে সহজেই অনলাইন যোগাযোগ স্থাপন করে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক উন্নতি ও অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়। টেলিমেডিসিন যেহেতু চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান করে তাই এটি অবশ্যই একটি সেবা।
প্রশ্ন ৩. নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
উত্তর : নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ক্রায়োসার্জারি। এটা এমন এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যাধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা হয়। ক্রায়োসার্জারি অতিরিক্ত শৈত্য তাপমাত্রায় 40 c রোগাক্রান্ত সেলগুলোকে ধ্বংস করার কাজ করে। অতিরিক্ত শৈত্য যখন ভিতরের সেলগুলোকে ছিঁড়ে ফেলে তখন রক্তনালি থেকে রোগাক্রান্ত টিস্যুতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ করে আরও নষ্ট করে ফেলে।
প্রশ্ন. বাস্তবে অবস্থান করেও কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব- ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
উত্তর : ‘বাস্তবে অবস্থান করে কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব- এটি শুধুমাত্র সম্ভব হবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হতে, বাস্তবে অবস্থান করে কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখতে, সেই সাথে বাস্তবের মতো শ্রবণাভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।
প্রশ্ন. আণবিক পর্যায়ের গবেষণার প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
উত্তর : আণবিক পর্যায়ের গবেষণার প্রযুক্তিটি হলো ন্যানোটেকনোলজি। যখন কোনো একটা বস্তুর কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য কোনো বিশেষ প্রযুক্তি বা যন্ত্র ব্যবহর করে অণু বা পরমাণুগুলোকে ন্যানোমিটার স্কেলে বা ন্যানো পার্টিকেল রূপে পরিবর্তন করা হয় তখন সেই প্রযুক্তিকে ন্যানো টেকনোলীজ বলে। এ প্রযুক্তির প্রধান সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে কোনো পদার্থের অণু-পরমাণুকে ইচ্ছামতো সাজিয়ে কাক্সিক্ষত রূপ দেওয়া যায়। বর্তমানে জিন প্রকৌশল, তড়িৎ প্রকৌশল, যন্ত্র প্রকৌশল ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়।